মোজাম্মেল-প্রণয় সাক্ষাৎ : কলকাতার থিয়েটার রোডের সেই বাড়িটি চেয়েছে বাংলাদেশ

আগের সংবাদ

কাদের সঙ্গে ডায়লগ করব? মহিলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্ন

পরের সংবাদ

মুক্তিপণের জন্য শিশু খুন : এ কেমন নিষ্ঠুরতা!

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : দশ দিন আগে ১৫ নভেম্বর এক ফুটফুটে শিশু আলীনা ইসলাম আয়াত নিখোঁজ হয়েছিল নগরীর ইপিজেড থানার দক্ষিণ হালিশহর ওয়ার্ডের নয়ারহাট এলাকা থেকে। অনেক খোঁজাখুঁজি করে তাকে না পেয়ে তার বাবা সোহেল রানা ইপিজেড থানায় একটি নিখোঁজ ডায়রি করেন। কিন্তু কোনোভাবেই শিশুটির মা-বাবা বা অন্য কেউ ঘুণাক্ষরেও বুঝতে পারেননি যে তাদের এই শিশু সন্তানের খুনি তাদেরই ভাড়াটিয়া আজহারুল ইসলামের ১৯ বছর বয়সি বখাটে তরুণ আবির আলী। আয়াতের বাবার কাছ থেকে মুক্তিপণ আদায়ের জন্য সে অপহরণ ও খুন করেছে বলে তদন্তকারি সংস্থা পিবিআই এর কর্মকর্তাদের জানিয়েছে। খুনের পরও আবির আলী একেবারেই স্বাভাবিক আচরণ করে ফাঁকি দিতে চেষ্টা করেছে বলে জানিয়েছেন পিবিআইয়ের পরিদর্শক মো. ইলিয়াস খান।
তবে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার ফুটেজ দেখে গত ২৪ নভেম্বর রাতে আবিরকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তাার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এর মধ্য দিয়ে আয়াতের নিখোঁজ এবং হত্যার রহস্যের উদ্ঘাটন হয়। কেন এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পিবিআই জানতে পেরেছে আয়াতের বাবার কাছ থেকে মুক্তিপণ আদায়ের উদ্দেশে আবির ফুটফুটে, চঞ্চল শিশুটিকে নৃশংসভাবে খুন করে। তারপর তার মরদেহ কয়েকটি টুকরা করে তা ব্যাগে ভরে সাগর ও নালার সংযোগস্থলে স্লুইসগেটের কাছে পানিতে ফেলে দেয়। আয়াত স্থানীয় তালীমূল কুরআন নূরানী মাদ্রাসার হেফজখানার ছাত্রী ছিল। গ্রেপ্তার হওয়া আবির আলী একসময় পোশাক কারখানায় চাকরি করলেও গত ছয় মাস ধরে বেকার আবির বখাটে প্রকৃতির বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো ইউনিটের প্রধান পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা জানান, ইতোমধ্যে আয়াতের জামা-জুতো এবং তার হত্যায় ব্যবহৃত সরঞ্জাম উদ্ধার করছে পুলশি। মরদহের খণ্ডিত অংশগুলো উদ্ধারের চেষ্টা জলছে। তিনি জানান, গ্রেপ্তারের পর নানাভাবে জিজ্ঞাসাবাদের পর সে ওই শিশুকে অপহরণ, খুন ও মরদেহ টুকরো করে ব্যাগভর্তি অবস্থায় বাসায় রেখেছিল। তার পরদিন সে ছয়টি খণ্ড আলাদা-আলাদা প্যাকেটে ভরে তিনটি ফেলে সাগরে আর নালায় স্লুুইসগেটের প্রবেশমুখে। ভারতীয় টিভি সিরিয়াল ‘ক্রাইম পেট্রল’ আর ‘সিআইডি’ দেখে সে রপ্ত করে লোমহর্ষক অপরাধ সংঘটন এবং আড়ালের কৌশল। তবে শুধুমাত্র মুক্তিপণ আদায়ের জন্য অপহরণ ও খুন করেছিল কিনা তা আরো তদন্ত করে দেখছেন পিবিআইয়ের কর্মকর্তারা। পিবিআইয়ের পরিদর্শক ইলিয়াস খান ভোরের কাগজকে বলেন,

আমার জীবনে এমন ঠাণ্ডা মাথার, নির্বিকার খুনি আমি দেখিনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়