ইকুয়েডর রুখে দিল ডাচদের

আগের সংবাদ

১০ দফা দাবিতে নৌশ্রমিক ধর্মঘট : সারাদেশে পণ্য পরিবহন বন্ধ

পরের সংবাদ

শিক্ষার্থীদের পাঠদান ব্যাহত : পরিত্যক্ত ঘোষণার ১৩ বছরেও নির্মাণ হয়নি নতুন স্কুল ভবন

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

জাহাঙ্গীর আলম, মাদারীপুর : মাদারীপুরের রাজৈরের বাজিতপুর ইউনিয়নের ৯৩নং কড়াইবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয় ১৩ বছর আগে। ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় এটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু এক যুগ পেরিয়ে গেলেও নতুন ভবন নির্মাণ না করায় ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান। বর্তমানে পরিত্যক্ত ভবনের সঙ্গেই দুটি টিনের এক চালা ঘরের মধ্যে চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান। এতে আতঙ্কের মধ্যে থাকতে হচ্ছে অভিভাবক ও শিক্ষকদের।
সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, কোমলমতি শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের দুর্ঘটনার কথা চিন্তা করে ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে কর্তৃপক্ষ বিদ্যালয় ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করে পরিত্যক্ত ঘোষণা করে। বিকল্প কোনো জায়গা না থাকায় ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের মধ্যেই কয়েকশ শিক্ষার্থীকে নিয়ে শিক্ষকরা ক্লাস চালিয়ে যান। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রাজৈর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সরেজমিন বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করে শিক্ষার্থীদের নিয়ে অন্যত্র ক্লাস করার নির্দেশ দেন। এরই পেক্ষিতে ২০১২ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত কড়াইবাড়ী রবির বাজারের দুর্গা মন্দিরের টিনের একচালা বারান্দার মধ্যে ও খোলা আকাশের নিচে শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের নিয়ে পাঠদান চালিয়ে যান। ঝড়-বৃষ্টির সময় শিক্ষার্থীদের মন্দির ও দোকান ঘরের মধ্যে জড়সড় হয়ে থাকতে হয়। পরে সরকারি অনুদানে জরাজীর্ণ স্কুল ভবনের সঙ্গেই টিনের দুটি একচালা ঘরের মধ্যে পাঠদান অব্যাহত থাকে। সামান্য বৃষ্টি শুরু হলেই শিক্ষার্থীরা জরাজীর্ণ স্কুল ভবনের মধ্যে আশ্রয় নেয়। ভাঙা ভবনের পাশে ক্লাস করতে ভয় লাগে বলে জানায় বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র দিগন্ত ওঝাসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী। তারা জানায়, নতুন একটি ভবন নির্মাণ করে নির্বিঘেœ পড়ালেখা করা যেত। এছাড়া একটি খেলার মাঠও প্রয়োজন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রবীন্দ্রনাথ রায় জানান, বিদ্যালয় ভবন নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে একাধিকবার আবেদন করা হয়েছে। চলতি মাসে একবার, এছাড়া এর আগে আরো দুবার মাটি পরীক্ষা করা হয়। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের শিক্ষার মান উন্নয়নে দ্রুত বিদ্যালয় ভবন নির্মাণ ও খেলার মাঠ তৈরি করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানান তিনি।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি কৃষ্ণকান্ত বাড়ৈ জানান, বিদ্যালয় ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণার পর ১৩ বছর পেরিয়ে গেলেও নতুন ভবন নির্মাণ না হওয়ায় শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় সমস্যা হচ্ছে। দ্রুত নতুন ভবন নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ জানান। রাজৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আনিসুজ্জামান জানান, নতুন ভবন বরাদ্দ পাওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। আশা করছি শিগগিরই নতুন ভবনের বরাদ্দ পাওয়া যাবে। এরপর পুরাতন ভবনটি অপসারণ করে নতুন ভবন নির্মাণের কার্যক্রম শুরু করা হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়