রিমান্ড শেষে মহিলা দল নেত্রী সুলতানা কারাগারে

আগের সংবাদ

দেশে কোনো দুর্ভিক্ষ হবে না > সোহরাওয়ার্দীর জনসমুদ্রে প্রধানমন্ত্রী : যারা বলেছিল বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হবে, তাদের মুখে ছাই পড়েছে

পরের সংবাদ

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী : আতঙ্কিত হওয়ার মতো অবস্থায় নেই বাংলাদেশ

প্রকাশিত: নভেম্বর ১১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : মালিক-শ্রমিক সবাই বাস্তবতার সব কিছুই জানেন। পৃথিবীর ১০ শতাংশ খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন হয় রাশিয়া-ইউক্রেনে। সেখানে যুদ্ধ চলছে। জ্বালানি মূল্যও কয়েকগুণ বেড়েছে। এটা সারা পৃথিবীর বাস্তবতা। শিল্প খাতে উৎপাদন অব্যাহত রাখতে গ্যাস আমদানি করতে হয়। এমন বাস্তবতায় অনেক সময় অনেক কারখানায় গ্যাস সরবরাহ দেয়া যাচ্ছে না। তবে এলএনজি দিয়ে গ্যাসের অভাব পূরণের চেষ্টা করছি আমরা। এক্ষেত্রে আতঙ্কিত হওয়ার মতো অবস্থায় নেই বাংলাদেশ।
ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের যুগপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজারবাগ পুলিশ অডিটরিয়ামে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতিত্ব করেন ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মাহবুবুর রহমান। এ সময় অতিথি হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান ও পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, একটা সময় ইন্ডাস্ট্রির পর ইন্ডাস্ট্রি আগুনে জ্বালিয়ে দেয়ার দৃশ্য আমরা দেখেছি। মালিকদের কেউ কেউ যখন শ্রমিকদের বেতন দিতে পারতেন না তখন বিক্ষোভ, ভাঙচুর, জ্বালাও-পোড়াও হতো। সেই অবস্থা এখন বদলেছে। ব্যবসায়ী নেতাদের পরামর্শে প্রধানমন্ত্রী শিল্প পুলিশ গঠন করেন। ১৫ বছর আগের পুলিশ ও বর্তমান পুলিশ একদম আলাদা। বর্তমান পুলিশ দক্ষ, বিচক্ষণ। তাদের হাতেই শিল্প পুলিশের নিয়ন্ত্রণ।
ঢাকায় ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ গঠন করার ইচ্ছা নেই উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ঢাকায় আর লোকসংখ্যা বাড়ানো যাবে না। আমরা নিরুৎসাহিত করছি ঢাকায় শিল্প গড়া। বরং ঢাকা থেকে শিল্পপ্রতিষ্ঠান সরানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তবে আমি স্মরণ রাখব- ঢাকায় ডিএমপির কয়েকজন কর্মকর্তা রেখে শিল্পকারখানার শৃঙ্খলায় নজরদারি রাখা যায় কিনা।
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান বলেন, আমরা খুবই চ্যালেঞ্জিং সময়ের মধ্যে আছি। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে অনেকে সুযোগ নিতে পারে। সেদিকে পুলিশকে খেয়াল রাখতে হবে।
আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, শিল্প খাতের উন্নতি ও রপ্তানি আয় বাড়ার ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভূমিকা রয়েছে শিল্প পুলিশের। শিল্প খাতে শ্রমিক অসন্তোষ, শ্রমিকদের অধিকার রক্ষা, শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ও শৃঙ্খলা রক্ষায় নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড বন্ধে গোয়েন্দা কার্যক্রম পরিচালনা করছে শিল্প পুলিশ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়