হাতিরঝিল লেক থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার

আগের সংবাদ

এলসি-এনডোর্সমেন্টে বিড়ম্বনা : ডলার সংকটে মূলধনি যন্ত্রপাতি-কাঁচামাল আমদানি ব্যাহত > বিদেশ যাত্রায় বিপাকে সাধারণ মানুষ

পরের সংবাদ

জনবল সংকটে ধামইরহাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সেবা ব্যাহত

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মো. আব্দুল আজিজ মণ্ডল, ধামইরহাট (নওগাঁ) থেকে : নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দিন দিন রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে হাসপাতালটি এখন জনবল সংকটে ভুগছে। এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১০টি কনসালটেন্টের পদ শূন্য রয়েছে। ডেন্টাল সার্জারি, চক্ষু সার্জারি, চর্ম ও যৌন, অ্যানেসথেশিয়া, কার্ডিওলজিও এন্ট্রি নেই। এখন জনবল সংকটে রোগীর চিকিৎসা সেবা মারাত্মক ব্যাহত হচ্ছে।
নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিন গড়ে ইনডোরে প্রায় ৭০ জন রোগী ভর্তি থাকে। আর আউটডোরে প্রায় ২৫০ জন রোগী চিকিৎসার জন্য আসে। গত শনিবার থেকে সর্দি, কাশি, ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। আবাসিক মেডিকেল অফিসার না থাকায় সহযোগী মেডিকেল অফিসার জহুরুল ইসলাম দায়িত্ব পালন করছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ধামইরহাট হাসপাতালটি ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হলেও বেড খালি থাকে না। প্রায় ১৫০ রোগীকে ফ্লোরে চিকিৎসা সেবা নিতে দেখা গেছে। অত্যাধুনিক ভারী যন্ত্রপাতি থাকা সত্ত্বে¡ও চিকিৎসকের অভাবে সেগুলো ব্যবহার করা যাচ্ছে না। তাই রোগীদের এক প্রকার বাধ্য হয়ে পাশের জয়পুরহাটে যেতে হচ্ছে।
এদিকে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার না থাকায় বিভিন্ন রোগের জন্য একই ডাক্তার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। মূলত একজন ডাক্তারকে একাধিক দায়িত্ব পালন করতে হয়। সিনিয়র, জুনিয়র মিলে কর্মরত ১১ জন ডাক্তার এখানে কর্মরত।
হাসপাতালে ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারীদের মধ্যে ল্যাব সহকারী নাই, আয়া দুই জন নেই, অফিস সহায়ক ছয় জনের পাঁচ জন নেই, পরিচ্ছন্নতা কর্মী দুই জন নেই, ওয়ার্ড বয় নেই। পর্যাপ্ত আয়া, ওয়ার্ড বয় না থাকায় রোগী সেবায় মারাতœক ভোগান্তি পোহাতে হয়। আয়া না থাকায় ওয়ার্ড ক্যাবিন, বাথরুম যথেষ্ট পরিষ্কার, পরিচ্ছন্ন থাকে না। বিশেষজ্ঞ ডাক্তার না থাকায় ফার্মাসিস্টরা দায়িত্ব পালন করছেন। চর্ম, যৌন রোগীর ডাক্তার না থাকায় প্রতিনিয়ত রোগীরা ফিরে যাচ্ছে।
ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইউএইচও ডাক্তার স্বপন কুমার বিশ্বাস ভোরের কাগজকে জানান, এখন সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া রোগী বৃদ্ধি পাচ্ছে। জনবল সংকটে চিকিৎসা সেবা মারাত্মক ব্যাহত হচ্ছে। এ কারণে গত মাসিক মিটিংয়ে স্থানীয় এমপি শহীদুজ্জামান সরকার হাসপাতালটিকে ১০০ শয্যায় উন্নীত করতে সিভিল সার্জনের মাধ্যমে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে রেজুলেশন কপি পাঠাতে পরামর্শ দিয়েছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়