অভিনেত্রী শিমু হত্যা মামলায় স্বামীসহ দুজনের বিচার শুরু

আগের সংবাদ

বাস্তবায়ন থমকে, শান্তি অধরা : শান্তিচুক্তির ২৫ বছর, সংঘাতে অশান্ত পাহাড়, বাড়ছে নতুন নতুন সশস্ত্র সংগঠন

পরের সংবাদ

সহিংসতার রাজনীতির অবসান হোক

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ডিসেম্বর ১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

১০ ডিসেম্বর সামনে রেখে মুখোমুখি আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। এদিন বিএনপি পল্টনে সমাবেশের ডাক দিয়েছে। অন্যদিকে পুলিশ অনুমতি দিয়েছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। এতে নাখোশ বিএনপি। যে কোনো মূল্যে পল্টনেই সমাবেশ করতে চায় বিএনপি। দুই দলের নেতাদের পাল্টাপাল্টি হুংকারে উত্তপ্ত রাজনৈতিক অঙ্গন, শঙ্কিত সাধারণ মানুষ। সামনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচন কমিশন গঠন থেকে শুরু করে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে অতীতের মতো এবারো দুই মেরুতে অবস্থান করছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং বিদেশে চিকিৎসা ইস্যুতে দেশের বিভিন্ন জায়গায় সমাবেশ করছে বিএনপি। এতদিন দলটির রাজনীতি ছিল জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভেতরের বিভিন্ন সেমিনার কক্ষে, নতুবা প্রেস ক্লাবের সামনের সড়ক এবং নয়াপল্টনের অফিস প্রাঙ্গণজুড়ে। তবে এবার ঢাকার বাইরেও জেলা-উপজেলা পর্যায়ে কর্মসূচি পালন করছে। সংবিধান অনুযায়ীই দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন ক্ষমতাসীনরা। বিএনপি এ সরকারের অধীনে কোনোভাবেই নির্বাচনে যেতে চায় না। নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে ভোটের দাবিতে চূড়ান্ত আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে দলটি। তাদের এ আন্দোলন মোকাবিলায়ও বসে নেই আওয়ামী লীগ। দুদলের টার্গেট রাজপথ। এ লক্ষ্যে মহড়াও শুরু করেছে দলটি। সমাবেশ-পাল্টা সমাবেশে উত্তপ্ত রাজনীতি। নির্বাচন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে বাড়বে উত্তাপের পারদ। রাজপথ দখলে রাখাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক সংঘাত ভয়াবহ রূপ নিতে পারে- এমন আশঙ্কা বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের। এমন পরিস্থিতি কোনো দলের জন্য সুখকর হবে না। তবে রাজনীতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ১০ ডিসেম্বর একটি ব্যর্থ ডেডলাইনে পরিণত হবে। অতীতের রেকর্ডগুলো তাই বলে। বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের ডেডলাইন জলিলের ৩০ এপ্রিলের মতোই। এখানে রাজনীতির মোড় পরিবর্তনকারী কোনো কিছু ঘটবে না। হয়তো কিছু মানুষের সমাগম হবে। বেশি বাড়াবাড়ি করলে আরো কিছু মানুষ জেলে যাবে। তবে নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগ তথা সরকারেরও দায়িত্ব রয়েছে। আওয়ামী লীগ বিএনপিকে অগণতান্ত্রিক শক্তি হিসেবে পরিচিত করতে চায়। কিন্তু তাদের নিজেদের আচরণই মানুষের কাছে ভুল বার্তা যাচ্ছে। আগামী নির্বাচনে ক্ষমতায় ফিরতে হলে এবং সেটা যদি নির্বাচনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই করতে হয়, তাহলে আওয়ামী লীগকে অনেক কিছুই পরিষ্কার করে বলতে হবে। নির্বাচন সামনে রেখে প্রত্যেকটি দলই নিজেদের মতো দল গোছাবে। রাজপথে নেমে নিজেদের শক্তিমত্তা জানান দেয়ার চেষ্টা করবে। এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু রাজপথে জানমালের ক্ষতি জনগণ মেনে নেবে না। এ ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সজাগ থাকতে হবে এবং যে কোনো ধরনের সহিংসতা প্রতিরোধ করতে হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়