হাতিরঝিল লেক থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার

আগের সংবাদ

এলসি-এনডোর্সমেন্টে বিড়ম্বনা : ডলার সংকটে মূলধনি যন্ত্রপাতি-কাঁচামাল আমদানি ব্যাহত > বিদেশ যাত্রায় বিপাকে সাধারণ মানুষ

পরের সংবাদ

জামালপুরে জনস্বাস্থ্যের ‘নয়-ছয় উন্নয়ন’ : ড্রেনের ভেতর ২৬ খুঁটি রেখেই শেষ নির্মাণ কাজ

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

সাইমুম সাব্বির শোভন, জামালপুর : জামালপুরের মেলান্দহ পৌরবাসীর বসতবাড়ির ময়লা-আবর্জনা ও পয়নিঃষ্কাশনের জন্য পৌরসভার প্রাণকেন্দ্রে ৪ দশমিক ২ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি ড্রেন নির্মাণ করে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। এটি নির্মাণে ব্যয় হয় ৮ কোটি ২৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা। তবে পৌরসভার শিমুলতলা থেকে পোস্ট অফিস পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার জায়গায় ড্রেনের মাঝখানে পল্লী বিদ্যুতের ২৬টি বৈদ্যুতিক খুঁটি রেখে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা হয়। এর ফলে এক মাসেও ড্রেনটি চালু করা সম্ভব হয়নি।
পৌরবাসীর অভিযোগ, ড্রেনের মাঝখানে বৈদ্যুতিক খুঁটি থাকায় আটকে যাবে ময়লা-আবর্জনা এবং দুর্গন্ধ ছড়াবে। কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ড্রেনটি কোনো কাজে আসবে না। মেলান্দহ পৌরসভার বাসিন্দা মুকুল মিয়া বলেন, ড্রেনটি নির্মাণে কোটি কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে। ড্রেনের মধ্যে এখনো ৯০ শতাংশ খুঁটি রয়ে গেছে। এতে ময়লা আটকে ড্রেন বন্ধ হয়ে যাবে। তখন মানুষ গন্ধের জন্য থাকতে পারবে না।
স্থানীয়রা জানান, পরিমাপে ড্রেন ও খুঁটি প্রায় সমান হওয়ায় বসতবাড়ির ময়লা পাস না হয়ে জলাবদ্ধতার আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়াও ড্রেন নির্মাণের পর খুঁটি সরাতে গেলে সরকারকে গুনতে হবে অতিরিক্ত টাকা। এটিকে অপরিকল্পিত উন্নয়ন বলে দাবি করছে স্থানীয়রা।
কর্তৃপক্ষ দ্রুত বৈদ্যুতিক খুঁটি সরিয়ে ড্রেনটি ব্যবহারের উপযুক্ত করে তুলবে এমনটাই দাবি মেলান্দহ পৌরবাসীর। স্থানীয় বাসিন্দা রাজ্জাক বলেন, ড্রেনটি হচ্ছে আড়াই ফিট। এখানে এক ফিট খুঁটি আছে। আসলে এটা দিয়ে আমাদের কোনো কাজ হচ্ছে না। খুঁটি সরিয়ে দিলে সব ময়লা পানি ভালোভাবে বের হয়ে যাবে। মেলান্দহ পৌরসভার আরেক বাসিন্দা নুরুল আমিন বলেন, ২৬টি খুঁটি সরাতে হলে আবার ড্রেন ভাঙতে হবে। পরে আবার ড্রেন সংস্কারের জন্য সরকারকে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করতে হবে। এটি আসলে নয়-ছয় উন্নয়ন।
জামালপুরের মানবাধিকারকর্মী জাহাঙ্গীর সেলিম বলেন, আমরা যতটুকু জানি। প্রতিটি নির্মাণ কাজে এমন ড্রেন বা গাছ থাকলে সেসব সরানো বা অপসারণের জন্য বরাদ্দ থাকে। মেলান্দহের এই খুঁটিগুলো সরানোর জন্যও নিশ্চয় বরাদ্দ ছিল। তাহলে সেই বরাদ্দ কোথায় গেল?
খুঁটি সরানোর বিষয়ে জামালপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মেলান্দহ জোনাল অফিসের ডিজিএম মো. নুরুল আমিন বলেন, জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তর আমাদের লিখিতভাবে কিছুই জানায়নি। মৌখিকভাবেও একবারের জন্য বলেনি। তারা প্রথমে আমাদের চিঠি দেবে। এরপর খুঁটি সরানোর জন্য যে ব্যয় সেটির একটি চাহিদা তাদের পাঠাব। তারপর তারা সেই চাহিদার বিল পাস করলেই আমরা খুঁটি সরানোর কাজ শুরু করব। এটি একটি প্রক্রিয়া। শুধু মুখে বললেই হয় না। আর এসব বিষয়ে কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি জামালপুরের জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সুলতান মাহমুদ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়