জাহাঙ্গীর কবির নানক : বিএনপির মানবতার শিক্ষা নেয়া দরকার

আগের সংবাদ

এপার ওপার সুড়ঙ্গ সংযোগ : কর্ণফুলীর তলদেশে ‘বঙ্গবন্ধু টানেল’ উদ্বোধনের অপেক্ষায়

পরের সংবাদ

হবিগঞ্জে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে আহত অর্ধশতাধিক

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি : হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলা বিএনপির প্রস্তুতিসভাকে কেন্দ্র করে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এতে ১০ পুলিশ সদস্য, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সমবায়বিষয়ক সম্পাদক জি কে গউছসহ অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এ সময় পুলিশ শতাধিক রাউন্ড রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছে। সন্ধ্যায় লাখাই বামৈ এলাকায় লাখাই উপজেলা বিএনপির আয়োজনে সিলেটের গণসমাবেশ সফল করার জন্য প্রস্তুতিমূলক সভা চলছিল। এ সময় পুলিশ বাধা দিলে পুলিশ ও নেতাকর্মীদের মাঝে বাগ্্বিতণ্ডা শুরু হয়। পরে উভয়ই সংঘর্ষে জড়ায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আগামী ১৯ নভেম্বর সিলেটে বিএনপির মহাসমাবেশকে সফল করতে বিকালে লাখাই উপজেলা বিএনপির প্রস্তুতিমূলক সভার আয়োজন করা হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সমবায়বিষয়ক সম্পাদক ও হবিগঞ্জ পৌরসভার পদত্যাগী মেয়র জি কে গউছ। সভা চলাকালীন সময়ে লাখাই থানা পুলিশ সভায় বাধা দিলে পুলিশ ও নেতাকর্মীদের মাঝে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। সংঘর্ষে পুলিশ শতাধিক রাউন্ড রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। পুলিশের গুলিতে জি কে গউছসহ অন্তত অর্ধশতাধিক নেতাকর্মীসহ ১০ পুলিশ আহত হন। 
আহত বিএনপি নেতাকর্মীরা জানান, তারা শান্তিপূর্ণভাবে সভা করছিলেন। সভায় পুলিশ অতর্কিত হামলা ও ভাঙচুর করে। একপর্যায়ে তারা নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করে। এ ব্যাপারে জি কে গউছ জানান, সিলেটের গণসমাবেশের প্রস্তুতি নিতে বুধবার বিকালে লাখাই উপজেলা বিএনপির নিজস্ব অফিসে সভা চলছিল। এ সময় বিনা উস্কানিতে আমাদের শান্তিপূর্ণ সভায় লাখাই থানার ওসি তদন্তের নেতৃত্বে পুলিশ নির্বিচারে লাঠিচার্জ, ভাঙচুর ও একপর্যায়ে নেতাকর্মীদের ওপর গুলি চালায়। পুলিশের গুলিতে আমিসহ আমার শতাধিক নেতাকর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন। পরে আমাদের কয়েক ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। তিনি জানান, জুলুমবাজ সরকার ক্ষমতা হারানোর ভয়ে সিলেটের মহাসমাবেশকে বিফল করতে তাদের পোষা পুলিশ বাহিনীকে লেলিয়ে দিয়েছে। গত কয়েকদিন থেকে জেলা বিএনপিসহ উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীদের বিনা অপরাধে আটক করছে পুলিশ। গত মঙ্গলবার বানিয়াচংয়ের সভায় পুলিশ হামলা চালিয়েছে। আজ আমাদের ওপর হামলা ও গুলি চালিয়েছে। কিন্তু হামলা-গ্রেপ্তার ও গুলির ভয় দেখিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের দমানো যাবে না। সময় এসে গেছে অবৈধ সরকার পতনের। বিএনপির সব সমাবেশে সাধারণ মানুষের জোয়ার দেখে সরকার ভয়ে কাঁপছে। তাই দমন-নিপীড়ন করে আন্দোলন থামানোর ব্যর্থ চেষ্টা করছে আওয়ামী লীগ। তবে বিএনপি সব ভয়কে জয় করে দেশবাসীকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলনের মাধ্যমে এ সরকারের পতন ঘটাবে ইনশাআল্লাহ। 
হবিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শৈলেন চাকমা জানান, লাখাইয়ে বিএনপি নেতাকর্মীরা নাশকতার জন্য জড়ো হচ্ছিল ভেবে পুলিশ তাদেরকে বাধা দেয়। এতে উত্তেজিত নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর হামলা করে। এতে আমাদের কমপক্ষে ১০ পুলিশ আহত হয়েছে।
পরে আত্মরক্ষার্থে পুলিশ টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়