জামায়াত আমিরের ছেলেসহ দুজন ফের রিমান্ডে

আগের সংবাদ

জামায়াত-জঙ্গি নতুন সমীকরণ : দলটির আমির ডা. শফিকের ছেলে ডা. রাফাতকে গ্রেপ্তারের পর বেরিয়ে আসছে নতুন তথ্য ও যোগসূত্র

পরের সংবাদ

ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাত : অস্ত্রোপচারের পর শঙ্কামুক্ত এসিল্যান্ড আবু বক্কর

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মো. আজিম উদ্দিন, সাভার (ঢাকা) থেকে : সাভারে ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হয়েছেন পটুয়াখালীর কলাপাড়ার উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবু বক্কর সিদ্দিক। গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সিএনবি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য সাভারের এনাম মেডিক্যাল কলেজ এন্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে সাভার মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। আহত আবু বক্কর সিদ্দিক টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর থানার হাকুড়া গ্রামের কামাল উদ্দিনের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, শীতকাল এলেই সাভারের সিএনবি এলাকায় সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের নিয়ে সার্ভে এন্ড সেটেলমেন্ট বিষয়ক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। সেখানে প্রশিক্ষণ নিতে আসেন আবু বক্কর সিদ্দিক। সোমবার গভীর রাতে তিনি সাভারে ব্যক্তিগত কাজ শেষে প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে যাওয়ার জন্য একটি বাসে করে সিএনবি এলাকায় নামেন। কিছুটা পথ হেঁটে যাওয়ার পর একদল অস্ত্রধারী ছিনতাইকারী তাকে ধরে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে সঙ্গে থাকা টাকা ও মোবাইল ফোন লুট করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য এনাম মেডিক্যাল কলেজ এন্ড হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এনাম মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার (সার্জারি) ডা. উজ্জ¦ল আহমেদ গতকাল সন্ধ্যায় ভোরের কাগজকে বলেন, কলাপাড়ার এসিল্যান্ড আবু বক্কর সিদ্দিকের বুক-পেটসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ৫টি ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। বিকেলে অস্ত্রোপচারের পর এখন তিনি শঙ্কামুক্ত। ইতোমধ্যে স্বজনদের সঙ্গে কথাও বলেছেন। বর্তমানে তিনি আইসিইউতে রয়েছেন।
সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, এসিল্যান্ডের ওপর হামলার ঘটনায় সাভার মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ছিনতাকারীদের আটকের চেষ্টা চলছে।
এদিকে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের দুই পাশে আইল্যান্ড দেয়ায় ছিনতাইকারীর সংখ্যা বেড়ে গেছে। রাতের আঁধারে ছিনতাইকারীরা ফুটওভার ব্রিজের উপরে ওঁৎ পেতে থাকে। রাতে কোনো ব্যক্তি বাসস্ট্যান্ডে নামলে ফুটওভার ব্রিজ ছাড়া পারাপার হতে পারে না। কিন্তু ওভারব্রিজে ওঠলেই ছিনতাইয়ের কবলে পড়ে মূল্যবান জিনিসপত্র লুটের পাশাপাশি জীবনও চলে যাচ্ছে অনেকের। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়