কাগজ প্রতিবেদক : চলতি বছর ডেঙ্গুজ¦রে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা আড়াইশ ছুঁয়েছে। ২০০০ সালে দেশে প্রথম এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গুরোগী শনাক্ত হবার পর এক বছরে সর্বোচ্চ মৃত্যুর সংখ্যা এটাই। সারাদেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের পাঠানো বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪৩৬ জন ডেঙ্গুরোগী আর মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের।
আগের দিন সোমবার ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে কারো মৃত্যু হয়নি। তবে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ৩৬৬ জন। রবিবার রোগী ছিল ৫২৩ জন আর মৃতের সংখ্যা ছিল ৩ জন। অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি দৈনিক সর্বোচ্চ রোগী ছিল ২ নভেম্বর। ওইদিন ১ হাজার ৯৪ জন ডেঙ্গুরোগী দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। আর এই জ¦রে সর্বোচ্চ মৃত্যু হয় ৩ নভেম্বর। মৃতের সংখ্যা ছিল ৯ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী, ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি ৪৩৬ জন রোগীর মধ্যে ২৫৩ জন ঢাকার এবং ১৮৩ জন ঢাকার বাইরের। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি থাকা ডেঙ্গুরোগীর সংখ্যা ১ হাজার ৮২৭ জন। এর মধ্যে ঢাকার ৫৩টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ১ হাজার ৬৭ জন এবং ঢাকার বাইরে হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৭৬০ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর (১ জানুয়ারি থেকে ২৯ নভেম্বর সকাল ৮টা পর্যন্ত) ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৫৬ হাজার ৯৩২ জন। এই জ¦রে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২৫০ জন। আর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৫৪ হাজার ৮৫৫ জন।
মাসভিত্তিক হিসাব অনুযায়ী, জানুয়ারিতে ১২৬ জন, ফেব্রুয়ারিতে ২০ জন, মার্চে ২০ জন, এপ্রিলে ২৩ জন, মে মাসে ১৬৩ জন এবং জুনে ৭৩৭ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। এই ৬ মাসে মৃত্যু হয়েছে একজনের। জুলাই মাসে রোগী ছিল ১ হাজার ৫৭১ জন আর মারা গেছেন ৯ জন। আগস্টে রোগী ছিল ৩ হাজার ৫২১ আর ১১ জনের মৃত্যু হয়েছিল। সেপ্টেম্বরে রোগী ছিল ৯ হাজার ৯১১ জন, মৃত্যু হয় ৩৪ জনের। অক্টোবর মাসে রোগীর সংখ্যা ছিল ২১ হাজার ৯৩২ জন আর ৮৬ জনের মৃত্যু হয়। নভেম্বরের ২৯ দিনে রোগীর সংখ্যা ১৮ হাজার ৯০৮ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১০৯ জনের।