কাগজ প্রতিবেদক : বাংলাদেশে নবনিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেছেন, প্রতিবেশী দেশগুলোর জন্য একটি নীতি থাকায় বাংলাদেশ সব সময় ভারতের কাছে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পায়। প্রতিবেশী দেশগুলির জন্য ভারতের একটি নীতি রয়েছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া হয়। যে কোনো বিষয়ে সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার পায় বাংলাদেশ। গতকাল বুধবার গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এসে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন অ্যাম্বাসেডর এ্যাট লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউসসহ প্রেস উইংয়ের কর্মকর্তারা। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর উপ প্রেস সচিব কে এম শাখাওয়াত মুন সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
বাংলাদেশকে ভারতের ‘খুব ভালো বন্ধু’ উল্লেখ করে ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, এই অঞ্চলে সন্ত্রাস দমনে বাংলাদেশ ও ভারত একসঙ্গে কাজ করবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুস্পষ্টভাবে বলেছেন, বাংলাদেশ কখনোই সন্ত্রাসবাদকে প্রশ্রয় দেয়নি। এ লক্ষে তিনি উল্লেখ করেন, সন্ত্রাসের কোনো ধর্ম ও সীমানা নেই। আওয়ামী লীগ কখনো সন্ত্রাসবাদকে প্রশ্রয় দেয় না। বাংলাদেশের মাটিকে কখনোই এই উদ্দেশে ব্যবহার করতে দেয় না।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ ও ভারত আলোচনার মাধ্যমে তিস্তা নদীর পানি বণ্টনসহ অমীমাংসিত সব সমস্যার সমাধান করতে পারে। তিনি ভারতীয় ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশের ১শ’টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।
প্রণয় ভার্মা বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বাণিজ্য ও যোগাযোগ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। ভারত বাংলাদেশকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সহযোগিতা দিবে। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রশংসা করেন। বৈঠকে শেখ হাসিনা ও ভার্মা উভয়ই দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক সহজতর করার জন্য ব্যাপক অর্থনৈতিক অংশীদারি চুক্তি (সিইপিএ) নিয়েও আলোচনা করেন। এসময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার সমগ্র জীবন দেশের মানুষের জন্য উৎসর্গ করেছেন উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধুর উৎসর্গ অনুসরণ করে তিনি নিজেও দেশের মানুষের জন্য তার জীবন উৎসর্গ করছেন।