ইকুয়েডর রুখে দিল ডাচদের

আগের সংবাদ

১০ দফা দাবিতে নৌশ্রমিক ধর্মঘট : সারাদেশে পণ্য পরিবহন বন্ধ

পরের সংবাদ

খেলল তিউনিশিয়া জয় পেল অস্ট্রেলিয়া

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : কাতার বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে গতকাল তিউনিশিয়াকে ১-০ গোলে হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। পুরো ম্যাচে ৫৮ শতাংশ বল নিয়ন্ত্রণে রেখেও হেরে যায় তিউনিশিয়া। এর আগে ডেনমার্কের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করলেও এবার হার এড়াতে পারেনি জালাল কাদেরির শিষ্যরা। অন্যদিকে ফ্রান্সের সঙ্গে বড় ব্যবধানে হেরেও তিউনিশিয়ার বিপক্ষে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় অস্ট্রেলিয়া।
তিউনিশিয়াকে হারিয়ে শেষ ষোলোতে খেলার আশা বাচিয়ে রাখল অস্ট্রেলিয়া। ম্যাচে সবদিক থেকেই তিউনিশিয়ার চেয়ে পিছিয়ে ছিল অস্ট্রেলিয়া। ম্যাচে ৫৮ শতাংশ বল নিয়ন্ত্রণে ছিল তিউনিশিয়ার অন্যদিকে ৪২ শতাংশ বল নিয়ন্ত্রণে ছিল অস্ট্রেলিয়ার। এছাড়া তিউনিশিয়া গোলবারে শট নেয় ১৪টি যার মধ্যে অনটার্গেটে ছিল ৪টি। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়া গোলবারে শট নেয় ৯টি যার মধ্যে অনটার্গেটে ছিলো মাত্র ২টি। ম্যাচে ৪৯৩টি পাস খেলে তিউনিশিয়া। যার মধ্যে সঠিক পাস ছিল ৭৬ শতাংশ। অন্যদিকে ৩৫০টি পাস খেলে অস্ট্রেলিয়ার সঠিক পাস ছিল ৬৮ শতাংশ। কর্নারেও অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে এগিয়ে ছিলো তারা। তবে গোল ব্যবধানে পিছিয়ে থাকায় ভালো খেলেও জয় বঞ্চিত হয় তারা।
দুই দলের সামনেই সুযোগ ছিল দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়ার। আগের ম্যাচে হারা অস্ট্রেলিয়া সুযোগ কাজে লাগিয়েছে ভালোভাবেই। ২০১০ সালের পর এই প্রথম বিশ্বকাপে জয়ের দেখা পেলো অস্ট্রেলিয়া। ২০১৪ ও ২০১৮ বিশ্বকাপে অংশ নিলেও কোনো ম্যাচেই জয়লাভ করতে পারেনি তারা। আল জানুব স্টেডিয়ামে ব্যাপক সমর্থন নিয়েই ম্যাচ শুরু করে তিউনিশিয়া। তবে প্রথমদিকেই আক্রমণ করে খেলতে থাকে অস্ট্রেলিয়া। তবে তিউনিশিয়ার রক্ষণ কোনোভাবেই ভাঙতে পারছিল না তারা। তবে গোলের জন্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি অজিদের। ম্যাচের ২৩ মিনিটেই গোলের দেখা পায় তারা। বাঁ প্রান্ত থেকে ক্রেইগ গুডউইনের বাড়ানো ক্রস তিউনিশিয়ার এক খেলোয়াড়ের পায়ে লেগে চলে মিচেল ডিউকের কাছে। সঙ্গে সঙ্গে মাথা ছুঁয়ে বল জালে জড়ান ডিউক। ১-০ গোলে এগিয়ে যায় তারা। এরপর ম্যাচে ফিরতে চেষ্টা করে তিউনিশিয়া। ম্যাচের ৩৮ মিনিটে সুযোগ পেলেও ইউসেফ এমসাকনিকে ডি-বক্সের ভেতর আটকে দেন অস্ট্রেলিয়ান