পাচার অর্থ ফেরাতে আট দেশের সঙ্গে চুক্তি চায় দুদক

আগের সংবাদ

টেকসই জ্বালানি নিরাপত্তায় নজর : দেশীয় গ্যাস-কয়লা উত্তোলন, তেলের মজুত ও পরিশোধন সক্ষমতা বাড়ানো, পাইপলাইনে ডিজেল আমদানি

পরের সংবাদ

কক্সবাজার সৈকতের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ : আদালত অবমাননা থেকে রেহাই ডিসির

প্রকাশিত: নভেম্বর ১০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে গড়ে উঠা ৬৭৭টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছেন জেলা প্রশাসক। এগুলোর মধ্যে বালিয়াড়িতে ২৬০টি এবং সুগন্ধা পয়েন্টে ৪১৭টি। গতকাল বুধবার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চে দাখিল করা প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়। প্রতিবেদন জমা দেয়ার পর জেলা প্রশাসককে আদালত অবমাননার দায় থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ সময় আদালতে জেলা প্রশাসকের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী মোমতাজ উদ্দিন ফকির। রিট মামলার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
২০১১ সালে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে একটি রায় দিয়েছিল উচ্চ আদালত। সে সময় সৈকতের এসব স্থাপনা উচ্ছেদ হলেও পরে আবার সেসব স্থাপনা সৈকতের পাশে গড়ে উঠে। এসব স্থাপনা উচ্ছেদে গত ফেব্রুয়ারি থেকে আবার আইনি লড়াই শুরু করে হিউম্যান রাইটস এন্ড পিস ফর বাংলাদেশ। উকিল নোটিস দেয় কক্সবাজারের জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্টদের। এতে কার্যকর কিছু না হওয়ায় গত ২৫ আগস্ট আদালত অবমাননার অভিযোগ এনে হাইকোর্টে রিট করে সংগঠনটি। এই মামলার শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট বেঞ্চ আদালত অবমাননার রুল দেয়ার পাশাপাশি কক্সবাজারের জেলা প্রশাসককে তলব করে। নির্দেশ অনুযায়ী গত ১৯ অক্টোবর হাজির হন কক্সবাজার জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. মামুনুর রশীদ। সেদিন জমা দেয়া প্রতিবেদনে ডিসি উল্লেখ করেন, আদালতের আদেশ অনুসরণে উচ্ছেদ কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় ১০ অক্টোবর পুনরায় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে সুগন্ধা পয়েন্ট, লাবণী ও কলাতলী সমুদ্র সৈকত এলাকায় ৪১৭টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। কিন্তু স্থানীয় দুটি দোকান মালিক সমিতি আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতের আদেশ দেখায়। ওই আদেশে দেখা যায়, সুগন্ধা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষে জাকির হোসেন ও অন্য একজন সমুদ্র সৈকতে অবস্থিত তাদের ব্যবসা অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার জন্য সময় প্রার্থনা করেন। আদালত সন্তুষ্ট হয়ে তাদের ব্যবসা অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার জন্য সময় দেন এবং ৩০ অক্টোবর পযর্ন্ত তাদের উচ্ছেদ না করার আদেশ দেন। সেই প্রেক্ষিতে শুনানি

শেষে জেলা প্রশাসককে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দিয়ে ৯ নভেম্বরের মধ্যে আদালতের আদেশ প্রতিপালনের প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।
এ বিষয়ে মনজিল মোরসেদ জানান, আদালতের নির্দেশ মতো প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। এ প্রতিবেদন পেশের পর শুনানি শেষে রুল নিষ্পত্তি করে জেলা প্রশাসককে আদালত অবমাননার দায় থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়