পাচার অর্থ ফেরাতে আট দেশের সঙ্গে চুক্তি চায় দুদক

আগের সংবাদ

টেকসই জ্বালানি নিরাপত্তায় নজর : দেশীয় গ্যাস-কয়লা উত্তোলন, তেলের মজুত ও পরিশোধন সক্ষমতা বাড়ানো, পাইপলাইনে ডিজেল আমদানি

পরের সংবাদ

৩৮ দিন পর কবর থেকে লাশ উত্তোলন

প্রকাশিত: নভেম্বর ১০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মহম্মদপুর (মাগুরা) প্রতিনিধি : মহম্মদপুরে বড়রিয়া গ্রামের আবু বক্কার শেখ (৫৫) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যুর ৩৮ দিন পর কবর খুঁড়ে তার মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে। পিতৃ হত্যার অভিযোগে তার বড় ছেলে সিজান মাহমুদ সাগর বাদী হয়ে তার মা ও মামাসহ ৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়েরের পর গতকাল বুধবার সকালে মরদেহ উত্তোলন করে মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
এ সময় সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বাসুদেব কুমার মালো, সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি ডা. সৌরভ সাহা, সংশ্লিষ্ট কাজে কর্তব্যরত পুলিশ ও ডোম সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। কবর খুঁড়ে মরদেহ উত্তোলনের খবর ছড়িয়ে পড়লে ধোয়াইল গোরস্তানে উৎসুক জনতার ভিড় জমে।
মামলার আরজি মতে, গত ২ অক্টোবর ভোরে মারা যান আবু বক্কার শেখ। তিনি দীর্ঘ প্রায় ৩০ বছর সৌদিতে ব্যবসা করতেন। এ কারণে এলাকায় তিনি ‘ধণি বক্কার’ নামে পরিচিত। তিনি সৌদিতে থাকার সুযোগে তার স্ত্রী স্থানীয় জনৈক রকিবুল ইসলাম হিরকের সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। বহুবার তাকে অনৈতিক পথ থেকে ফিরে আসার কথা বললেও তিনি শোনেনি। এক মাস আগে তার স্ত্রী কথিত ওই প্রেমিকের সঙ্গে নিরুদ্দেশ হন। এক সপ্তাহ পর বাড়িতে ফিরে আসলে তার স্বামীসহ কয়েকজন তার নিরুদ্দেশ হওয়ার কারণ জানতে চাইলে সে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এবং বেশি বাড়াবাড়ি করলে স্বামীকে খুন করার হুমকি দেন। ঘটনার একদিন আগে বাদির আপন মামা মাছুদুর রহমানের বাড়িতে আসামিরা বসে আবু বক্কার শেখকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। সে মোতাবেক ঘটনার দিন গত ২ অক্টোবর ভোরে আবু বক্কারকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করার পর বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। এরপর আসামিরা তড়িঘড়ি করে বক্কার শেখের মরদেহ দাফন করে দেয়।
মামলার বাদী সিজান মাহমুদ সাগর জানান, বাবার মরদেহ দাফনের পর বিশ্বস্ত কয়েকজনের কাছে পিতার মারা যাওয়ার রহস্য জানতে পারেন। বক্কার শেখ মারা যাওয়ার ১০ দিন পর তিনি মাগুরা আদালতে মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় বাদীর মায়ের কথিত প্রেমিক রকিবুল ইসলাম হিরককে প্রধান আসামি করা হয়েছে। ২ নম্বর আসামি করা হয়েছে তার মা সিমা পারভীনকে। ৫ নম্বর আসামি করেছেন আপন মামা মাছুদুর রহমানকে। এই মামলায় ৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অজ্ঞাত রয়েছে আরো ৪/৫ জন।
গত বুধবার মহম্মদপুর আমলী আদালত মাগুরার বিজ্ঞ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মু. হাবীবুর রহমান দরখাস্তটিকে এফআইআর হিসেবে গণ্য করে পুলিশ রিপোর্ট দাখিলের জন্য মহম্মদপুর থানার ওসি নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার খবর পেয়ে আসামিরা আত্মগোপন করেন। মহম্মদপুর থানার ওসি অসিত কুমার রায় বলেন, আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী কবর খুঁড়ে লাশ উত্তোলন করে মর্গে পাঠানো হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়