পাচার অর্থ ফেরাতে আট দেশের সঙ্গে চুক্তি চায় দুদক

আগের সংবাদ

টেকসই জ্বালানি নিরাপত্তায় নজর : দেশীয় গ্যাস-কয়লা উত্তোলন, তেলের মজুত ও পরিশোধন সক্ষমতা বাড়ানো, পাইপলাইনে ডিজেল আমদানি

পরের সংবাদ

দক্ষিণবঙ্গে সম্ভাবনার হাতছানি : সাতক্ষীরা বসন্তপুর নদীবন্দর স্থাপনে গেজেট প্রকাশ

প্রকাশিত: নভেম্বর ১০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মসিউর রহমান ফিরোজ, সাতক্ষীরা থেকে : সাতক্ষীরা ভোমরা স্থল বন্দরের পর ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বৈদেশিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্তের সূচনা হতে চলেছে ‘বসন্তপুর নদীবন্দর’ স্থাপনের মাধ্যমে। গত ২৫ অক্টোবর ‘বসন্তপুর নদীবন্দর’ স্থাপনের সদয় অনুমতি জ্ঞাপন করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়।
১৯৬৫ সালে বাংলাদেশের সাতক্ষীরা ও ভারতের সীমান্তবর্তী ইছামতি, কালিন্দী ও কাকশিয়ালী নদীর মোহনায় দেবহাটা উপজেলার বসন্তপুর নামক স্থানে নৌবন্দর স্থাপনের কার্যক্রম চললেও ১৯৬৫ সালের পাক-ভারত যুদ্ধের কারণে তা স্থগিত হয়ে যায়। কাস্টমস অফিসের ভবনসহ বিভিন্ন স্থাপনা এখনো বিদ্যমান। পরবর্তীতে ২০১৮ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বসন্তপুর নৌবন্দর স্থাপনের দাবিতে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করেন জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক এজাজ আহমেদ স্বপন। এজাজ আহমেদ স্বপনের আবেদন ও শেখ হেলাল এমপির সুপারিশপত্রসহ বসন্তপুর নৌবন্দর স্থাপনে সংশ্লিষ্টদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় অবশেষে আলোর মুখ দেখল বসন্তপুর নদীবন্দর স্থাপনের কার্যক্রম।
বসন্তপুর নদীবন্দর স্থাপনের জন্য কাস্টমসের স্বত্ব দখলে থাকা ১৭ বিঘা জমির পাশাপাশি প্রয়োজনীয় কাঁচামাল ও জনবলের পর্যাপ্ততা নদীবন্দর স্থাপনের সম্ভাবনায় যোগ করেছে নতুন মাত্রা।
এরই মধ্যে সংরক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষকে (বিআইডব্লিউটিএ)। ২৫ অক্টোবর ‘বসন্তপুর নদীবন্দর’ স্থাপনের গেজেট প্রকাশিত হলেও সাতক্ষীরায় সংশ্লিষ্টদের কাছে গেজেটের কপি এসে পৌঁছেছে গত সোমবার। ফলে সাতক্ষীরার ব্যবসায়ীসহ সচেতন মহলে শুরু হয়েছে খুশির আমেজ।
সড়কপথের তুলনায় নৌপথে যাতায়াত ও পণ্য পরিবহন দ্রুততর ও সহজলভ্য হওয়ায় সাতক্ষীরাসহ দক্ষিণবঙ্গে উৎপাদিত মৎস্য ও পচনশীল দ্রব্য পার্শ্ববর্তী ভারত তথা বিদেশে রপ্তানিতে শুরু হয়েছে সম্ভাবনার হাতছানি। দ্রুত নদীবন্দর স্থাপন হলে সাতক্ষীরাসহ দক্ষিণবঙ্গের মৎস্য ব্যবসায়ীসহ কৃষিপণ্য উৎপাদন, বিপণন ও আমদানি-রপ্তানির সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা স্বস্তি ফিরে পাবেন। কৃষক তথা উৎপাদনকারী তাদের উৎপাদিত মৎস্য ও কৃষিজাত পণ্য দ্রব্যের ন্যায্যমূল্য পাবেন। কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে সাতক্ষীরার অসংখ্য বেকারের। বসন্তপুর নদীবন্দর স্থাপনের মাধ্যমে সাতক্ষীরাসহ দক্ষিণবঙ্গের অবকাঠামোগত খাতে আসবে আমূল পরিবর্তন। এমনটাই মনে করেন বসন্তপুর নদীবন্দর স্থাপনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা।
‘বসন্তপুর নদীবন্দর’ স্থাপন প্রসঙ্গে জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক এজাজ আহমেদ স্বপন বলেন, ‘১৯৬৫ সালের পাক-ভারত যুদ্ধের কারণে বসন্তপুর নদীবন্দর স্থাপনের কার্যক্রম চাপা পড়লে সাতক্ষীরার আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় আমি ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১ সালে নদীবন্দর স্থাপনের দাবিতে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করি। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মধ্যে পারস্পরিক আলোচনা ও সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের পর গত মাসের ২৫ তারিখ বসন্তপুর নদীবন্দর স্থাপনের অনুমোদন দিয়ে গেজেট প্রকাশ করে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়। সোমবার গেজেটের কপি হাতে পেয়েছি।
নদীবন্দর স্থাপনে আর কোনো জটিলতা না থাকায় দ্রততম সময়ে বসন্তপুর নদীবন্দর স্থাপনের কার্যক্রম শুরু করার জন্য নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, বিআইডব্লিউটিএসহ সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়