নিশ্চিত মৃত্যু থেকে ইমরান খানকে বাঁচালেন এক যুবক : প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের দিকে সন্দেহের তীর

আগের সংবাদ

এ মরণফাঁদ থেকে মুক্তি মিলবে কবে?

পরের সংবাদ

নন্দীগ্রামে পশুর হাটে বেশি টাকা আদায় : সাংবাদিকদের হুমকি

প্রকাশিত: নভেম্বর ৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি : নন্দীগ্রামের ওমরপুর পশুর হাটে অতিরিক্ত টাকা আদায় করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মানা হচ্ছে না সরকারি নিয়ম নীতি। ভিডিও নিয়ে ফেরার পথে হাটের মধ্যে প্রকাশ্যে কয়েকজন সাংবাদিককে দেখে নেয়ার হুমকি দেয়া হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের তদারকি না থাকায় পৌরসভার ওমরপুরে সাপ্তাহিক এই হাটে পশুর ক্রেতা ও বিক্রেতাদের জিম্মি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে হাটের ইজারাদারের লোকজন। পশু বহনের কাজে ব্যবহৃত যানবাহন থেকেও নেয়া হচ্ছে চাঁদা।
গতকাল শুক্রবার সরজমিনে হাটে গিয়ে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের প্রমাণ মেলে। ছামিউল নামের এক ক্রেতা ৭৫ হাজার টাকায় একটি গরু কিনেছেন। তার কাছ থেকে হাসিল আদায় করা হয়েছে ৬শ টাকা এবং বিক্রেতার কাছ থেকে নিয়েছে ১শ টাকা। রসিদে গরুর মূল্য উল্লেখ থাকলেও হাসিলের পরিমাণ উল্লেখ নেই। ক্রেতারা পশু কিনে হাট থেকে বের হওয়ার আগেই রসিদ অর্ধেক কেটে রেখে দেয় ইজারাদারের লোকজন। হাটের বর্তমান ইজারাদার আর কে এন্টারপ্রাইজ।
তিনজন আদায়কারী বলেন, সরকারি নির্ধারিত হাসিল ৩শ এবং ৪শ টাকা। ইজারাদারের কথামতো তারা নিচ্ছেন ৭শ টাকা। ৩০০/৪০০ টাকা অতিরিক্ত নেয়া হচ্ছে। অতিরিক্ত এসব টাকা ইজারাদার, আদায়কারী, প্রশাসনসহ বিভিন্ন মহলকে ম্যানেজ করতে ব্যয় করা হয় বলে দাবি করেন তারা। এছাড়া হাটে হাসিল আদায়ে সরকার নির্ধারিত টাকার পরিমাণের তালিকা টাঙানো হয় না। প্রকাশ্যে অতিরিক্ত হাসিল আদায় বন্ধে উপজেলা প্রশাসন কার্যকর পদক্ষেপ না নেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন হাটে আসা ক্রেতা-বিক্রেতারা।
অতিরিক্ত টাকা আদায়ের সময় কয়েকজন সাংবাদিক ভিডিও ধারণ এবং ফেসবুকে লাইভ করেন। ভিডিওতে ইজারাদারের লোকজন অতিরিক্ত টাকা নেয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। এরপর ফেরার পথে হাটের মধ্যে ৪ জন সাংবাদিককে দেখে নেয়ার হুমকি দেন ইজারাদারের লোকজন।
উপজেলা প্রেস ক্লাবের দপ্তর সম্পাদক নজরুল ইসলাম দয়া জানান, ওমরপুর পশুর হাটে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের খবর পেয়ে কয়েকজন সাংবাদিকসহ তিনি হাটে যান। পশুর হাটে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের প্রমাণ মেলে। ভিডিও নেয়ার সময় ইজারাদারের লোকজন সাংবাদিকদের হাত ধরে টানাটানি করে ইজারাদারের ঘরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। ফেরার পথে হাটের মধ্যেই ইজারাদারের ঘরের সামনে সাংবাদিকদের উপর ক্ষিপ্ত হয় কয়েকজন ব্যক্তি। তারা হুমকি দিয়ে বলেন, বেশি বাড়াবাড়ি করো না। সবাইকে ম্যানেজ করেই সব হচ্ছে। হাটের মধ্যে সাংবাদিকরা প্রবেশ করতেই পারবে না। হাট থেকে বের হতেও পারবে না। ইজারাদারের ঘর থেকে একজন বলেন, সাংবাদিকরা সময়মতো টের পাবে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি রফিকুল ইসলাম রফিক বলেন, সব হাটে অতিরিক্ত ইজারা আদায় হচ্ছে। প্রশাসন জেনেও চুপ। অনেকে ভাগ পায়, এজন্য চুপ থাকে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিফা নুসরাতের মন্তব্য নিতে সরকারি ফোন নম্বরে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়