নাইক্ষ্যংছড়ি : ডিজিএফআই কর্মকর্তা নিহতের ঘটনায় মামলা

আগের সংবাদ

তিন কারণে ভালো ফলাফল : সংক্ষিপ্ত সিলেবাস, প্রশ্নপত্রে সুবিধা ও সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের প্রভাবে পাসের হার বেড়েছে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায়

পরের সংবাদ

বাউলদের জমজমাট আয়োজনে শেষ হলো ঢাকায় রাধারমণ উৎসব

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : রাধারমণ লোকসংগীত উৎসব জমে উঠেছিল বাউল সাধকদের গানে। বৈষ্ণব সাধক ও লোকসংগীতের অন্যতম পুরোধা মরমি কবি রাধারমণ দত্তের গানে, ভাটি অঞ্চলের শিল্পীদের পরিবেশনায় মুখর ছিল বাংলা একাডেমি চত্বর। গতকাল রাজধানীতে এসে গান শুনিয়েছেন সিলেট অঞ্চলের বিখ্যাত লোকশিল্পীরা।
গতকাল রবিবার এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, মাহবুব-উল-আলম হানিফ, এমপি, বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, এমপি, নাট্যজন ম হামিদ, ঝুনা চৌধুরী ও সুনামগঞ্জের সাবেক জেলা প্রশাসক রফিকুল ইসলাম।
বক্তব্য রাখেন কবি টি এম আহমেদ কায়সার, কবি শামীম রেজা, রাধারমণ সংস্কৃতিচর্চা কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক ড. বিশ্বজিৎ রায় ও সভাপতি মাহমুদ সেলিম।
আলোচনার পর ছিল লোকসংগীতের আসর। শুরুতেই লোকাঙ্গণ সাংস্কৃতিক সংগঠনের শিল্পীরা গেয়ে শোনান রশিদ উদ্দিনের গান।
এরপর একক কণ্ঠে বাউল বসিরউদ্দিন সরকার শোনান ‘বন্ধু তোর লাইগারে’ ও ‘পাক পানি চিনিয়া নাও’।
বাউল সূর্যলাল শোনান ‘কৃষ্ণধন মায়ার কাঙালিনী’ ও ‘তোর ঘরে লো কাল ননদী’। শিল্পী চট্টোপাধ্যায় পরিবেশন করেন সৈয়দ শাহনূরের গান ‘আমার শ্যাম যদি হইত মাথার কেশ’।
রশিদ উদ্দীনের গান ‘সোয়াচান পাখি আমি ডাকিতেছি’ শোনান শিশির অধিকারী। বাউল সুনীল কর্মকার গেয়ে শোনান ‘গোলক ধাঁ ধাঁ গোলে বাঁধা’, ‘মানুষ রতন কর তারে’ ও ‘মানুষ থুইয়া খোদা ভজ’। বাউলানী রুবি সুরেশ্বরী পরিবেশন করেন ‘এই বিশ্ব বাগানে’ ও ‘আমায় যত দুঃখ দিলে বন্ধুরে’। জালালউদ্দিন খাঁ এর গান ‘দেখলে ছবি পাগল হবি’ গেয়ে শোনান ফারহানা আফরিন ইভা। শিল্পী সিরাজউদ্দিন খান পাঠান গেয়ে শোনান ‘নতুন গাছের কোমল কলি’, ‘বন্ধু কই রইলারে’ ও ‘আষাঢ় মাইসা ভাসা পানিরে’। বাউলানী গৌরী শর্মা শোনান ‘আমার দুঃখে দুঃখে জনম গেল’ ও ‘যৌবন বেলায় না পেয়ে’। দীপ বিশ্বাস গেয়ে শুনিয়েছেন ‘বনমালী গো পরজনমে হইও রাধা’।
আরিফ রহমান ‘চিন্তা রোগের ওষুধ কি আর আছেনি’, ‘গুরু তুমি পতিত পাবন’। বাউল আমীর আলী ‘কৃষ্ণ আইলা রাধার কুঞ্জে’, ‘আজি দরশন মিলন হইল’। বাউলানী রেখা বেগম ‘পানসী দৌড়াইয়া যাইতাম’, ‘আজ বাঁশীর সুরেরে শ্যাম’। বায়েজীদ পাগেলা ‘আরে ও জ¦ালা নিভে না’, ‘নিশিতে যাইও ফুলবনে’ এবং নারায়ণ চন্দ্র শীল ‘নষ্ট করলায় ফুলের কলি’ ও ‘আমি পারলাম নারে’।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়