মৃত্যুবার্ষিকী আজ : সাবেক মেয়র হানিফ স্মরণে নানা কর্মসূচি

আগের সংবাদ

সমাবেশ ঘিরে দুপক্ষের হুঙ্কার : বিএনপি নেতাদের বক্তৃতায় প্রচ্ছন্ন হুমকি > ছাড় না দেয়ার ঘোষণা আওয়ামী লীগ নেতাদের

পরের সংবাদ

তিন কারণে ভালো ফলাফল : সংক্ষিপ্ত সিলেবাস, প্রশ্নপত্রে সুবিধা ও সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের প্রভাবে পাসের হার বেড়েছে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায়

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

অভিজিৎ ভট্টাচার্য্য : সংক্ষিপ্ত সিলেবাস ও প্রশ্নপত্রে সুবিধা থাকা এবং সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের কারণে চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করেছে শিক্ষার্থীরা। এমনকি বিষয়ভিত্তিক ফলেও বিশেষ করে বাংলা, ইংরেজি ও গণিতের মতো কঠিন বিষয়েও তারা অবলীলায় ৯০ শতাংশের বেশি নম্বর পেয়েছে। এতে সার্বিক ফলাফলে জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যাও বেড়েছে। গতকাল সোমবার প্রকাশিত চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল বিশ্লেষণে এমন চিত্র পাওয়া গেছে। ফলাফলে ছেলেদের চেয়ে মেয়েদের এগিয়ে যাওয়ার চিত্রও দেখা গেছে। গত পাঁচ বছর ধরেই এসএসসিতে পাসের হারের দিক থেকে ছাত্রীরা এগিয়ে রয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, এবার ৯টি বিষয়ে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা হয়েছে। পরীক্ষায় বহুনির্বাচনী অংশে ৩০টি প্রশ্নের মধ্যে ১৫টি প্রশ্নের উত্তর, সৃজনশীল অংশে ১১টি প্রশ্নের মধ্যে ২টি প্রশ্নের উত্তর দিলেই পুরো নম্বর পাওয়ার নিশ্চয়তার কারণে একটু পড়াশোনা করেছে যারা, তারাই ভালো ফলাফল করতে পেরেছে। পাশাপাশি পরীক্ষা না হওয়া বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়/সাধারণ বিজ্ঞান, ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির মতো বিষয়গুলোর জেএসসি/জেডিসির নম্বরের সঙ্গে ম্যাপিং করে গড় নম্বর যোগ করায় পাসের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তির হার বেড়েছে। তবে এবারের পাসের হার ৮৭ দশমিক ৪৪ শতাংশ। গত বছর এই হার ছিল ৯৩ দশমিক ৫৮ শতাংশ। এর আগের বছরে অর্থাৎ ২০২০ সালে পাসের হার ছিল ৮২ দশমিক ২০ শতাংশ। মূলত এবারের ফলাফল ২০২০ সালের ফলাফলের সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে। এতে পরীক্ষার সবকটি সূচকের উন্নতি হয়েছে।
রাজধানীর সেগুনবাগিচার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে সোমবার দুপুরে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল ঘোষণা শেষে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি সাংবাদিকদের বলেন, করোনাকালে সারা বিশ্বেই শিক্ষার্থীদের শিখন প্রক্রিয়ায় ঘাটতি হয়েছে। তবে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে তা হয়নি। এবারের এসএসসি পরীক্ষার ফল বর্তমান সরকারের সফলতা বলে মনে করেন কিনা জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে নেয়া, প্রশ্নপত্র ফাঁস বন্ধ করাসহ যে

পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, এটা নিশ্চয়ই সরকারের সাফল্য। হতাশ হওয়ার কোনো কারণ নেই উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী আরো বলেন, অনেককেই বলতে শুনি, শিক্ষা ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে, পিছিয়ে যাচ্ছে। মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার মান এ অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে ভালো।
জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ ভোরের কাগজকে বলেন, গত বছর তিনটি বিষয়ে পরীক্ষা হয়েছিল। এতে ৯৩ শতাংশেরও বেশি পাসের হার হয়েছিল। এবার ৯টি বিষয়ের পরীক্ষা হওয়ায় পাসের হার ৬ দশমিক ১৪ কমে ৮৭ দশমিক ৪৪ শতাংশ হয়েছে। তবে ২০২০ সালের ফলাফলের সঙ্গে তুলনা করলে পাসের হার বেড়েছে। আগামী বছরের পরীক্ষার ফলাফলে এ হার আরো কিছু কমে যাবে বলে মনে করেন তিনি।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের সমন্বয়ক ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার ভোরের কাগজকে বলেন, এবারের পরীক্ষায় অনেকগুলো ‘সুবিধা’ থাকায় শিক্ষার্থীরা ভালো ফলাফল করতে পেরেছে। এর মধ্যে প্রশ্নপত্রের সিকিউ অংশে ১১টি প্রশ্নের মধ্যে ২টির উত্তর দেয়া, এমসিকিউ অংশে ৩০টির বদলে ১৫টি প্রশ্নের উত্তর দিতে পারলেই শিক্ষার্থীরা পুরো নম্বর পেয়েছে। এই সুবিধার কারণে শিক্ষার্থীরা ভালো ফল করেছে। চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নারায়ণ চন্দ্র নাথ বলেন, ২০২১ সালে পরীক্ষা হয়েছিল শুধু তিনটি বিষয়ে। জেএসসির বিষয়ভিত্তিক ফলাফলের মাধ্যমে নম্বর ও পাস-ফেল নির্ধারণ করা হয়েছিল। এজন্য যারা জেএসসিতে পাস করেছিল, পরীক্ষা ছাড়াই তারা এসএসসিতেও পাস করে। এজন্য পাসের হারে রেকর্ড ছিল। এবার সিলেবাস সংক্ষিপ্ত হলেও সব বিষয়ে পরীক্ষা হয়েছে। পাসের হার কিছুটা কমে যাওয়ার ক্ষেত্রে এর প্রভাবও আছে। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান মু. জিয়াউল হক বলেন, গতবারের চেয়ে এবার পাসের হার কিছুটা কমলেও গড় পাসের ফল সন্তোষজনক। গতবার মাত্র তিনটি বিষয়ে পরীক্ষা নেয়া হয়েছিল। এবার অধিকাংশ বিষয়ে পরীক্ষা নেয়া হলেও সিলেবাস সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে প্রকাশিত ফলে।
এদিকে গত জুন মাসের বন্যার ধাক্কায় এবার সিলেট বোর্ডে পাসের হার সারাদেশের মধ্যে সর্বনি¤œ হয়েছে। এবার নয়টি শিক্ষা বোর্ডের মধ্যে পাসের হার ও জিপিএ-৫ দুদিক থেকেই সিলেট বোর্ড সবচেয়ে পিছিয়ে। এ বোর্ডে পাসের হার ৭৮ দশমিক ৮২ শতাংশ, আর জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭ হাজার ৫৬৫ জন শিক্ষার্থী। অথচ গত বছর পাসের হার ছিল ৯৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ, যা সব বোর্ডের মধ্যে দ্বিতীয়। সিলেট বোর্ডের এবারের ফলাফলে সন্তুষ্ট নন বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক রমা বিজয় সরকার। ভোরের কাগজকে তিনি বলেন, বন্যায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সিলেট বোর্ড। এক মাস বন্যা ছিল, আর রিকভারির জন্য আরো এক মাস লেগে গেছে। দুই মাস পড়ালেখার বাইরে থাকায় প্রস্তুতি বাধাগ্রস্ত হয়েছে। অনেক বাচ্চার বইখাতা পানিতে ভেসে গেছে। ওদের আমরা বই দিয়েছি, কিন্তু তারপরও গ্যাপ থেকে গেছে। ফলাফল কিছুটা খারাপ হওয়ার পেছনে বিজ্ঞান বিভাগে কম শিক্ষার্থী থাকার বিষয়টিও ভূমিকা রেখেছে বলে মনে করেন তিনি। বিজ্ঞান বিভাগে আমাদের শিক্ষার্থী কম ছিল। আর মানবিকে বেশি। মানবিক শিক্ষার্থীরা ইংরেজি ও গণিতে কিছুটা দুর্বল থাকে। আমরা দেখেছি, মানবিকের কিছু শিক্ষার্থী গণিতে খারাপ করায় আমাদের ফলাফল খারাপ হয়েছে।
