ইকুয়েডর রুখে দিল ডাচদের

আগের সংবাদ

১০ দফা দাবিতে নৌশ্রমিক ধর্মঘট : সারাদেশে পণ্য পরিবহন বন্ধ

পরের সংবাদ

পুনর্নির্মাণের দাবি : সরিষাবাড়ীতে ২ বছরেও সংস্কার হয়নি ব্রিজ

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি : বন্যায় পানির তোড়ে ভেঙে পড়ার ২ বছর পার হলেও সংস্কার হয়নি সরিষাবাড়ী উপজেলার শুয়াকৈর ঝিনাই নদীর উপর নির্মিত ব্রিজটি। চরম দুর্ভোগে পড়েছে দুই উপজেলার প্রায় ২৫টি গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ। যাতায়াতের নেই বিকল্প রাস্তা।
ফলে কৃষকের উৎপাদিত কৃষি পণ্য বাজারে নিতে না পারায় নায্য দাম পাচ্ছে না কৃষক। ব্রিজটি পুনর্নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী।
গতকাল শনিবার দুপুরে উপজেলার কামরাবাদ ইউনিয়নের শুয়াকৈর ভাঙা ব্রিজপাড় এলাকায় ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে কয়েক গ্রামের হাজার হাজার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
জানা যায়, উপজেলার কামরাবাদ ইউনিয়নের শুয়াকৈর এলাকায় ঝিনাই নদীর উপর ২০০৩-০৪ অর্থবছরে এলজিইডির অর্থায়নে প্রায় দুই কোটি টাকা ব্যয়ে ব্রিজটি নির্মিত হয়।
২০০ মিটার দৈর্ঘ্যরে সেতুটির নির্মাণকাজ ২০০৬ সালে শেষ হয়। নির্মাণের প্রায় ১৪ বছর পর ২০২০ সালের ২২ জুলাই বন্যার পানির তোড়ে সেতুর মাঝখানের চারটি পিলার ও তিনটি স্প্যানসহ প্রায় ৬০ মিটার অংশ ভেঙে পড়ে। ২ বছর পার হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত ভাঙা ব্রিজটি সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ। বন্যায় ভেঙে পড়া ব্রিজটি দ্রুত সময়ের মধ্যে পুনর্নির্মাণের কিংবা সংস্কারের দাবি জানান বক্তারা।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- কামরাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি একেএম আশরাফুল ইসলাম, সরিষাবাড়ী প্রেস ক্লাবের সভাপতি সোলায়মান হোসেন হরেকসহ স্থানীয়রা।
ইউরিকা স্কুলের ৩য় শ্রেণির শিক্ষার্থী ইয়াসিন বলেন, ব্রিজ ভাঙার কারণে চলাচলের জন্য আমার খুব কষ্ট হয়। নৌকা দিয়ে নদী পার হতে হয়। নৌকার জন্য অনেক সময় নদীর পাড়ে বসে থাকতে হয়। স্কুলে সময় মতো যেতে পারি না। অনেক সময় ভিজে নদী পার হয়ে স্কুলে যেতে হয়।
৭০ বছরের বৃদ্ধ ফজিল মিয়া বলেন, ব্রিজটি আমাদের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম। এটি ভাঙার পর আমাদের খুবই সমস্যা হচ্ছে। চলাচলের সমস্যা থাকায় কৃষি পণ্য বাজারে নিয়ে বিক্রি করতে পারি না। বাড়ির ওপর থেকে কম দামে বিক্রি করতে হয়। নৌকা পাওয়া যায় না। অনেক সময় নৌকার জন্য রোদের মধ্যে বসে থাকতে হয়। এই বয়সেও পানিতে ভিজে মাঝে মাঝে বাজারে যেতে হয়।
অসুস্থ হলে বা কোনো রোগীকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়ার জন্য যাতায়াতের কোনো বিকল্প রাস্তা নেই। সরকারের কাছে আমাদের দাবি দ্রুত যেন আমাদের চলাচলের একমাত্র ব্রিজটি মেরামত করে দেয়া হয়।
উপজেলা এলজিইডির কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম বলেন, ইতোমধ্যে এলজিইডি থেকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের নিয়ে ব্রিজটি সংস্কারের জন্য প্রয়োজনীয় প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়েছে। ব্রিজটি সংস্কার প্রক্রিয়াধীন আছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়