নাইক্ষ্যংছড়ি : ডিজিএফআই কর্মকর্তা নিহতের ঘটনায় মামলা

আগের সংবাদ

তিন কারণে ভালো ফলাফল : সংক্ষিপ্ত সিলেবাস, প্রশ্নপত্রে সুবিধা ও সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের প্রভাবে পাসের হার বেড়েছে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায়

পরের সংবাদ

ছাতকে জালিয়াতি করে ভাতাভুক্ত ১৪শ জন : অনলাইনে ধরা পড়ে অবশেষে বাতিল

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

শংকর দত্ত, ছাতক (সুনামগঞ্জ) থেকে : ছাতক উপজেলার ১২ ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় ১৪শ জন জালিয়াতি করে বয়স্ক ভাতার তালিকায় এসেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তাদের জাতীয় পরিচয়পত্রে নাম-ঠিকানা সঠিক থাকলেও বয়সের গড়মিল পাওয়া গেছে। উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে বয়স্ক ভাতার সুবিধাভোগীদের তথ্য অনলাইনে সংরক্ষণ করতে গিয়ে বিষয়টি ধরা পড়ে। তবে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এসব ভাতাভোগীর নাম বাতিল করে নতুনদের তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। আর সরকারি কোনো নির্দেশনা না থাকায় তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা বা অর্থ ফেরত নেয়া সম্ভব হয়নি।
উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বয়স্ক ভাতা পেতে নারীদের বয়স কমপক্ষে ৬২ ও পুরুষদের ৬৫ বছর হতে হয়। একজন ভাতাভোগী মাসে ৫০০ টাকা করে ভাতা পান। সমাজসেবা কার্যালয় থেকে ভাতাভোগীদের নামে বই ইস্যু করা হয়। ভাতাভোগীরা নিজেদের ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে ভাতার টাকা পান। আর এসব ভাতাভোগীর তালিকা জনপ্রতিনিধিরা নিজেদের এলাকা থেকে তৈরি করে উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে জমা দেন। জাতীয় পরিচয়পত্র ও জন্ম নিবন্ধনের মাধ্যমে তাদের সঠিক বয়স নির্ধারণ করে ভাতার আওতায় আনে সমাজসেবা কার্যালয়। এ উপজেলায় বয়স্ক ভাতার সুবিধাভোগীর তালিকায় রয়েছেন মোট ১৯ হাজার ৯৮৫ জন। তার মধ্যে গোবিন্দগঞ্জ সৈদেরগাঁওয়ে ৮৬ জন, চরমহল্লাহতে ৫৯, ছৈলা আফজালাবাদ ৭১, ছাতক সদর ১০৪, দোলার বাজার ৭৮, ইসলামপুর ৯৫, জাউয়া বাজার ৬০, কালারুকা ৬৪, নোয়ারাই ৯৫, উত্তর খরমা ৬১, সিংচাপইর ৬০, দক্ষিণ খুরমা ১০১, ভাতগাও ১১৫, ছাতক পৌরসভায় ২০৪ জন বয়স্ক ভাতাভোগীর বয়স জালিয়াতির প্রমাণ পাওয়া গেছে। এলাকার সচেতন মহলের কয়েকজন জানান, সংশ্লিষ্ট এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত জনপ্রতিনিধি ও সমাজসেবা কার্যালয়ের লোকজনের যোগসাজশে প্রায় ১৪শ জন তাদের বয়স জালিয়াতি করে ভাতাভুক্ত হয়েছেন। তারা জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্ম তারিখে ঘষামাজা অথবা ভুয়া জন্ম সনদ তৈরি করে বয়স বাড়িয়ে ভাতাভুক্ত হয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে তারা অবৈধভাবে এ সুবিধা পেয়ে আসছেন। বয়স জালিয়াতি করে ভাতার তালিকাভুক্ত হওয়া নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা তাদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ভাতার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। বয়স নিয়ে সমস্যা থাকায় অনলাইনে তাদের ডাটা এন্ট্রি হয়নি। এখন তারা ভাতার টাকা পাচ্ছেন না।
ছাতক উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা শাহ মো. শফিউর রহমান বলেন, ছাতকে প্রায় ১৪শ জনের ভাতা বন্ধ। বয়স জালিয়াতি করে অনেকেই বয়স্ক ভাতার আওতায় এসেছেন। যারা বয়স চুরি করে ভাতাভোগী হয়েছেন, তাদের বাদ দিয়ে নতুনদের তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়