ইকুয়েডর রুখে দিল ডাচদের

আগের সংবাদ

১০ দফা দাবিতে নৌশ্রমিক ধর্মঘট : সারাদেশে পণ্য পরিবহন বন্ধ

পরের সংবাদ

বিজ্ঞান মেলায় খুদে বিজ্ঞানীদের চমক!

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মো. মাজেম আলী মলিন, গুরুদাসপুর থেকে : নানা উদ্ভাবন নিয়ে হাজির হয়েছে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের খুদে শিক্ষার্থীরা। খুদে বিজ্ঞানীদের কেউ পরিবেশ বান্ধব বিদ্যুৎ উৎপাদন, বিদ্যুৎ ও পানির অপচয় রোধ ও বনানয়ন, কেউ সমুদ্রের পানির ঢেউ থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন, কৃত্রিম রোবট, পেট্রোল আর পানি দিয়ে গ্যাস তৈরি, বিদ্যুৎ অপচয় রোধে করণীয়, পরিকল্পিত নগরী গড়ে তোলার ডেমো তৈরি, কৃষিতে কীটনাশক ব্যাবহারের বিকল্প পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছে। কেউবা আবার বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট, দেশীয় অর্থনীতিতে স্বল্প খরচে প্রযুক্তি ও পরিবেশ বান্ধব শহর গড়ার কৌশল, বর্জ্য রিসাইক্লিং পদ্ধতি, বায়ু দূষণে করণীয় বিষয়ে প্রকল্প তুলে ধরে। এছাড়া ছিল কাদা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের কৌশল। এমন সব উদ্ভাবন নিয়ে খুদে বিজ্ঞানীরা হাজির হয় নাটোরের গুরুদাসপুর ৪৪তম বিজ্ঞান ও শিল্পপ্রযুক্তি মেলায়।
নাটোরের গুরুদাসপুরে গতকাল শনিবার উপজেলার শহীদ মিনার চত্বরে দিনব্যাপী এই বিজ্ঞান ও শিল্পপ্রযুক্তি মেলা অনুষ্ঠিত হয়। মেলায় রোজী মোজাম্মেল মহিলা কলেজ থেকে অংশ নেয় মীম, মৌলি ও তার দল। তাদের প্রজেক্টের নাম ‘দেশীয় অর্থনীতিতে স্বল্প খরচে প্রযুক্তি ও পরিবেশ বান্ধব স্বপ্নের শহর নির্মাণের কৌশল’। মীম জানায়, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তোলার কথা মাথায় রেখেই আমরা এই প্রকল্প নিয়ে কাজ করেছি। পলিথিনের পরিবর্তে পরিবেশ বান্ধব পাটের ব্যাগ ব্যাবহার। ডাস্টবিনের আর্বজনা রিসাইক্লিংয়ে ব্যবহার করেছি, শহরকে বায়ু দূষণ ও জানজট মুক্ত করা, বাসা বাড়ির ছাদে বৃক্ষ রোপণ পদ্ধতির কৌশল দেখিয়েছি।
মশিন্দা মডেল ফাজিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা দেখায়, কারখানায় আগুনের ধোয়া বের হলেই কীভাবে বাতি জ্বলে উঠে, ফায়ার অ্যালার্ম বাজবে। বেগম রোকেয়ার শিক্ষার্থীরা তুলে ধরে বিদ্যুৎ ও পানির অপচয়রোধের পদ্ধতি। পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা উপস্থাপন করে স্বল্প ব্যয়ে পরিবেশ বান্ধব বিদ্যুৎ উৎপাদন পদ্ধতি। খুবজীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তুলে ধরে অসান পাওয়ার প্ল্যান্ট তৈরির কৌশল।
জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলায় অংশ নেয় উপজেলার সরকারি বিসিএসএস কলেজ, সরকারি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, বেগম রোকেয়া স্কুল এন্ড কলেজসহ উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। বিজ্ঞান মেলায় ছিল ১২টি স্টল।
খুদে বিজ্ঞানীদের নতুন নতুন উদ্ভাবন দেখতে কৌতুহলী দর্শনার্থীরা ভিড় করেন স্টলগুলোতে। প্রভাষক মিতা রানি দাস (৩০) এসেছেন তার আট বছর বয়সী ছেলে তারাভ্র দাসকে নিয়ে। তিনি বলেন, বিজ্ঞান মেলা শিশুদের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। এতে নতুন প্রজন্ম বিজ্ঞান মনষ্ক ও সৃষ্টিশীল হয়ে উঠবে। মেলা দেখতে এসেছেন গৃহিণী জবেদা বেগম (৪০)। তিনি দুঃখ করে বলেন, আমি সায়েন্সের ছাত্রী ছিলাম। আমাদের সময় এমন সুযোগ পাইনি। পেলে অনেক ভালো করতাম। মেলায় ৪টি স্তরে ৬ষ্ঠ থেকে ৮ম শ্রেণি, ৯ম থেকে ১০ম শ্রেণি, একাদশ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি এবং স্বশিক্ষিত উদ্ভাবকসহ ১৫০ জন শিক্ষার্থী ও খুদে বিজ্ঞানী তাদের প্রকল্পগুলো উপস্থাপন করেন।
মেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও স্থানীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক মো. আব্দুল কুদ্দুস, সম্মানিত অতিথি স্ব্যাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. সাইদুর রহমান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শ্রাবণী রায়, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনিসুর রহমান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. আলাল শেখ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রোকসানা আকতার লিপি, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. ওয়াহেদুজ্জামান প্রমুখ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়