রিমান্ড শেষে মহিলা দল নেত্রী সুলতানা কারাগারে

আগের সংবাদ

দেশে কোনো দুর্ভিক্ষ হবে না > সোহরাওয়ার্দীর জনসমুদ্রে প্রধানমন্ত্রী : যারা বলেছিল বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হবে, তাদের মুখে ছাই পড়েছে

পরের সংবাদ

অধ্যাপক বদরূল ইমাম, ভূতত্ত্ববিদ ও জ্বালানি বিশেষজ্ঞ : বাস্তবায়ন জোরালো করতে হবে

প্রকাশিত: নভেম্বর ১১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১১, ২০২২ , ১২:১০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ভূতত্ত্ববিদ ও জ¦ালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক বদরূল ইমাম বলেছেন, দীর্ঘমেয়াদি জ¦ালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা অনেক দেরি করে ফিলেছি। বৈশ্বিক জ¦ালানি সংকট সামনে আসার পর আমাদের দুর্বলতাগুলো প্রকাশ পেয়েছে। এখন দীর্ঘমেয়াদি জ¦ালানি নিরাপত্তায় সরকারকে জোরালো কৌশল নিয়ে কাজ করতে হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরের কাগজের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।
অধ্যাপক বদরূল ইমাম বলেন, জ¦ালানি সংকট নিরসনে সরকার এখন যেসব পরিকল্পনা নিয়েছে বলে আমরা শুনছি, সেগুলো আজ থেকে ৫ বছর আগে নেয়া হলে এতটা সংকটে পড়তে হতো না। এখানেই সরকার ভুল করেছে। আমরা বারবার দেশীয় জ¦ালানি অনুসন্ধান ও উত্তোলনের জন্য বলেছি। তখন গ্যাসের উৎপাদন বাড়লেও বিদ্যুতের উৎপাদনে এখন ঘাটতি থাকত না। স্থানীয় গ্যাসের উৎপাদন বাড়াতে হবে। প্রয়োজনে কিছু গ্যাস আমদানিও করতে হবে। ভোলার গ্যাস শতভাগ ব্যবহারের জন্য দ্রুত পরিকল্পনা করে তা বাস্তবায়নে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কয়লা মাটির নিচে রেখে দিলে সুফল আসবে না। কয়লা তুলে ব্যবহারেই সুফল মিলবে। আগামীতে কয়লাভিত্তিক যে বিদ্যুৎ প্রকল্পগুলো উৎপাদনে আসছে তার জন্য তো বিদেশ থেকে কয়লা আমদানি করতে হচ্ছে। এখানে দেশীয় কয়লার ব্যবহার হলে খরচ কম লাগতো। বিদ্যুৎ ও জ¦ালানি আমদানি নির্ভর না হয়ে স্থানীয় উৎসগুলোর ওপর নির্ভরতা বাড়তে হবে।
তিনি বলেন, এতদিন উন্নতমানের রিফাইনারি করার উদ্যোগ নেয়া হয়নি। এ কারণে আমরা কম দামে ক্রুড অয়েল পেয়েও কাজে লাগাতে পারছি না। সংকটের মুখে পড়ে রিফাইনারি আধুনিকায়নের কাজ শুরু হয়েছে। জ¦ালানি তেলের বড় রিজার্ভার না থাকায় রিজার্ভের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা। ৪৫ দিনের তেল মজুতের সক্ষমতা রয়েছে, এখন ৬০ দিনের রিজার্ভ রাখার সক্ষমতার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
বদরূল ইমাম আরো বলেন, কয়লার অনুসন্ধান, ব্যবহার ও উত্তোলন নিয়ে অনেক বিরোধিতা আছে। তবে আমি বলব, কয়লা নিয়ে আরো আগে সরকারের গুরুত্বসহকারে ভেবে দেখা উচিত ছিল। ভবিষ্যতের জ¦ালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে অবশ্যই দেশীয় কয়লা উত্তোলন ও ব্যবহার করতে হবে। পরিবেশ ও মানুষের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে বড়পুকুরিয়া কয়লার খনির মতো ভূগর্ভস্থ খনন পদ্বতিতে কয়লা উত্তোলনের ব্যবস্থা নিতে হবে। নতুন সব কয়লাখনিতে কয়লা উত্তোলন দ্বিগুণ করা গেলে আমদানি থেকে শুরু করে বিদ্যুৎকেন্দ্র পর্যন্ত নিতে অনেক সাশ্রয় হবে। আমাদের ৫টি কয়লাভিত্তিক নতুন প্রকল্পে দেশীয় কয়লা ব্যবহার করা হলে প্রায় ১০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব। এখন জোরালো উদ্যোগ নেয়া হলে ৪/৫ বছরেই আমরা এই সুফল পাব। এতে আমাদের দীর্ঘমেয়াদি জ¦ালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।
উন্নত দেশগুলোর কয়লা ব্যবহারের উদাহরণ টেনে অধ্যাপক বদরূল ইমাম বলেন, জার্মানি, ভারত, চীনসহ অনেক দেশই কয়লা উত্তোলন অব্যাহত রেখেছে। গত কয়েক বছরে বিশ্বে কয়লার ব্যবহার ৫ শতাংশ বেড়েছে। অথচ আমরা আমাদের কয়লা রেখে দিয়েছি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়