রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্য : শিশুবক্তা রফিকুলের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য পেছাল

আগের সংবাদ

ঢাবি সমাবর্তনে রাষ্ট্রপতি : বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজে স্বচ্ছতা থাকতে হবে

পরের সংবাদ

মুন্সীগঞ্জে ব্রাজিলের মহল্লা পশ্চিম দেওভোগ গ্রাম

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মোহাম্মদ সেলিম, মুন্সীগঞ্জ থেকে : কাতারে ফুটবল বিশ্বকাপ খেলাকে ঘিরে মুন্সীগঞ্জের শহরতলী পশ্চিম দেওভোগ গ্রামটি ব্রাজিলের পতাকা দিয়ে বর্ণিল সাজে সাজিয়েছেন সমর্থকরা। এ গ্রামের একাংশের নতুন নাম হয়েছে ব্রাজিল মহল্লা। মুন্সীগঞ্জ শহরের অটোরিকশা চালকদের কাছে এই ঠিকানা বললে অনায়াসে নিয়ে যায় সেখানে।
গ্রামের বেশিরভাগ দেয়ালে এখন শোভা পাচ্ছে ব্রাজিলের পতাকা। তবে যাদের দেয়ালে এসব পতাকা শোভা পাচ্ছে তারা সবাই ব্রাজিলের সমর্থক নন। অনেকে অন্যান্য দেশেরও সমর্থক। তবে বিনা পয়সায় বর্ণাঢ্য ব্রাজিলের পতাকার রঙে দেয়াল রং হওয়ায় বাড়ির মালিকরাও কিছু বলছেন না।
মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের পশ্চিম দেওভোগ এলাকার তালুকদার বাড়ি থেকে বিলেরকানি অনির্বাণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত প্রতিটি বাড়ির সীমানা প্রাচীরে আঁকা হয়েছে ব্রাজিলের পতাকা। এর পাশাপাশি বাংলাদেশের পতাকাও রয়েছে।
পশ্চিম দেওভোগ এলাকার ওয়ালিদ শেখ, ইকরাম শেখ, জিলান, সৌরভ, স্মরণ খান, সোহেল, পিয়াল, সহস্র, গালিব, আল-আমিন, তীব্র, লিজন, হামিম, কেফায়েতুল্লাহ, ছোয়াদ, সিয়াম, মাহিন, রাহাত, ইমতিয়াজ, সাদ্দাম, সাকিব ও জিসানরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে দেয়ালে প্রিয় দলের পতাকা আঁকছেন। চিত্রশিল্পী না হয়েও তারা দল বেঁধে দিনভর এই আঁকাজোঁকা করেছেন।
শৈশব থেকেই ব্রাজিলের সমর্থক ইমরুল হাসান সৌরভ (৩০), কাজ করেন সদরের সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে। ফুটবলের প্রতি তার যেমন প্রেম, তেমনই ব্রাজিলের প্রতি ভালোবাসা। সৌরভ বলেন, কাতার বিশ্বকাপ মাতাবেন নেইমার। গোটা বিশ্ব দেখতে পাবে ব্রাজিলের নান্দনিক ফুটবল। আর সেই আশা থেকেই নিজ এলাকার বাড়ির দেয়ালে দেয়ালে প্রিয় দলের পতাকা আঁকার প্রয়াস আমাদের।
ব্রাজিলভক্ত স্মারণ খান বলেন, শৈশবে বড়দের কাছ থেকে কালো মানিক পেলের কথা শুনেছি। যখন বুঝতে শিখেছি তখন থেকেই ব্রাজিলের ফুটবলের প্রেমে পড়েছি। ব্রাজিলের ফুটবল মানেই আবেগ। আর সেই আবেগ থেকেই প্রিয় দলের পতাকা প্রতিটি বাড়ির দেয়ালে তুলে ধরতে চেয়েছি।
জেলা ক্রীড়া সংস্থার যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আয়নাল হক স্বপন বলেন, ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা যে যাই করি, আমরা পাগল হয়ে যাই। এটা আমাদের আবেগ। আর ওই জায়গা থেকেই আমরা তৃপ্তি খুঁজে পাই। তবে পতাকা ওড়ানো কিংবা পতাকা আঁকার ক্ষেত্রে সবার ঊর্ধ্বে থাকতে হবে আমাদের জাতীয় পতাকা। আমরা ফুটবলপ্রেমী। এসব থেকে আমাদের মধ্যে ফুটবলের মনোভাব তৈরি হয়ে উঠবে। খেলোয়াড় সৃষ্টি হবে। গড়ে উঠবে ভ্রাতৃত্ববোধ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়