হাতিরঝিল লেক থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার

আগের সংবাদ

এলসি-এনডোর্সমেন্টে বিড়ম্বনা : ডলার সংকটে মূলধনি যন্ত্রপাতি-কাঁচামাল আমদানি ব্যাহত > বিদেশ যাত্রায় বিপাকে সাধারণ মানুষ

পরের সংবাদ

হত্যাচেষ্টার ষড়যন্ত্র : আদালতে সাক্ষ্য দিয়ে ন্যায়বিচার চাইলেন জয়

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে এবং তার তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টার ষড়যন্ত্রের মামলায় সাংবাদিক শফিক রেহমানসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন জয়। এ সময় তিনি আদালতে ন্যায়বিচার চান।
গতকাল রবিবার বিকাল ৩টা ১৭ মিনিটে সজিব ওয়াজেদ জয় আদালতে আসেন। এর কয়েক মিনিট পর ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নূরের আদালতে হাজির হয়ে সাক্ষ্য দেন তিনি। প্রায় ৩৫ মিনিট ধরে চলে সাক্ষ্যগ্রহণ। এ সময় মামলার বিবরণ দিয়ে আসামিদের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে আদালতের কাছে ন্যায়বিচার চান জয়। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে ৪টার দিকে তিনি আদালত প্রাঙ্গণ ত্যাগ করেন। এ সময় আদালতে আসামিদের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। তাই জয়কে জেরা করা হয়নি। সাক্ষ্যগ্রহণের সময় আদালতে কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করা হয়।
সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আব্দুল্লাহ আবু গণমাধ্যমকে জানান, এ মামলায় জয় ভুক্তভোগী হিসেবে সাক্ষ্য দিয়েছেন। সাক্ষ্যে তিনি বলেছেন, ‘দেশে বিএনপির উচ্চপর্যায়ের নেতারা আমাকে হত্যার ষড়যন্ত্রে জড়িত ছিলেন। এ ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রেও মামলা হয়েছে। সেখানে এফবিআইয়ের এজেন্ট রবার্ট লাক্টিটসহ কয়েকজনের শাস্তি হয়েছে।’
সাক্ষ্যে জয় আর কী বলেছেন জানতে চাইলে পিপি আব্দুল্লাহ আবু বলেন, মূলত এ মামলার বর্ণনা দিয়ে ন্যায়বিচার চেয়েছেন তিনি। আমেরিকার মামলায়ও জয় সাক্ষ্য দিয়েছেন। বাংলাদেশে সাংবাদিক শফিক রেহমানের বাসায় তাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করা হয়। শফিক রেহমানের বাসা থেকে এ সংকান্ত বিভিন্ন কাগজপত্র জব্দ করা হয়েছে। আর ৫ জনের সাক্ষ্য বাকি আছে। এছাড়া বর্তমানে চার্জশিটভুক্ত ৫ আসামি পলাতক রয়েছেন বলেও জানান তিনি। এ মামলার বাকি ৪ আসামি হলেন- আমার দেশের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, জাতীয়তাবাদী সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) সহসভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুন, তার ছেলে রিজভী আহাম্মেদ ওরফে সিজার এবং যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ভূঁইয়া।
এর আগে ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যা চেষ্টা ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনে পল্টন থানায় মামলা করেন ডিবির পরিদর্শক ফজলুর রহমান। মামলায় দণ্ডবিধির ৩০৭ এবং ১২০-বি ধারায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। এজাহারে বলা হয়, ২০১১ সালের সেপ্টেম্বর মাসের আগে যে কোনো সময় থেকে এ পর্যন্ত বিএনপির সাংস্কৃতিক সংগঠন (জাসাস) নেতা মোহাম্মদ উল্লাহসহ বিএনপি ও বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটভুক্ত দলের উচ্চপর্যায়ের নেতারা ঢাকা শহরের পল্টনের জাসাস কার্যালয়ে ও যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহর ও যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় একত্র হয়ে বৈঠকে অংশ নেন। তারা সজীব ওয়াজেদ জয়কে যুক্তরাষ্ট্রে অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছিলেন। অপরাধ ঘটানোর দায়িত্ব দেয়া হয় আসামি রিজভী আহাম্মদকে।
এরপর ২০১৬ সালের ১৬ এপ্রিল এ মামলায় সাংবাদিক শফিক রেহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তিনি জামিন পাওয়ার পর পলাতক হন। এছাড়া আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানও জামিন পেয়ে পালিয়ে যান। আর বাকি তিন আসামি শুরু থেকেই পলাতক। মামলাটি তদন্ত করে ২০১৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়।
উল্লেখ্য, জয়কে অপহরণ ও হত্যার পরিকল্পনা হয়েছিল নিউইয়র্কে। সেখানে এই মামলার বিচার সম্পন্ন হয়েছে। মামলার রায়ে বিএনপি নেতার ছেলে রিজভী আহমেদ সিজারের ৪২ মাসের কারাদণ্ড হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়