কেন্দ্রীয় ব্যাংক : ব্যাংকগুলোতে জনগণের আমানত সম্পূর্ণ নিরাপদ রয়েছে

আগের সংবাদ

মাদকের টাকায় অস্ত্রের মজুত : মিয়ানমার সীমান্তে বেপরোয়া আরসা, আল ইয়াকিন > রোহিঙ্গা শিবিরে অস্থিরতার পেছনেও এরাই

পরের সংবাদ

এনআইডি ধরে রাখতে রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ হচ্ছে ইসি

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন (এনআইডি) অনুবিভাগ নিজেদের কাছে রাখতে এবার রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ হচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এজন্য শিগগিরই একটি চিঠি দিয়ে সিদ্ধান্ত চাইবে সংস্থাটি। গতকাল সোমবার নির্বাচন ভবনের নিজ দপ্তরে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের অধীনে এনআইডি নিয়ে যাওয়ার জন্য নতুন একটি আইন করা হচ্ছে। এর আগে মন্ত্রিপরিষদ থেকে এনআইডি হস্তান্তর করার জন্য ইসিকে চিঠি দেয়া হয়েছিল। সেই পরিপ্রেক্ষিতে এনআইডি নিজেদের কাছে রাখার সুবিধা তুলে ধরে পাল্টা চিঠি দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। তবে তার কোনো জবাব না মিললেও নতুন আইন প্রণয়নের দিকেই যাচ্ছে সরকার। এই অবস্থায় নির্বাচন কমিশন রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
মো. আলমগীর বলেন, এ ব্যাপারে তো নতুন পদক্ষেপ নেই। আমি যতটুকু জানি, কর্মকর্তাদের সমিতি থেকে আবেদন দিয়েছিল। আমরা বলেছি, সেটা রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠিয়ে দেব। তিনি বলেন, কমিশন সবার কাছে সবকিছু পাঠাতে পারে না। নিয়মকানুন আছে। আমরা রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠিয়ে দেব। তার অনুলিপি হয়তো সুরক্ষা বিভাগে পাঠাব। ১০-১২ দিন আগে এরকম সিদ্ধান্তই নেয়া হয়েছে। চিঠিতে আমরা বলব, কর্মকর্তারা বিষয়টি নিয়ে আবেদন করেছেন। তাদের এ বিষয়টি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হোক।
এক প্রশ্নের জবাবে এ কমিশনার বলেন, আমরা আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এটা এখানে থাকার কতগুলো ভালো দিক আছে। আবার জিনিসটা হলো সরকারের। আমাদের কাছে দিয়ে রেখেছিলেন, এখন সরকার নিয়ে যেতে চান, প্লাস, মাইনাস অনেক বিষয় আছে। রাষ্ট্রপতি যেহেতু রাষ্ট্রের প্রধান, আমাদের গার্ডিয়ান, সরকারেরও গার্ডিয়ান, কাজেই আমরা তার কাছেই পাঠিয়ে দিই। তিনি যেটা ভালো মনে করেন, সেটাই হবে।
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর বলেন, সরকার আইন করে আমাদের এনআইডির দায়িত্ব দিয়েছিল। এখন আইন করে যদি নিয়ে যেতে চায় তাহলে আমাদের বাধা দেয়ার কিছু নেই। তবে সরকার এটা নিতে চাইলে আলাদা লোকবল এবং টেকনিক্যাল অবকাঠামো করতে হবে। সেটা অবশ্যই খরচের ব্যাপার, অনেক চ্যালেঞ্জও আছে। আমাদের ধারণা, সরকার নিতে চাইলেও সময় লাগবে। এতো তাড়াতাড়ি নিতে পারবে না। কারণ একটা সিস্টেম থেকে আরেকটা সিস্টেমে নিয়ে যাওয়া সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। সংসদে আইন পাস করতে যেমন সময় লাগবে, বাস্তবে ট্রান্সফার করতেও বেশ সময় লাগবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়