রিমান্ড শেষে মহিলা দল নেত্রী সুলতানা কারাগারে

আগের সংবাদ

দেশে কোনো দুর্ভিক্ষ হবে না > সোহরাওয়ার্দীর জনসমুদ্রে প্রধানমন্ত্রী : যারা বলেছিল বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হবে, তাদের মুখে ছাই পড়েছে

পরের সংবাদ

সিলেটে সুখবর : প্রতিদিন মিলবে ১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস

প্রকাশিত: নভেম্বর ১১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

সিলেট ব্যুরো : জাতীয় পর্যায়ে গ্যাস সংকটের মুহূর্তে সুখবর দিল সিলেটের বিয়ানীবাজার গ্যাসক্ষেত্রের পরিত্যক্ত ১ নম্বর কূপ। সেখানে আবারো গ্যাসের মজুদ পেয়েছে রাষ্ট্রীয় গ্যাস উত্তোলন প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স)।
বাপেক্স জানায়, বিয়ানীবাজার গ্যাসক্ষেত্রের পরিত্যক্ত ১ নম্বর কূপে আবারো গ্যাসের মজুদ পাওয়া গেছে। এ গ্যাসক্ষেত্র থেকে প্রতিদিন ১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। ২ মাস আগে এই কূপে খনন শুরু করে বাপেক্স।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী শাহিনুর ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, বিয়ানীবাজার গ্যাসক্ষেত্রে দুটি কূপ রয়েছে। এর মধ্যে ১ নম্বর কূপ থেকে ১৯৯৯ সালে উৎপাদন শুরু হয়, ২০১৪ সালে তা বন্ধ হয়ে যায়। ফের ২০১৬ সালের শুরুতে উৎপাদন শুরু হয়ে আবার ওই বছরের শেষদিকে উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। এরপর থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকা এই কূপে ১০ সেপ্টেম্বর থেকে আবার খননকাজ শুরু হয়। খনন কাজের শুরুতে ধারণা করা হয়েছিল এ কূপ থেকে প্রতিদিন ৭ মিলিয়ন বা ৭০ লাখ ঘনফুট গ্যাস মিলতে পারে। তবে খনন শেষে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এ কূপ থেকে প্রতিদিন ১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি বলেন, আরো কিছু কার্যক্রম শেষে শিগগিরই আমরা এ কূপ থেকে উৎপাদন শুরু করতে পারব। খনন শুরুর আগে ডিপিপিতে ধরা হয়েছিল এখানে প্রতিদিন ৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মিলতে পারে। তবে এখন মনে হচ্ছে আরো বেশিই পাওয়া যাবে।
প্রকৌশলী শাহিনুর ইসলাম জানান, বিয়ানীবাজারের কূপ ছাড়াও গোলাপগঞ্জের কৈলাশটিলা-৮ ও গোয়াইনঘাট-১০ নম্বর কূপ খনন এবং রশিদপুরে একটি পাইপলাইন স্থাপন প্রকল্পের কাজ চলছে। এসব কাজ শেষে এসজিএফএলের গ্যাস উৎপাদন আরো বাড়বে। এ ছাড়া দুটি প্রকল্পের আওতায় বিয়ানীবাজার ফিল্ড এবং ব্লক-১৩ ও ১৪-এর আওতায় ডুপিটিলা, বাতচিয়া, হারারগঞ্জ, জকিগঞ্জ ও সিলেট সাউথে ত্রিমাত্রিক সিসমিক জরিপ কাজ সম্পন্নের পথে। এর ফলে ২০২৩ সালের মধ্যে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে। সব প্রকল্প বাস্তবায়নের পর ২০২৫ সালের মধ্যে সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেড থেকে দৈনিক গ্যাস উৎপাদন ১৬৪ মিলিয়ন ঘনফুটে বৃদ্ধি পাওয়ার আশা রয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়