চট্টগ্রামে ইংরেজি বিষয়ে ৮ শতাংশ শিক্ষার্থী ফেল করেছে জানিয়ে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নারায়ণ চন্দ্র নাথ বলেন, ফেল করা ১৮ হাজার ৫২১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১৪ হাজার ১৯৪ জনই এক বিষয়ে ফেল করেছেন। ফেল করা পরীক্ষার্থীদের মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি ইংরেজি দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষায় ঝরে গেছে। তিনি বলেন, সাত দশমিক ৬৭ শতাংশ পরীক্ষার্থী ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রে ফেল করেছে। এজন্য গত বছরের চেয়ে আমাদের পাসের হার কিছুটা কমেছে। ইংরেজি দ্বিতীয় পত্র ছাড়া অন্যান্য বিষয়ে ফেলের হার এক শতাংশেরও কম। এ বিষয়ে খারাপ ফলের ক্ষেত্রে আমাদের মূল্যায়ন হচ্ছে, স্কুলে বিষয়টির পর্যাপ্তসংখ্যক শিক্ষক নেই। অন্যান্য বিভাগের শিক্ষকরা গিয়ে ইংরেজি বিষয়ে পাঠদান করেন। স্কুলে ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক নিয়োগ করে মানসম্মত পাঠদানের বিকল্প নেই।
পরীক্ষার্থী কমেছে : এবারের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষায় মোট ১৯ লাখ ৯৪ হাজার ১৩৭ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এর মধ্যে পাস করতে পারেনি দুই লাখ ৫০ হাজার ৫১৮ জন শিক্ষার্থী। যাদের মধ্যে ছেলে এক লাখ ২৮ হাজার ১৪৭ আর মেয়ে এক লাখ ২২ হাজার ৩৭৩ জন। মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছেলে ছিল ৯ লাখ ৯৮ হাজার ১৯৩ জন ও মেয়ে পরীক্ষার্থী ৯ লাখ ৯৫ হাজার ৯৪৪ জন। ২৯ হাজার ৬৩৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে শতভাগ পাস ছিল দুই হাজার ৯৭৫টি প্রতিষ্ঠানে। অন্যদিকে পাস করতে পারেনি ৫০টি প্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষার্থী। গত বছর এই পরীক্ষায় পাঁচ হাজার ৪৯৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শতভাগ পাস ছিল। অন্যদিকে ১৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষার্থীই পাস করতে পারেনি। সে হিসেবে এ বছর শতভাগ পাস করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা দুই হাজার ৫১৯টি কমেছে এবং শতভাগ ফেল করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেড়েছে ৩২টি।
ফল পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ২০২১ সালে ২২ লাখ ৪০ হাজার ৩৯৫ জন শিক্ষার্থী এ পরীক্ষায় অংশ নেয়। যার মধ্যে কৃতকার্য হয় ২০ লাখ ৯৬ হাজার ৫৪৬ জন শিক্ষার্থী। আর পাস করতে পারেনি এক লাখ ৪৩ হাজার ৮৪৯ জন। সে হিসেবে এ বছর পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমলেও গতবারের চেয়ে এ বছর এক লাখের বেশি শিক্ষার্থী পাস করতে পারেনি। গতবারের তুলনায় এবার পাসের হারও সামগ্রিকভাবে কমেছে। গত বছর এ পরীক্ষায় ৯৩ দশমিক ৫৮ শতাংশ পাসের হার থাকলেও এ বছর পাস করেছে ৮৭ দশমিক ৪৪ শতাংশ। ২০২১ সালের এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল এক লাখ ৮৩ হাজার ৩৪০ জন। এ বছর তা প্রায় এক লাখ বেড়েছে। মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে