জামায়াত আমিরের ছেলেসহ দুজন ফের রিমান্ডে

আগের সংবাদ

জামায়াত-জঙ্গি নতুন সমীকরণ : দলটির আমির ডা. শফিকের ছেলে ডা. রাফাতকে গ্রেপ্তারের পর বেরিয়ে আসছে নতুন তথ্য ও যোগসূত্র

পরের সংবাদ

বাউফলের বিচ্ছিন্ন চন্দ্রদ্বীপ : শিক্ষক সংকটে প্রাথমিক শিক্ষার বেহাল দশা

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

অতুল পাল, বাউফল (পটুয়াখালী) থেকে : বাউফল উপজেলা সদর থেকে বিচ্ছিন্ন চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক সংকটের কারণে সহা¯্রাধিক শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে। ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে গোটা শিক্ষা ব্যবস্থা। শিক্ষক সংকটের কারণে ওই ইউনিয়নের প্রাথমিক শিক্ষার বেহাল অবস্থা হলেও বিষয়টি নিয়ে কর্তৃপক্ষ উদাসীন রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, প্রমত্তা তেঁতুলিয়া নদীর বুকে অবস্থিত চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের সঙ্গে উপজেলার মূল ভূখণ্ডে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে খেয়া নৌকা। দুর্গম ওই ইউনিয়নের মানুষের প্রধান পেশা মাছ শিকার ও কৃষিকাজ। জেলে ও কৃষক পরিবারের অধিকাংশ শিশু লেখাপড়ার পাশাপাশি বাবাকে মাছ শিকার ও কৃষি কাজে সহায়তা করছে। পিছিয়ে পড়া কৃষক ও জেলে শিশুদের শিক্ষার আওতায় আনার জন্য স্থানীয় এমপি আ.স.ম. ফিরোজের প্রচেষ্টায় চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নে সরকার ৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করেছে। বর্তমানে এসব বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থী রয়েছে ১ হাজার ৫০ জন। শিক্ষকের পদ রয়েছে ৩৩টি। কিন্তু বাস্তবে ৬টি বিদ্যালয়ে কর্মরত আছেন মাত্র ১৩ জন শিক্ষক। এর মধ্যে চরওয়াডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩ জন, দক্ষিণ চরওয়াডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২ জন, চর রায়সাহেব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩ জন, চরকচুয়া-মিয়াজান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২ জন, চরব্যারেট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১ জন এবং আসম ফিরোজ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২ জন শিক্ষক রয়েছেন। শিক্ষক সংকটের কারণে কখনো কখনো একই কক্ষে একাধিক শ্রেণির শিক্ষার্থী একসঙ্গে বসিয়ে পাঠদান করাতে হচ্ছে। এর ফলে শিশু শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে আসতে অনাগ্রহী হয়ে পড়ছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক শিক্ষক বলেন, দারিদ্র্যের কারণে এখানকার শিশুদের সহজেই স্কুলমুখী করা যাচ্ছে না। তার উপর শিক্ষক সংকটের কারণে প্রতিটি বিদ্যালয়ে পাঠদান করাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এ অবস্থায় এখানে মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। দীর্ঘদিন শিক্ষক বদলি এবং সংযুক্তি বন্ধ করে রাখায় এ সমস্যার সমাধানও হচ্ছে না।
চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য আফরোজা বেগম বলেন, আমরা পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী। তার উপর মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করা না হলে আরো পিছিয়ে যাব। তিনি বলেন, দুর্গম জনপদ হওয়ায় শিক্ষা কর্মকর্তারা নিয়মিত স্কুল পরিদর্শন করেন না। আমি চন্দ্রদ্বীপের প্রতিটি বিদ্যালয়ে শিক্ষকের শূন্যপদ পূরণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।
চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এনামুল হক আলকাচ মোল্লা বলেন, শিক্ষক সংকট দূর করার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ করে পদক্ষেপ নেয়া হবে।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা দেবাশীষ ঘোষ বলেন, বদলি ও সংযুক্তি বন্ধ থাকায় সেখানে শিক্ষক পোস্টিং দেয়া যাচ্ছে না। তবে বদলি বা সংযুক্তির আদেশ পেলেই দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়