জাহাঙ্গীর কবির নানক : বিএনপির মানবতার শিক্ষা নেয়া দরকার

আগের সংবাদ

এপার ওপার সুড়ঙ্গ সংযোগ : কর্ণফুলীর তলদেশে ‘বঙ্গবন্ধু টানেল’ উদ্বোধনের অপেক্ষায়

পরের সংবাদ

এগোচ্ছে তিস্তা সেতুর কাজ ভাগ্য খুলবে দুই জেলার

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

হাবিবুর রহমান হবি, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) থেকে : এবার এক সেতুতে উত্তরের অবহেলিত, দারিদ্র্যপীড়িত গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রাম জেলার মানুষের ভাগ্য খুলতে যাচ্ছে। মূলত হরিপুর-চিলমারী তিস্তা সেতু নির্মাণে বদলে যাবে এই দুই জেলার অর্থনীতি।
জানা গেছে, ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের হরিপুর ঘাট থেকে তিস্তা নদীর ওপর দিয়ে কুড়িগ্রামের চিলমারী পর্যন্ত ১ হাজার ৪৯০ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হয়। সেতু নির্মাণের ব্যয় ধরা হয় ৭৩০ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে মূল সেতু নির্মাণে ব্যয় ধরা হয় প্রায় ৩৬৭ কোটি টাকা এবং সড়ক, সংযোগ ব্রিজ, কালভার্ট নির্মাণ এবং নদী শাসন ও জমি অধিগ্রহণে ব্যয় ধরা হয় প্রায় ৩৬৩ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। সেতুটিতে মোট ৩০টি পিলার থাকবে। এর মধ্যে ২৮টি থাকবে নদীর ভেতরের অংশে এবং দুটি থাকবে বাইরের অংশে। সেতু নির্মাণে উভয় পাশে তিন দশমিক ১৫ কিলোমিটার করে নদী শাসন করা হয়েছে। নদীর মূল সেতু নির্মাণ করছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না স্ট্রেট কনস্ট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন লিমিটেড। এর বাস্তবায়নে রয়েছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)।
এদিকে নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার আগেই সেতুর দুই পাশে অসংখ্য দোকান, খাবার হোটেল ও রেস্টুরেন্ট গড়ে উঠেছে। দাম বেড়েছে জমির। দৃশ্যমান এ তিস্তা সেতু দেখতে প্রতিদিন নদীর দুইপাড়ে ঘুরতে আসছে স্থানীয়রা।
তিস্তা পাড়ের মানুষ জানান, সেতুর কাজ শেষ হলে গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, নীলফামারী ও রংপুর জেলার মানুষের যোগাযোগের পথ সহজ হবে।
গাইবান্ধা-১ সুন্দরগঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, তিস্তা সেতু নির্মিত হলে রংপুর অঞ্চলের মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ব্যাপক পরিবর্তন ঘটবে। কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা জেলার দারিদ্র্যপীড়িত মানুষ খুঁজে পাবে কর্মসংস্থানের সুযোগ।
সুন্দরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সুন্দরগঞ্জ উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল আলম সরকার লেবু বলেন, উপজেলাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ও প্রত্যাশার এই তিস্তা সেতু নির্মাণ কাজ শেষ হলে কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা জেলার যোগাযোগ উন্নয়নে ব্যাপক সাফল্য আসবে। কুড়িগ্রাম জেলার মানুষরা সহজে ঢাকা যাতায়াত করতে পারবে। এছাড়া গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর-সুন্দরগঞ্জ, চিলমারী পর্যন্ত ৮৬ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক নির্মাণ হবে। কুড়িগ্রাম থেকে ঢাকার দূরত্ব কমে আসবে ১০০ কিলোমিটার।
কাশেম বাজার এলাকার ব্যবসায়ী আজিজুল হক বলেন, তিন কিলোমিটার নদী শাসন করায় এই এলাকার পতিত জমিগুলো কৃষি কাজে ব্যবহৃত হবে। ন্যায্যমূল্যে কৃষকদের উৎপাদিত ফসল ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় পাঠানো যাবে।
সুন্দরগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী মো. শামছুল আরেফিন খান জানান, ইতোমধ্যে সেতুর ২৯০টি পাইলিংয়ের মধ্যে ১৭৫টি, ৩০টি পিলারের মধ্যে ১০টি, গার্ডার ১৫৫টির মধ্যে ৫০টি বসানো হয়েছে। সেতুর কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। সেতু নির্মাণের কাজ ৪০ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে। ২০২৩ সালের জুন মাস নাগাদ সেতুর কাজ সম্পন্ন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়