ডিফেন্ডার। এরপর ম্যাচের ৪৪ মিনিটে অস্ট্রেলিয়ার আক্রমণ ঠেকিয়ে দেন তিউনিশিয়ার গোলরক্ষক আইমেন দাহমেন। প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে সহজ গোলের সুযোগ পায় তিউনিশিয়া। তবে সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি এমসাকনি। সুবিধাজনক জায়গায় বল পেয়ে গোল করতে ব্যর্থ হন এই ফরোয়ার্ড। শেষ পর্যন্ত ১-০ গোলে পিছিয়ে থেকে বিরতিতে যায় তিউনিশিয়া।
বিরতির পর খেলার গতি বাড়িয়ে দেয় তিউনিশিয়া। একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে প্রতিপক্ষের শিবিরে। তবে শেষ পর্যন্ত গোলের দেখা পায়নি তারা। একের পর এক সুযোগ মিস করতে থাকে দুদলই। নির্ধারিত সময়ের অতিরিক্ত মিনিটে হলুদ কার্ড দেখলেন তিউনিশিয়ার মিডফিল্ডার ফেরজানি সাসি। শেষ পর্যন্ত প্রথমার্ধে করা ১ গোলেই জয়ের দেখা পায় অস্ট্রেলিয়া। এই জয়ে তারা টিকিয়ে রাখল শেষ ষোলোতে খেলার আশা।
এর আগে ফ্রান্সের সঙ্গে হেরে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করে অস্ট্রেলিয়া। সেই ম্যাচে এগিয়ে থেকেও বড় ব্যবধানে হেরে যায় তারা। ম্যাচের শুরুর ৯ মিনিটের মাথায় ক্রেইগ গুডইউন গোলে এগিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। তবে সেই লিড ধরে রাখতে পারেনি অজিরা। আদ্রিয়ান রাবিয়েটের গোলে সমতায় ফেরে ফ্রান্স। এরপর আরো তিন গোল হজম করে অস্ট্রেলিয়া। জোড়া গোল করেন অলিভার জিড়–ড এবং একটি গোল করেন এমবাপ্পে। ৪-১ গোলে হেরে যায় তারা।
অন্যদিকে প্রথম ম্যাচে ডেনমার্কের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে তিউনিশিয়া। বল দখলে ডেনমার্ক এগিয়ে থাকলেও কোনো গোল করতে পারেনি। তবে গোলের সুযোগও প্রথম আসে তিউনিশিয়ারই। ম্যাচের ২৩ মিনিটে ডেনমার্কের জালে বল জড়ান সিলমানে। কিন্তু অফসাইডের কারণে রেফরি গোলটি বাতিল করেন। শেষ পর্যন্ত ড্র নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়ে দুই দলকে। গ্রুপপর্বে অস্ট্রেলিয়ার শেষ ম্যাচ ডেনমার্কের সঙ্গে। যেখানে জিততে পারলেই শেষ ষোলো নিশ্চিত হবে তাদের। অন্যদিকে তিউনিশিয়া গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচ খেলবে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের বিপক্ষে। আগামী ৩০ নভেম্বর রাত ৯টায় মাটে নামবে দুই দল। সেখানেই বোঝা যাবে ‘ডি’ গ্রুপ থেকে শেষ ষোলো নিশ্চিত করবে কোনো দল। ১৯৯৮ সাল থেকে ১৪টি গ্রুপ পর্বের ম্যাচে মাত্র একটিতে জয় পায় তিউনিশিয়া। চার বছর আগে পানামাকে হারিয়েছিল তারা। অন্যদিকে নিজেদের ১৮টি বিশ্বকাপ ম্যাচের মধ্যে মাত্র তিনটিতে জিতল অস্ট্রেলিয়া।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়