মোজাম্মেল-প্রণয় সাক্ষাৎ : কলকাতার থিয়েটার রোডের সেই বাড়িটি চেয়েছে বাংলাদেশ

আগের সংবাদ

কাদের সঙ্গে ডায়লগ করব? মহিলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্ন

পরের সংবাদ

ইকুয়েডর রুখে দিল ডাচদের

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : দুই সেয়ানের লড়াইয়ে জেতেনি কেউ। গতকাল খলিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে শক্তিশালী নেদারল্যান্ডসকে ১-১ গোলে রুখে দিয়েছে ইকুয়েডর। ‘এ’ গ্রুপের এ দুই দল কাতার বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ডে এক পা দিয়ে রেখেছে বললে বাড়িয়ে বলা হবে না। নিজেদের প্রথম ম্যাচে ইকুয়েডর ২-০ গোলে স্বাগতিক কাতারকে হারায়। অন্যদিকে নেদারল্যান্ডস তাদের প্রথম ম্যাচে সেনেগালকে ২-০ গোলে হারিয়ে পূর্ণ পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছেড়েছিল। গতকাল ডাচরা ইকুয়েডরের সঙ্গে পয়েন্ট ভাগাভাগি করায় দুই ম্যাচ শেষে দুই দলের পয়েন্ট এখন সমান চার। গতকাল সেনেগাল ৩-১ গোলে কাতারকে হারিয়ে দুই ম্যাচ শেষে ৩ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে। ‘এ’ গ্রুপ থেকে কোন দুই দল যাবে দ্বিতীয় রাউন্ডে তাই এখন দেখার বিষয়। নেদারল্যান্ডস তাদের শেষ ম্যাচে কাতারের মোকাবিলা করবে। ডাচরা জিতলে কিংবা ড্র করলে সম্ভাবনা থাকবে দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠার। অন্যদিকে ইকুয়েডর খেলবে সেনেগালের বিপক্ষে। এ ম্যাচে ইকুয়েডর জয় পেলে কিংবা ড্র করলে দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিত তাদের। সেনেগাল জিতলে ৬ পয়েন্ট নিয়ে চলে যাবে দ্বিতীয় রাউন্ডে। তাই বলতে হচ্ছে সমীকরণ একটু কঠিন হয়ে গেল।
গতকাল ম্যাচের শুরুতেই আক্রমণ করে গোল তুলে নেয় নেদারল্যান্ডস। গাকপোর ডি বক্সের বাইরে থেকে নেয়া বাঁ পায়ের শট খুঁজে পায় গোলের ঠিকানা। মাত্র ৬ মিনিটে ১-০ গোলের ব্যবধানে এগিয়ে যায় নেদারল্যান্ডস। এবারের টুর্নামেন্টে এটিই এখন পর্যন্ত সবচেয়ে দ্রুত গতির গোল। বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত ১৪ বার মুখোমুখি হয়েছিল লাতিন আমেরিকার দলের বিপক্ষে, যেখানে মাত্র দুইবার হারের মুখ দেখেছে ডাচরা।
গ্রুপ পর্বে টানা ১৪ ম্যাচ অপরাজিত থাকা নেদারল্যান্ডস মাঝমাঠের দখল নিয়ে পরিকল্পিতভাবে ইকুয়েডরের রক্ষণভাগে আঘাত হানার চেষ্টা করে। কিন্তু বারবারই ইকুয়েডরের রক্ষণভাগে বল বাধা পেয়ে ফিরে আসে। ম্যাচের ৩২ মিনিটে আগের ম্যাচের জোড়া গোল করা ভ্যালেন্সিয়ার শট দুর্দান্তভাবে রুখে
দেন ডাচ গোলরক্ষক নোপার্ট। প্রথমার্ধ শেষের ১ মিনিট আগে ইকুয়েডরের এস্তোপিনান গোল করলেও সেটি অফসাইডের কারণে বাতিল হলে ১-০ গোলের ব্যবধানে এগিয়ে বিরতিতে যায় নেদারল্যান্ডস।
বিরতির পর ইকুয়েডর গোলটি পরিশোধ করে ৪৯ মিনিটে। বাঁ প্রান্ত থেকে নিচু এক শট নেন এস্তোপিনান। ডাচ গোলকিপার নোপার্ট বলটি ঠেকালেও গøাভসে নিতে পারেননি। বল পেয়ে যান সামনে এগিয়ে আসা ভ্যালেন্সিয়া। সহজেই তিনি বলটি জালে জড়ান। এটা নিয়ে বিশ্বকাপে ইকুয়েডরের সর্বশেষ ৬টি গোলই তার। বিশ্বকাপের ইতিহাসে কোনো দলের পক্ষে টানা ৬টি গোল করা চতুর্থ খেলোয়াড় হলেন তিনি। এর আগে এই কীর্তি গড়েন পর্তুগালের ইউসেবিও (১৯৬৬), ইতালির পাওলো রসি (১৯৮২) ও রাশিয়ার ওলেগ সালেঙ্কো (১৯৯৪)।
ইকুয়েডর অবশ্য এগিয়ে যেতে পারত প্রথমার্ধের শেষ দিকেই। এ সময় নেদারল্যান্ডসকে যেন চেপে ধরেছিল ইকুয়েডরের আক্রমণভাগ। এস্তোপিনান বল জালে পাঠিয়ে উচ্ছ¡াসেও মেতেছিলেন। কিন্তু গোলটি জালে যাওয়ার সময় পোরোজ্জো ছিলেন অফসাইড পজিশনে। বলে তিনি কোনোপ্রকার ছোঁয়া না লাগালেও রেফারি অফসাইডের বাঁশি বাজান। বিষয়টি নিয়ে ইকুয়েডরের খেলোয়াড়েরা প্রতিবাদ করেন রেফারির সঙ্গে। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। ম্যাচ শেষ হওয়ার কিছু সময় আগে ইকুয়েডরের জন্য দুঃসংবাদ হয়ে আসে ভ্যালেন্সিয়ার ইনজুরি। স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়তে হয় এই ইকুয়েডেরিয়ানকে। শেষ দিকে ডাচরা গোলের চেষ্টা করলেও ড্র নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হলো তাদের।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়