কাগজ প্রতিবেদক : ট্যুরের টাকার জন্য রাজধানীর চকবাজারে হাজী মুনসুর আহম্মেদ নামে নানাকে খুন করার মামলায় গ্রেপ্তার নাতনি আনিকা তাবাসসুমের বয়ফ্রেন্ড আবু সুফিয়ান খান রাজুসহ তিন আসামি আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।
দোষ স্বীকার করা বাকি দুই আসামি হলেন- রাজুর ভাই সায়ীদ রহমান রায়হান ও তাদের আত্মীয় সায়িদ হোসেন।
গতকাল শুক্রবার আদালতে চকবারজার থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা শওকত আকবর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, গত বৃহস্পতিবার তিন আসামিকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর তারা স্বেচ্ছায় জবানবন্দি দিতে আসামি রাজু ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শান্ত ইসলাম মল্লিকের আদালতে, আসামি রায়হান ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রশিদুল আলমের আদালতে এবং আসামি সাহিদ ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসানের আদালতে ১৬৪ ধারায় দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। পরে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আসামি রাজু ও রায়হান বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির মহাসচিব আবদুর রহমানের ছেলে। গত ২৩ নভেম্বর নানাকে খুনের এ মামলায় গ্রেপ্তার নাতি শাহাদাত মুবিন আলভী ও নাতনি আনিকা তাবাসসুম দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। তারা বর্তমানে কারাগারে।
পুলিশ জানায়, ট্যুরের জন্য আসামিদের টাকার প্রয়োজন ছিল। নানার কাছে ছিল নগদ টাকা। সেই টাকা নেয়ার জন্য ডাকাতির পরিকল্পনা করে তারই দুই নাতি-নাতনি। পরিকল্পনায় যুক্ত হয় নাতনির বয়ফ্রেন্ডসহ কয়েকজন। চেতনানাশক ইনজেকশন দিয়ে অচেতন করে টাকা-পয়সা নেয়ার পরিকল্পনা করেন তারা। গত ১৭ নভেম্বর বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য বাসা ফাকা পেয়ে আসামিরা মুনসুর আহম্মেদকে অচেতন করার জন্য ইনজেকশন দিতে গেলে তিনি বাঁধা দেন। আর তখনই তাকে মারধর করলে একপর্যায়ে মুনসুর আহম্মেদ মারা যান। এরপর বাসা থেকে ৯২ হাজার টাকা নিয়ে যায় আসামিরা। ঘটনার পর ১৯ নভেম্বর নিহতের ছেলে আসগার আহম্মেদ বাদী হয়ে চকবাজার থানায় দস্যুতাসহ হত্যার মামলা করেন। কিন্তু পরে মামলার তদন্ত করতে গিয়ে বেরিয়ে আসে মুনসুর আহম্মেদ হত্যায় তার পরিবারের সদস্যরা অর্থাৎ নাতি নাতনিরা জড়িত।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।