নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি : নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনায় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আতাউর রহমান মুকুলকে প্রধান আসামি করে মামলা করা হয়েছে। ২৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার করা হয়েছে নূর মো. পনেছ, সজিব, আজহারুল ইসলাম বুলবুল ও রাজিবকে।
মামলায় মুকুল ছাড়াও বন্দর থানা যুবদলের সাবেক সাধারণ সাংগঠনিক সম্পাদক নূর মুহাম্মদ পনেছ, মুকুলের ভাই মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান দুলালকে আসামি করা হয়েছে।
গতকাল শনিবার বন্দর থানায় মামলাটি দায়ের করেন মো. সোহেল নামে এক ছাত্রলীগ নেতা।
মামলায় ২৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ককটেল বিস্ফোরণ করে ভাঙচুর, মারপিট, সাধারণ জখম, অফিস কক্ষে অগ্নিসংযোগ, হুমকি, সোহেলকে মারধর, মোবাইল লুট ও ৫০ হাজার টাকা লুটে নেয়ার অভিযোগ তোলা হয়।
এর আগে ২৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা মো. আঙ্গুর জানান, শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বন্দর কবিলা মোড়ে প্রধান সড়কের পাশে ২৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের কার্যালয়ে রিকশাযোগে তিনজন মুখোশধারী প্রবেশ করে।
তারা কার্যালয়ে থাকা চেয়ার ভাঙে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবিসম্বলিত ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে।
এ সংবাদে এলাকার কয়েকজন এগিয়ে আসলে তারা ককটেল বিস্ফোরণ করে পালিয়ে যায়। বন্দর থানার ওসি আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
এ বিষয়ে বন্দর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আতাউর রহমান মুকুল বলেন, ‘আমাদের কি সাহস আছে আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙচুর করার? এটা কেউ বিশ্বাস করবে না।
ওরা নিজেরাই ভাঙচুর করে আমাদের ওপর দোষ দেয়। আমাদের নামে মামলা দেয়ার জন্যই এই কাজ করে।
সারাদেশেই ভাঙচুর, জ¦ালাও পোড়াও করে বিএনপির নামে দোষ দেয়া হচ্ছে। এখানেও তার ব্যতিক্রম নয়।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।