কবি বেগম সুফিয়া কামালের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

আগের সংবাদ

বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের আচরণবিধি মনে করালেন মোমেন

পরের সংবাদ

কাতারকে হারিয়ে ইকুয়েডরের উড়ন্ত সূচনা

প্রকাশিত: নভেম্বর ২১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর গতকাল সাদামাটা উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে মাঠে গড়ায় কাতার বিশ্বকাপ। আলোচনা-সমালোচনাকে পেছনে ফেলে বিশ্ব আসরের প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক কাতারকে ২-০ গোলে হারিয়েছে ইকুয়েডর। ‘দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থে’র ৯২ বছরের ইতিহাসে প্রথবার উদ্বোধনী ম্যাচে হারল স্বাগতিক কোনো দেশ।
গতকাল আল বাইত স্টেডিয়ামে একাধিক সুযোগ পেয়েও দলকে গোল উপহার দিতে পারেননি কাতারের ফরোয়ার্ডরা। লাতিন অঞ্চলের ইকুয়েডরের বিপক্ষে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেনি হাসান খালিদ আল হাইদুস বাহিনী। পুরো ম্যাচে খাপ ছাড়া ছিল কাতার। ম্যাচের ৫২ শতাংশ বল ছিল ইকুয়েডরের পায়ে। আক্রমণের পরিস্থিতিই তৈরি করতে পারেনি স্বাগতিকরা। প্রতিপক্ষের গোলপোস্ট লক্ষ্য করে মাত্র ৩টি শট নিতে সক্ষম হয়। অন্যদিকে ৫টি শট নেয় ইকুয়েডর।
ম্যাচের ২টি গোলই করেন ইকুয়েডরের অধিনায়ক ইনার ভ্যালেন্সিয়া। ম্যাচের শুরু থেকেই বল দখলে এগিয়ে থাকে ইকুয়েডর। সেই ফায়দা নিয়ে ম্যাচের ৩ মিনিটের মাথায় ভ্যালেন্সিয়ার গোলে এগিয়ে যায় ইকুয়েডর। কিন্তু ভিডিও এসিস্ট্যান্ট রেফারির সহায়তায় অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে নিশ্চিত হয় যে, গোলটি অফসাইড ছিল। ফলে বাতিল হয়ে যায় গোলটি। কিন্তু ১ম গোলের দেখা পেতে বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি লাতিন দলটিকে। ম্যাচের ১৬ মিনিটেই দলকে এগিয়ে দেন সেই ভ্যালেন্সিয়া।
ম্যাচের প্রথমার্ধের ১৬ মিনিটে ডি বক্সের ভেতর ভ্যালেন্সিয়াকে ফাউল করেন কাতারের গোলরক্ষক সাদ আল শিব। আর তাতেই রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজান। স্পট কিক থেকে গোল করে এবারের বিশ্বকাপের ১ম গোলটি করে ইকুয়েডর। বিশ্বকাপ ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোনো উদ্বোধনী ম্যাচের গোল আসে পেনাল্টি থেকে। এই বিশ্বকাপে ভ্যালেন্সিয়া প্রথম গোলদাতা হিসেবে জায়গা করে নেন ইতিহাসের পাতায়। এ ছাড়া প্রথম হলুদ কার্ড দেখেন কাতারের সাদ আল শিব। পেনাল্টি থেকে গোলের পর ম্যাচের ২৯ মিনিটে টরেস এবং ভ্যালেন্সিয়ার যৌথ একটি প্রচেষ্টা রুখে দেন খোকি। ৩১ মিনিট ফের গোল করেন ভ্যালেন্সিয়া। এবার রাইট উইং থেকে এঞ্জেলিনো প্রেসিয়াডোর ক্রসে হেড থেকে গোল করেন ভ্যালেন্সিয়া। ফলে ২-০ গোলে এগিয়ে যায় গুস্তাভো আলফারোর শিষ্যরা।
প্রথমার্ধের একদম অন্তিম মুহূর্তে ম্যাচের সবচেয়ে সহজ সুযোগটি মিস করেন কাতার স্ট্রাইকার আলমোয়েজ আলি। ডি বক্সের ভেতর বাড়ানো বলে গোলরক্ষককে একা পেয়েও হেড দিয়ে গোল করতে ব্যর্থ হন তিনি। ম্যাচে দুই গোলে পিছিয়ে পড়ে খেই হারিয়ে ফেলে স্বাগতিকরা। ইকুয়েডরের খেলোয়াড়দের ফাউল করে প্রথমার্ধেই ৩টি হলুদ কার্ড দেখে তারা। বিরতি থেকে ফিরে ২ মিনিট না যেতেই আক্রমণ করেন ইনার ভ্যালেন্সিয়া। অল্পের জন্য হ্যাটট্রিক মিস করেন তিনি। ৫৫ মিনিটে তৃতীয় গোল খাওয়া থেকে বাঁচালেন কাতারের গোলরক্ষক সাদ। ইবারনার ডান পায়ের রুখে দেন তিনি। বিরতির পর কাতার আর গোল হজম না করলেও পরিশোধ করতে পারেনি। তবে পুরো ম্যাচজুড়ে কৃতিত্ব ছিল ইকুয়েডরের ফুটবলারদের। ৮৬ মিনিটে দারুণ সুযোগ পেয়েও গোল দিতে পারেননি মুনতারি। হাফ ভলিতে নেয়া তার শট বারে লেগে ফিরে। গতকাল পুরো ম্যাচে রেফারি ৬ বার হলুদ কার্ড দেখান দুই দলের খেলোয়াড়দের যা কি না ১৯৯৪ সালের বিশ্বকাপের বলিভিয়া ও জার্মানির উদ্বোধনী ম্যাচের ৭টি হলুদ কার্ডের পর সর্বোচ্চ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়