রাজশাহীতে শিশু ধর্ষণের মামলায় যাবজ্জীবন

আগের সংবাদ

নৌকায় ভোট দেবেন, ওয়াদা চাই : যশোরের জনসমুদ্রে শেখ হাসিনা, বিএনপির কাজই গুজব ছড়ানো, রিজার্ভের কোনো সমস্যা নেই

পরের সংবাদ

এইচএসসির বিতর্কিত প্রশ্ন, প্রণেতারা শাস্তি পেলেন : আর কোনো পাবলিক পরীক্ষার দায়িত্ব নয়

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : চলতি বছরের ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষায় বিতর্কিত প্রশ্ন প্রণয়নে জড়িত ৫ শিক্ষক আর কখনো পাবলিক পরীক্ষার দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির সুপারিশের পর গতকাল বুধবার যশোর বোর্ড থেকে এ আদেশ জারি করা হয়েছে।
জানা গেছে, ‘সা¤প্রদায়িক উসকানিমূলক’ প্রশ্নটি করেছিলেন ঝিনাইদহের ডা. সাইফুল ইসলাম ডিগ্রি কলেজের বাংলার সহকারী অধ্যাপক প্রশান্ত কুমার পাল। ওই প্রশ্নটি মডারেশনের দায়িত্বে ছিলেন নড়াইলের মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক শ্যামল কুমার ঘোষ, কুষ্টিয়া ভেড়ামারা আদর্শ কলেজের সহকারী অধ্যাপক রেজাউল করিম, নড়াইলের সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের সহযোগী অধ্যাপক সৈয়দ তাজউদ্দিন শাওন ও সাতক্ষীরা সরকারি মহিলা কলেজের সহযোগী অধ্যাপক মো. শফিকুর রহমান। তাদের মধ্যে সৈয়দ তাজউদ্দিন শাওন ও মো. শফিকুর রহমান বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তা। সবাইকেই পাবলিক পরীক্ষার সব কার্যক্রম থেকে বিরত রাখা হচ্ছে।
যশোর বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মাধবচন্দ্র রুদ্র স্বাক্ষরিত আদেশে বলা হয়, ২০২২ খ্রিষ্টাব্দের এইচএসসি পরীক্ষার ঢাকা বোর্ডের বাংলা প্রথম পত্র বিষয়ের প্রশ্নটি যশোর বোর্ডের শিক্ষকদের দ্বারা প্রণয়ন ও পরিশোধন করা হয়েছে। যশোর শিক্ষা বোর্ডের গঠিত তদন্ত কমিটির সুপারিশ অনুসারে প্রশ্নপত্রটি সৃজনশীল প্রশ্ন প্রণয়নের নির্দেশনার পরিপন্থি হওয়ায় তাদের যশোর শিক্ষা বোর্ডের পাবলিক পরীক্ষাসংক্রান্ত সব কার্যক্রম থেকে বিরত রাখা হলো। ভবিষ্যতে বোর্ডের পাবলিক পরীক্ষার কোনো কার্যক্রমে তাদের সম্পৃক্ত করা যাবে না।
গত ৬ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হয় এইচএসসির বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষা। ঢাকা বোর্ডের বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষার প্রশ্নে সা¤প্রদায়িক উসকানি দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। সৃজনশীল প্রশ্নটিতে বলা হয়, নেপাল ও গোপাল দুই ভাই। জমি নিয়ে বিরোধ তাদের দীর্ঘদিন। অনেক সালিশ-বিচার করেও কেউ তাদের বিরোধ মেটাতে পারেনি। কেউ কাউকে ছাড় দিতে নারাজ। এখন জমির ভাগবণ্টন নিয়ে মামলা চলছে আদালতে। ছোট ভাই নেপাল বড় ভাইকে শায়েস্তা করতে

আব্দুল নামে এক মুসলমানের কাছে ভিটের জমির এক অংশ বিক্রি করে। আব্দুল সেখানে বাড়ি বানিয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে। কোরবানির ঈদে সে নেপালের বাড়ির সামনে গরু কোরবানি দেয়। এই ঘটনায় নেপালের মন ভেঙে যায়। কিছুদিন পর কাউকে কিছু না বলে জমি-জায়গা ফেলে সপরিবারে ভারতে চলে যায় সে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়