পাচার অর্থ ফেরাতে আট দেশের সঙ্গে চুক্তি চায় দুদক

আগের সংবাদ

টেকসই জ্বালানি নিরাপত্তায় নজর : দেশীয় গ্যাস-কয়লা উত্তোলন, তেলের মজুত ও পরিশোধন সক্ষমতা বাড়ানো, পাইপলাইনে ডিজেল আমদানি

পরের সংবাদ

জামালের অভিযোগ

প্রকাশিত: নভেম্বর ১০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেতদক : বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া বেতন নিয়ে অভিযোগ করেছেন তার সাবেক ক্লাব সাইপ স্পোর্টিং ক্লাবের বিরুদ্ধে। প্রিমিয়ার লিগে নাম লেখানোর পর থেকেই তিনি খেলেছেন সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের হয়ে। বকেয়া বেতন পাওয়ার জন্য চিঠি গত ২ নভেম্বর চিঠি দিয়েছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) এর সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগকে।
বাফুফেকে দেওয়া চিঠিতে জামাল দাবি করেন, এ বছর ২ আগস্ট মৌসুম শেষ হওয়ার পর আমি আমার তিন মাসের বকেয়া বেতন দাবি করি। ক্লাবের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকও কথা দেন দ্রুত সেটা তারা আমাকে দেবেন। আমি আশা করি, ফেব্রুয়ারি, মার্চ ও জুলাই এই তিন মাসের বেতন চলতি নভেম্বরের মাঝামাঝি তারা আমাকে পরিশোধ করে দেবেন। এ মাসে আমি সাইফের শীর্ষ কর্মকর্তা তরফদার রুহুল আমিন, তরফদার সাইফ, সাধারণ সম্পাদক (আসাদুজ্জামান রনি) ও ম্যানেজারের (শাহেদুল আলম শাহেদ) সঙ্গে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করেছি। তবে তাদের কেউই আমার সঙ্গে যোগাযোগ রাখেননি এবং বকেয়াও শোধ করেননি। তাই বাধ্য হয়েই অভিযোগ করছি। আশা করছি, ফিফার নিয়ম অনুযায়ী আমি প্রতিকার পাব।
২০২১ সালের ২৪ নভেম্বর মাসিক সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা বেতনে সাইফের সঙ্গে নতুন করে এক বছরের চুক্তি করেন জামাল। চুক্তির শর্ত ছিল সারাবছর বেতনের ২৫ শতাংশ টাকা ক্লাব চুক্তি সইয়ের সময় জামালকে বুঝিয়ে দেবে। সবকিছুই চলছিল ঠিকঠাক। সাইনিং মানিসহ বেতনও পাচ্ছিলেন নিয়মিত। তবে এই বছরের শুরু থেকে বেতনটা অনিয়মিত হয়ে পড়ে জামালের। গতকাল এক ভিডিও বার্তায় জামাল বলেন, চুক্তিতে থাকা এমন অনেক খেলোয়াড় আছে যারা এক মিনিটও না খেলে সাইফের কাছ থেকে পূর্ণ পারিশ্রমিক পেয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আমার পারিশ্রমিক পরিশোধ করা হচ্ছে না।
গত তিন মাসে তারা অন্য খেলাতে টাকা বিনিয়োগ করেছে কিন্তু আমার পাওনা পরিশোধে তাদের ইচ্ছার অভাব দেখা যাচ্ছে। এ মৌসুমে দল গঠন করেনি সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব। ফুটবল থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ক্লাবটি। জামাল ভুঁইয়াও খুঁজে নিয়েছেন নতুন ঠিকানা। এ মৌসুমে জামাল খেলবেন শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের হয়ে।
ইতোমধ্যে দলের সঙ্গে অনুশীলন করছেন এই মিডফিল্ডার। অভিযোগের ব্যাপারে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের ম্যানেজার শাহেদুল আলম বলেন, জামালকে বারবার বেতন পরিশোধের তারিখ দিয়েও কেন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ টাকাটা দিচ্ছে না সেটা আমার কাছেও অবাক লেগেছে। তবে জামালের বকেয়া টাকা অচিরেই দিয়ে দেওয়া হবে। সাইফ স্পোর্টিংয়ের অতীত ইতিহাসে এমন খারাপ কোনো রেকর্ড নেই। সে পুরো টাকায় পেয়ে যাবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়