সরকার ৬৭ লাখ তরুণ-তরুণীকে আয়বর্ধক পেশায় প্রশিক্ষণ দিয়েছে

আগের সংবাদ

১০ ডিসেম্বর কী হবে ঢাকায়? বিএনপির সমাবেশ ঘিরে উত্তাপ বাড়িয়েছে আমানের আল্টিমেটাম > রাজপথে মোকাবিলা করবে আ.লীগ

পরের সংবাদ

বাংলা টাইগার্সের কোচ টাইবু

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : টি-টেন লিগে বাংলা টাইগার্স দলের সহকারী কোচ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন জিম্বাবুয়ের সাবেক অধিনায়ক টাটেন্ডা টাইবু। খুবই অল্প বয়সে নিজের ব্যাটিং দিয়ে বিশ্ব ক্রিকেটে সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন তিনি। গত পরশু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে টাইবুকে নিয়োগ দেয়ার কথা জানায় বাংলা টাইগার্স।
বাংলা টাইগার্স ফেসবুক পেজে বিষয়টি নিশ্চিত করে লিখেন, জিম্বাবুয়ের একজন কিংবদন্তি যিনি এক যুগ ধরে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি এখন একজন টাইগার। আমরা টাইবুকে টি-টেন লিগে বাংলা টাইগার্সের ৬ষ্ঠ মৌসুমের সহকারী কোচ হিসেবে ঘোষণা করতে পেরে আনন্দিত। বাংলা টাইগার্সের প্রধান কোচ হিসেবে এবার থাকছেন স্টুয়ার্ট ল। ব্যাটিং কোচ পল নিক্সন এবং বোলিং কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন শন টেইট।
দলের আইকন খেলোয়াড় বাংলাদেশ জাতীয় দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। টি-টেন লিগের ষষ্ঠ আসরের নিলাম হয়েছিল গত সেপ্টেম্বরে। সেই ড্রাফট থেকে বাংলাদেশ দলের উইকেটকিপার নুরুল হাসান সোহান ও পেসার মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীকে দলে ভেড়ায় বাংলা টাইগার্স।
এছাড়া বিদেশিদের মধ্যে রয়েছে মোহাম্মদ আমির, কলিন মুনরো, এভিন লুইস, ড্যান ক্রিশ্চিয়ান, মাহিশ পাথিরানার মতো তারকারা। এক সময় সাকিব আল হাসানের বিপক্ষে খেলেছেন অনেক ম্যাচ। সেই টাইবুই এবার বাংলা টাইগার্সের কোচ নিযুক্ত হয়েছেন। খেলোয়াড় হিসেবে টাইবুর ক্যারিয়ার খুব বেশি লম্বা নয়।
ধর্মীয় কাজে মনোযোগ দিতে ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছিলেন তিনি। খেলোয়াড়ি জীবনে খেলেছেন আইপিএলের দল কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়েও। বাংলাদেশের বিপক্ষে অনেকবার হেসেছে টাইবুর ব্যাট। টেস্টে তার সর্বোচ্চ ১৫৩ রানের ইনিংসটিও বাংলাদেশের বিপক্ষে।
২০০১ সালে জাতীয় দলের হয়ে তার অভিষেক ঘটে। ২০০৪ সালের এপ্রিলে জাতীয় দলের অধিনায়ক নিযুক্ত হন। ২০০৫ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত ছিলেন দলের বাইরে। এরপর ২০০৭ সালে পুনরায় জিম্বাবুয়ে দলে প্রত্যাবর্তন করেন। ২০১২ সালের ১০ জুলাই মাত্র ২৯ বছর বয়সে খেলোয়াড়ী জীবনে সমাপ্তি টানেন তিনি।
২০১৬ সালের জুনে তিনি পিটার চিঙ্গোকার অনুপ্রেরণায় জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের নির্বাচক ও উন্নয়ন কর্মকর্তার আহ্বায়ক হিসেবে একটি ভূমিকা গ্রহণ করেন।
টাইবু প্রায় ১১ বছর জিম্বাবুয়ে দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দেশের হয়ে ২৮ টেস্ট, ১৫০ ওয়ানডে আর ১৭টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন সাবেক এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার। রানের দিক দিয়ে ওডিআইয়ে দেশের চতুর্থ সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক এবং উইকেটকিপার হিসেবে আউট করার দিক দিয়ে অ্যান্ডি ফ্লাওয়ারের পরেই তার অবস্থান।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়