রিমান্ড শেষে মহিলা দল নেত্রী সুলতানা কারাগারে

আগের সংবাদ

দেশে কোনো দুর্ভিক্ষ হবে না > সোহরাওয়ার্দীর জনসমুদ্রে প্রধানমন্ত্রী : যারা বলেছিল বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হবে, তাদের মুখে ছাই পড়েছে

পরের সংবাদ

জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাবেক চেয়ারম্যান, যুবলীগ : আমরা সৃষ্টিশীল যুবলীগ দেখতে চাই

প্রকাশিত: নভেম্বর ১১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মুহাম্মদ রুহুল আমিন : এডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুবলীগের সাবেক চেয়ারম্যান, বর্তমানে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য। সংগঠনটির ৫০তম বর্ষপূর্তিতে সব নেতাকর্মীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে

তিনি বলেছেন, সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে গড়ে ওঠা আন্দোলনে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে যুবলীগ। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর থেকেই তার ভ্যানগার্ড হিসেবে যুবলীগ দায়িত্ব পালন করছে। সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান, এইচ এম এরশাদ ও খালেদা জিয়ার দুঃশাসনের বিরুদ্ধে রাজপথে লড়াই-সংগ্রাম করেছে এই সংগঠন। গতকাল বৃহস্পতিবার টেলিফোনে ভোরের কাগজকে দেয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন তিনি। এসময় যুবলীগের চ্যালেঞ্জ, উত্থান-পতনের রাজনীতি, প্রতিষ্ঠার ইতিহাস তুলে ধরেন নানক।
আগামীর যুবলীগকে কেমন দেখতে চান- জবাবে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, আমরা সৃষ্টিশীল যুবলীগ দেখতে চাই। যা নতুন ডাইভারশেনে চলবে। যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শেখ ফজলুল হক মণি ছিলেন একজন ছাত্র নেতা, সংগঠক, সাংবাদিক ও কলামিস্ট। তিনি বাংলার বাণীতে লিখেছিলেন, মোনায়েমের প্রশাসন দিয়ে শেখ মুজিবের প্রশাসন চলতে পারে না। শেখ মণি বলেছিলেন, বিপ্লবের পর প্রতিবিপ্লব আসবে। শেখ মণির পুত্র শেখ ফজলে শামস পরশের নেতৃত্বে যুবলীগ। ৫০ বছর দীর্ঘ ত্যাগ-তিতিক্ষার সময়। বিশ্বাস করি, এই যুবলীগ বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথে মণি ভাইয়ের স্বপ্ন বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ও মুখ্য ভূমিকা পালন করবে। তিনি বলেন, করোনাকালে মৃতদেহ সৎকার থেকে শুরু করে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেয়া, ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস, অক্সিজেন সেবা, কৃষকের ধান কেটে কৃষকের বাড়িতে পৌঁছে দেয়ার কাজ করেছে যুবলীগ।
নানক বলেন, সদ্য স্বাধীন হওয়া বাংলাদেশে তরুণ-যুব সমাজকে একটি পতাকাতলে সমবেত করার জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে শেখ মণি ১৯৭২ সালের ১১ নভেম্বর যুবলীগ প্রতিষ্ঠা করেন। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টে জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার পর যুবলীগই প্রথম প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ গড়ে তোলে। যুবলীগের প্রতিটি নেতা ছিল প্রতিরোধ যোদ্ধা। বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিশোধ নিতে চট্টগ্রামের যুবলীগ নেতা মৌলভী সৈয়দকে সামরিক বাহিনী গ্রেপ্তার করে অমানবিক নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করে। বগুড়ার আরেক যুবলীগ নেতা খসরুকে হত্যা করে। যুবলীগ থেকেই প্রথম স্লোগান ওঠে- জাতির পিতার দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাকে সসম্মানে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে। এজন্য জনমতও তৈরি করেছে যুবলীগ।
চরম দুঃসময়ে যুবলীগের দায়িত্ব পালন করার কথা স্মরণ করে সংগঠনটির সাবেক এই চেয়ারম্যান বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে ২০০১ সালে যখন খালেদা-নিজামী রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করল, তখন থেকেই তারা আওয়ামী লীগ ও মুক্তিযুদ্ধের শক্তির ওপর প্রচণ্ড আঘাত করে। এই ভূখণ্ডকে হত্যার লীলাভূমিতে পরিণত করে তারা। সেই সংকটময় মুহূর্তে আমার এবং মির্জা আজমের ওপর এই গুরুদায়িত্ব অর্পণ করেছিলেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। আমরা বিএনপি-জামায়াতের অপশাসনের বিরুদ্ধে দুর্বার প্রতিরোধ গড়ে তুলেছি। সেসময় আন্দোলন-সংগ্রাম করতে গিয়ে বহু যুবলীগ কর্মী জীবন দিয়েছে।
তিনি বলেন, যুবলীগ জাতির যে কোনো সংকটময় মুহূর্তে শেখ হাসিনার নির্দেশে আত্মবলিদান দিতে ভয় পায় না। এর জ¦লন্ত উদাহরণ যুবলীগ নেতা নূর হোসেন। নূর হোসেন এরশাদবিরোধী আন্দোলনে নিজের বুকে-পিঠে ‘স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক’ স্লোগান লিখে লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয়েছিল। সেদিন শুধু নূর হোসেনই নন- বাবুল, ফাত্তাহসহ আরো কয়েকজনকে জীবন দিতে হয়েছে, যা বাংলাদেশের জন্য একটা কালো অধ্যায়। এম এস কিবরিয়া, আহসান উল্লাহ মাস্টারসহ অনেককে হত্যা করেছে তারা। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে গ্রেনেড হামলা করেছে। সব অপশক্তির বিরুদ্ধেই সোচ্চার ছিল যুবলীগ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়