দুই লাখ ৬৯ হাজার ৬০২ জন শিক্ষার্থী এ বছর জিপিএ-৫ পেয়েছে। এর মধ্যে সাধারণ বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছে দুই লাখ ৩৩ হাজার ৭৬৩ জন। পাসের হার ৮৮ দশমিক ১০ শতাংশ। দাখিলে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৫ হাজার ৪৫৭ শিক্ষার্থী, পাসের হার ৮২ দশমিক ২২ শতাংশ। অন্যদিকে কারিগরি বোর্ডে ১৮ হাজার ৬৫৫ শিক্ষার্থী এ বছর জিপিএ-৫ পেয়েছে। আর পাসের হার ৮৯ দশমিক ৫৫ শতাংশ। জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে ঢাকা বোর্ডের শিক্ষার্থীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। এ বোর্ডে এবার ৬৪ হাজার ৯৮৪ শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। এছাড়া রাজশাহী বোর্র্ডে এবার ৪২ হাজার ৫১৭ জন, কুমিল্লা বোর্র্ডে ১৯ হাজার ৯৯৮ জন, যশোর বোর্ডে ৩০ হাজার ৮৯২ জন, চট্টগ্রাম বোর্র্ডে ১৮ হাজার ৬৬৪ জন, বরিশাল বোর্ডে ১০ হাজার ৬৮ জন, সিলেট বোর্ডে ৭ হাজার ৫৬৫ জন, দিনাজপুর বোর্ডে ২৫ হাজার ৫৮৬ জন, ময়মনসিংহ বোর্ডে ১৫ হাজার ২১৬ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে।
সার্বিক ফলাফলে দেখা যায়, এবার পাসে এগিয়ে যশোর বোর্ড। এই বোর্ডে ৯৫ দশমিক ১৭ শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে। আর সব থেকে কম পাস করেছে সিলেট বোর্ডে। এই বোর্র্ডে এবার ৭৮ দশমিক ৮২ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে। এছাড়া পরীক্ষায় ছাত্রদের থেকে ছাত্রীদের পাসের হার বেশি। এই পরীক্ষায় এবার ৮৭ দশমিক ১৬ শতাংশ ছাত্র উত্তীর্ণ হয়েছে। আর ছাত্রীদের পাসের হার ৮৭ দশমিক ৭১ শতাংশ। সে হিসেবে, এবার ছাত্রদের থেকে ছাত্রীদের পাসের হার শূন্য দশমিক ৫৫ শতাংশ পয়েন্ট বেশি। এছাড়া দেশের বাইরের ৮টি কেন্দ্র থেকে মোট ৩৬৩ জন শিক্ষার্থী এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশ নেয়। তাদের মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ৩৪৮ জন। সে হিসেবে কেন্দ্রগুলোতে পাসের হার দাঁড়িয়েছে ৯৫ দশমিক ৮৭ শতাংশ। গতবার এই পাসের হার ছিল ৯৫ দশমিক ৬৭ শতাংশ। এ বছর মোট ২৯ হাজার ৬৩৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নেয় শিক্ষার্থীরা। এর মধ্যে ২ হাজার ৯৭৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সব পরীক্ষার্থী পাস করেছে। গত বছর ৫ হাজার ৪৯৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছিল। অর্থাৎ এ বছর শতভাগ পাস করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা কমেছে ২ হাজার ৫১৯টি। অন্যদিকে ৫০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষার্থী এবার পাস করতে পারেনি। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ১৮।
গতকাল দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এবারের এসএসসির ফল প্রকাশ করেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব কামাল হোসেন এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব আবু বকর ছিদ্দীক। এর আগে বেলা ১১টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ফলের সার্বিক পরিসংখ্যান তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী। পরে বিভিন্ন বোর্ডের চেয়ারম্যান তাদের ফলের পরিসংখ্যান সরকারপ্রধানের কাছে তুলে দেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়