স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী : আতঙ্কিত হওয়ার মতো অবস্থায় নেই বাংলাদেশ

আগের সংবাদ

সরকারি ওষুধ সিন্ডিকেটের পেটে : রোগীর ভাগ্যে জোটে যৎসামান্য, বিনামূল্যে মিলে কোন ওষুধ জানেন না রোগী, তিন স্তরে পাচার হয়

পরের সংবাদ

বুয়েট শিক্ষার্থী হত্যা : সব বিষয় মাথায় রেখেই চলছে তদন্ত

প্রকাশিত: নভেম্বর ১২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশকে হত্যা মামলার দুদিন পেরিয়েছে গতকাল শুক্রবার। তবে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করা এ ঘটনা নিয়ে এখনো ক্লু-লেস তদন্তের দায়িত্ব পাওয়া ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা। ইতোমধ্যে চাউর হওয়া মাদক ইস্যুসহ সব বিষয় মাথায় রেখে তদন্ত করছেন তারা। এ ঘটনায় রিমান্ডে থাকা ফারদিনের বান্ধবী বুশরাকেও জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি সহযোগিতা করছেন বলে জানিয়েছে তদন্তসংশ্লিষ্টরা।
এদিকে, ফারদিনের মাদকসংশ্লিষ্ট বিষয়টি চাউর হওয়ার বিষয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে তার পরিবার। তাদের দাবি- এমন কোনো কিছু নয়, অন্য কারণে খুন হতে পারে ফারদিন। তদন্ত ঠিক থাকলে সব বেরিয়ে আসবে বলে বিশ্বাস তাদের। অন্যদিকে তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্রের খবরে চাউর হয় যে, গত ৪ নভেম্বর রাত ২টা ৩৫ মিনিটে ফারদিনের অবস্থান
চনপাড়ায় পাওয়া যায়। সেখানে গিয়ে মাদক কারবারিদের সঙ্গে তার বাকবিতণ্ডা হয়। তাদের মারধরেই খুন হন ফারদিন। পরে তার লাশ গুম করতে পাশের শীতলক্ষ্যা নদীতে ফেলে দেয়া হয়। এর আগে ওইদিনই বুশরার সঙ্গে রিকশায় করে রামপুরা ব্রিজের কাছে পৌঁছানোর কিছু সময় আগে থেকে ইফাত জাহান মমো নামে এক বান্ধবীর সঙ্গে চ্যাটিং করছিলেন ফারদিন। বুশরা রিকশা থেকে নেমে যাওয়ার পর একটি মোটরসাইকেলে করে কেরানীগঞ্জ ও জনসন রোডসহ বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বেড়ান তিনি। সবশেষ জনসন রোড থেকে চনপাড়া এলাকায় যান। এ সময়ের মধ্যে বান্ধবী মমোর সঙ্গে চ্যাটিং চালিয়ে গেছেন। তাকে দুটি ফানি ভিডিও পাঠান তিনি। সেগুলো দেখে, ‘আই সি দ্য ভিডিও’ লিখে রিপ্লাই দিয়েছেন মমো। ১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত মমোর সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন ফারদিন।
ফারদিনের বাবা কাজী নুরুউদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, মাদকের মতো কোনো কিছু নয়, অন্য কারণে খুন হতে পারে ফারদিন। তদন্ত সঠিক থাকলে সব বেরিয়ে আসবে বলে বিশ্বাস তার। এ বিষয়ে ডিএমপি ডিবি শাখার মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) রাজীব আল মাসুদ ভোরের কাগজকে জানান, নানা বিষয় মাথায় রেখে তদন্ত করছেন তারা। এ ঘটনায় রিমান্ডে থাকা ফারদিনের বান্ধবী বুশরাকেও জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছে। খুনের মোটিভ সম্পর্কে বলার মতো কিছুই পাওয়া যায়নি এখনো।
প্রসঙ্গত, নিখোঁজের তিন দিন পর গত সোমবার সন্ধ্যার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জের বনানী ঘাটসংলগ্ন ল²ীনারায়ণ কটন মিলের পেছন দিক থেকে বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ফারদিনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে গত ৪ নভেম্বর রাতে নিখোঁজ হন তিনি। এ ঘটনায় রামপুরা থানায় একটি জিডি করেন তার পরিবার। নিখোঁজ হওয়ার আগে তার বান্ধবীর সঙ্গে ছিলেন বলে জিডিতে উল্লেখ করেন ফারদিনের বাবা কাজী নুরুউদ্দিন। পরে গত বুধবার বুশরার নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো কয়েক আসামির নামে হত্যা মামলা করেন। পরের দিন গত বৃহস্পতিবার অভিযুক্ত বুশরাকে রাজধানীর রামপুরা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ওইদিনই আদালতে হাজির করে তার রিমান্ড চাওয়া হলে শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান তার ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এছাড়া মামলাটি তদন্ত কার্যক্রম শেষ করে আগামী ১২ ডিসেম্বর প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দেন আদালত।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়