ইকুয়েডর রুখে দিল ডাচদের

আগের সংবাদ

১০ দফা দাবিতে নৌশ্রমিক ধর্মঘট : সারাদেশে পণ্য পরিবহন বন্ধ

পরের সংবাদ

৬ ডাকাত গ্রেপ্তার : বড় অঙ্কের লেনদেনে পুলিশের সহযোগিতা নেয়ার আহ্বান

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : পুলিশ পরিচয়ে কেরানীগঞ্জে এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৮৫ লাখ টাকা ডাকাতির ঘটনায় জড়িত অভিযোগে ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- সোহাগ মাঝি, মো. দেলোয়ার, মো. জয়নাল হোসেন, মো. সোহেল, মো. জনি ও মো. আজিজ। গত শুক্রবার গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) লালবাগ বিভাগের উপকমিশনার মশিউর রহমানের নেতৃত্বে কোতোয়ালি জোনাল টিম রাজধানীর দিয়াবাড়ী ও কাজলা, ঢাকা জেলার সাভার থানা ও পটুয়াখালী সদর থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে।
গতকাল শনিবার ৬ জনকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে ডিএমপি মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে ৬ জনকে গ্রেপ্তারের বিস্তারিত তুলে ধরার পাশপাশি বড় অঙ্কের লেনদেনে পুলিশের সহযোগিতা নেয়ার আহ্বান জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ডিবির প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, গত ১৩ নভেম্বর ডাকাতির ঘটনায় ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় একটি মামলা হলে ছায়া তদন্ত শুরু করে ডিবি। এরই ধারাবাহিকতায় গত শুক্রবার সাভার থানার কাউন্দিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে ডাকাতির ঘটনায় সরাসরি জড়িত চারজনকে আটক করা হয়। পরে তাদের দেয়া তথ্যমতে পটুয়াখালী সদর এলাকা থেকে ১৯ লাখ টাকাসহ ১ জনকে আটক ও যাত্রাবাড়ীর কাজলা এলাকা থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত হাইয়েছ মাইক্রোবাস ও ১ লাখ টাকাসহ আরো ১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ ছাড়া ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল কেরানীগঞ্জ থানা এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, ছিনতাইকারী অথবা ডাকাত চক্রের সোর্স ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ব্যাংকসহ বিভিন্ন জায়গায় রয়েছে। তাই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সিসি ক্যামেরা স্থাপন ও টাকা লেনদেনের ক্ষেত্রে আরো বেশি সতর্ক হতে হবে। এ ছাড়াও বড় অঙ্কের টাকা লেনদেনের ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের থানা পুলিশের সহযোগিতা নেয়ার আহ্বান জানান তিনি।
ডিবি জানিয়েছে, দুর্বৃত্তরা ডাকাতি করার জন্য নানা দলে ভাগ হয় যায়। ডিবি বা সাধারণ পুলিশ পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন ব্যাংক কিংবা আর্থিক ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের সামনে অবস্থান নিয়ে সেখানে আসা লেনদেনকারীদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে। সিসি ক্যামেরা নেই এরকম নিরিবিলি জায়গায় সুযোগ বুঝে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয় দিয়ে ভুক্তভোগীদের গতিরোধ করে তাদের নামে মামলা বা ওয়ারেন্ট আছে বলে টাকার ব্যাগসহ গাড়িতে তুলে নেয়। পরে সুবিধামতো জায়গায় টাকা বা মূল্যবান সামগ্রী ছিনিয়ে নিয়ে মারধর করে নির্জন এলাকা, রাস্তার পাশে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়