জামায়াত আমিরের ছেলেসহ দুজন ফের রিমান্ডে

আগের সংবাদ

জামায়াত-জঙ্গি নতুন সমীকরণ : দলটির আমির ডা. শফিকের ছেলে ডা. রাফাতকে গ্রেপ্তারের পর বেরিয়ে আসছে নতুন তথ্য ও যোগসূত্র

পরের সংবাদ

ফারদিন হত্যা : সুষ্ঠু তদন্তে প্রকৃত ঘটনার উন্মোচন হোক

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

১০ দিন অতিবাহিত হতে চললেও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশ হত্যার জট খুলছে না। ফারদিন হত্যাকাণ্ডে সারাদেশে আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। সাধারণের মনে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। খুব স্বাভাবিকভাবে আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ড অনেক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের মনে ভীতির জন্ম দিয়েছিল। অভিভাবক ও তাদের সন্তানরা আতঙ্কে রয়েছে। এরপর ফারদিন হত্যা। স্বাভাবিকভাবে অভিভাবক মহলে উদ্বেগ বাড়বে। মেধাবী এবং মিশুক ফারদিনের মৃত্যুতে শোকাহত বুয়েট, শোকাহত মানুষ। এ ধরনের মৃত্যু কোনো মতেই কাক্সিক্ষত নয়। জানা গেছে, গত ৪ নভেম্বর দুপুর ৩টার দিকে ফারদিন বুয়েটের উদ্দেশে বাসা থেকে বের হন। এরপর থেকে তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। ৫ নভেম্বর বিকালে তার বাবা কাজী নূর উদ্দিন রানা রামপুরা থানায় জিডি করেন। ৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদী থেকে নৌ-পুলিশ সদস্যরা তার লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হলে পুলিশ ফারদিনের বান্ধবী বুশরাকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নেয়। ফারদিনের হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে প্রেম থাকলে সেটাও কোনোভাবেই কাক্সিক্ষত নয়। তবে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ, গোয়েন্দা তথ্য ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় পাওয়া বেশ কিছু বিষয় নিয়ে কাজ করছেন তদন্ত-সংশ্লিষ্টরা। র‌্যাব বলছে, শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী রায়হান গ্যাং ফারদিন হত্যার নেপথ্যে কাজ করেছে। এ হত্যার সঙ্গে নারীঘটিত বা মাদকের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তাকে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ঘিরে রেখে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে চনপাড়া বস্তিতে নিয়ে যাওয়া হয়। চনপাড়া বস্তি থেকে ফারদিনের বাসা তিন কিলোমিটার দূরে। আর ফারদিন বস্তির ভেতরে যায়নি। মেইন রোড থেকেই তাকে ঘিরে রেখে ভিতরে নেওয়া হয়েছে। এরপর পিটিয়ে মারা হয়েছে। ফারদিনের বাবা বারবার বলে আসছেন, তার ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। ফারদিনের বাবা কাজী নূর উদ্দিন রানা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর আস্থা রেখেছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দায়িত্বশীল তদন্ত করবেন বলে তিনি আশা করছেন। সমাজে হত্যাকাণ্ড সহজ একটি কাজ হিসেবে স্বীকৃত হয়ে গেছে। দিন দিন এই সহজ আরও সহজতর হয়ে উঠছে। হত্যাকারীর বিচার না হওয়াটাই আরও একটি হত্যার পথ সহজ করে, আরেকটা খুনির জন্ম হয়। আইন প্রয়োগে অসাবধানতা, আদর্শচ্যুত হওয়া ইত্যাদি নেতিবাচক আচরণ দায়ী হত্যা, খুনের জন্য। খুন, হত্যা বন্ধের জন্য আইনের সুশাসন ও স্বচ্ছ বিচার প্রক্রিয়া নিশ্চিত হওয়া দরকার। গোয়েন্দা সংস্থা ফারদিনের মূল হত্যাকারীকে শনাক্ত করতে সক্ষম হবে- এমন প্রত্যাশা রাখছি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়