ইকুয়েডর রুখে দিল ডাচদের

আগের সংবাদ

১০ দফা দাবিতে নৌশ্রমিক ধর্মঘট : সারাদেশে পণ্য পরিবহন বন্ধ

পরের সংবাদ

বাধা কাটিয়ে শতভাগ আমন চাষ : ভালো ফলনে কৃষকের মুখে হাসি

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

সাকিব আল হাসান নাহিদ, মেলান্দহ (জামালপুর) থেকে : জামালপুরের মেলান্দহে নানা বাধা কাটিয়ে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি রোপা আমন ধানের চাষ হয়েছে। সার সংকট, অনাবৃষ্টি, জমি তৈরিতে বাড়তি খরচ, এছাড়া লোডশেডিংয়ের কারণে ঠিকমতো সেচ দিতে না পারাসহ নানা সমস্যা মোকাবিলা করে আমন চাষ করেছেন উপজেলার কৃষকরা। কৃষি বিভাগ বলছে, লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে আমন চাষ হয়েছে। ভালো ফলনে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে।
এদিকে উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভায় রোপা আমন ধান কাটা ও মাড়াই শুরু হয়েছে। কেউ কাস্তে হাতে সোনালি ধান কাটছেন, কেউ আঁটি বাঁধছেন। আবার কেউ মাঠ থেকে আমন ধান নিয়ে বাড়ি ?যাচ্ছেন। এ বছর রোপা আমন ধানের ভালো ফলন হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে।
কৃষকরা ধান কেটে মাড়াইয়ের কাজ করছেন। সেই সঙ্গে কিষানীরাও বসে নেই, তারাও মনের আনন্দে ধান শুকিয়ে গোলায় তোলার কাজে সাহায্য করছেন। ইতোমধ্যে বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে ধান কাটার শ্রমিক এলাকায় আসতে শুরু করেছে।
উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার কামদেববাড়ী, মাহমুদপুর, হাজরাবাড়ী, ঘোষেরপাড়া, ফুলকোচা, নাংলা, কুলিয়া, দুরমুঠ, নয়ানগর, চর গোবিন্দি, ২নং চর ও আদ্রা এলাকায় কৃষকরা ধান কাটা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। পৌর এলাকার কৃষক মো. মুশিকুর রহমান লোটাস হাজরাবাড়ীর আইয়ুব শিকদার ও উতার উদ্দিন বলেন, পোকামাকড়ের আক্রমণ ও কোনো ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয় হওয়ায় রোপা আমনের ভালো ফলন হয়েছে। এছাড়া গরুর খাদ্য হিসেবে খড়ের চাহিদা বৃদ্ধি ও ধানের দাম ভালো থাকায় লাভের স্বপ্ন দেখছেন কৃষকরা।
এ বিষয়ে কৃষক মো. রইচ উদ্দিন জানান, এ বছর সরিষা, মসুর, কলাই ও গমের ভালো দাম থাকায় অনেক কৃষক অগ্রিম রোপা আমন ধান কাটা শুরু করেছেন। ধানের দাম থাকায় অনেক কৃষিনির্ভর পরিবার বাড়ির আঙিনা ও আশপাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ শুরু করেছেন। তাদের মধ্যে অনেক উৎসাহ-উদ্দীপনা লক্ষ করা যাচ্ছে। বর্তমানে প্রতি মণ ধানের দাম ১ হাজার ২০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ধান বিক্রি করে চাষিরা পরবর্তী কৃষিপণ্য সরিষা, মসুর, কলাই ও গম চাষের অর্থ জোগান দিচ্ছেন।
মেলান্দহ উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ মৌসুমে রোপ আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ১৬ হাজার ৬০ হেক্টর জমিতে। বিপরীতে চাষ করা হয়েছে ১৮ হাজার ৬০ হেক্টর জমিতে। লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ২০০ হেক্টর জমিতে আমন চাষ বেশি হয়েছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল ফয়সাল জানান, নানা সংকটের মধ্যেও এ বছর উপজেলায় শতভাগ আমন ধান চাষ হয়েছে। বরং লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে ধান চাষ হয়েছে। ধানের ফলন ভালো হয়েছে। উপজেলার বেশিভাগ এলাকাতেই ধান কাটা শুরু হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়