৪০তম বিসিএস : নন-ক্যাডারদের সাংস্কৃতিক প্রতিবাদ মোমবাতি প্রজ্বালন

আগের সংবাদ

ঝুলে গেল সমন্বিত তিস্তা প্রকল্প : ভূরাজনৈতিক চাপের কারণে এই প্রকল্প এগিয়ে নিতে আগ্রহ হারিয়েছে সরকার, এখনো হাল ছাড়েনি চীন

পরের সংবাদ

দুর্ভোগ চরমে : সোলারতাইড় সেতু পুনর্নির্মাণ হয়নি ৯ বছরেও

প্রকাশিত: নভেম্বর ৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

খায়রুল আলম, সারিয়াকান্দি (বগুড়া) থেকে : সারিয়াকান্দি উপজেলার ভেঙে যাওয়া সোলারতাইড় সেতু ৯ বছরেও পুনর্নির্মাণ করা হয়নি। ফলে চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্থানীয়দের। ২০১৩ কুতুবপুরের কাছে নির্মাণাধীন বিকল্প বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় প্রবল বেগে যমুনার পানি কুতুবপুর খাল দিয়ে প্রবাহিত হয়। এতে প্রবল ¯্রােতে সোলারতাউড় গ্রামের কাছে সেতুটির উত্তরপাশের অংশ ভেঙে যায়। তখন থেকেই ওই ভাঙা অংশে বাঁশের সাঁকো দিয়ে জনসাধারণের চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়। বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলাচল করতে অনেকে পড়ে গিয়ে দুর্ঘটনারও শিকার হয়েছে।
সেতু দিয়ে কালারতাইড়, সোলারতাইড়, বাঁশহাটা, জোড়গাছা, সোনাপুর, কুতুবপুর, কাজলা, কাজলা নতুন পাড়া, চরডোমকান্দি, মাছিরপাড়া, সারিয়াকান্দি উপজেলা সদর, গাবতলী ও ধুনট উপজেলা ও বগুড়া জেলা সদরসহ বিভিন্ন স্থানে লোকজন যাতায়াত করে। সেতু দিয়ে যাতায়াত করে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষর্থীরা। কালারতাইড় গ্রামের হিটলু মিয়া ও রহিদুল ইসলাম বলেন, ৯ বছর আগে ভেঙে যাওয়ার পর আজো সেতুটি মেরামত করা হয়নি। এত লোকজন যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। সোলারতাইড় গ্রামের জামাল হোসেন বলেন, ৮-১০ গ্রামের লোকজন এই সেতু দিয়ে চলাচল করে। সেতুটি ভেঙে যাওয়ায় গাড়ি চলাচল করতে পারে না। লোকজন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে। এতে অনেকে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। এলাকাবাসী সেতুটি দ্রুত নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন। কুতুবপুর ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম সুজন বলেন, সেতুটি ভেঙে যাওয়ার পর বাঁশ দিয়ে ভাঙা অংশে সাঁকো নির্মাণ করে যাতায়াতের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এতে শুধু লোকজন কোনো মতে পারাপার হতে পারে। কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারে না। সেতুটি নতুন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্মাণ করার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানাচ্ছি। উপজেলা প্রকৌশলী তুহিন সরকার জানায়, সেতুটি নির্মাণের জন্য ৫ কোটি ৭০ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্মাণকাজ শুরু হবে। বগুড়া-১ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য সাহাদারা মান্নান বলেন, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করে ওই স্থানে নতুন একটি সেতু নির্মাণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যেই বরাদ্দও পাওয়া গেছে। আশা করছি, আগামী এক-দুই মাসের মধ্যে সেতুটির নির্মাণকাজ শুরু হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়