কাগজ প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগের পালানোর ইতিহাস নেই জানিয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি যেভাবে আন্দোলনের নামে লাফালাফি ও বাড়াবাড়ি করছে, তাতে তাদের আন্দোলনের পতনধ্বনি শোনা যাচ্ছে। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপকমিটির চতুর্থ শিল্প বিপ্লব নিয়ে আন্তর্জাতিক সেমিনারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
উপকমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. হোসেন মনসুরের সভপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর, তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। কনফারেন্সের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথে যাত্রা এবং ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়ন’। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর আইইবি অডিটরিয়ামে কনফারেন্সের প্রথম মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, দ্বিতীয় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন থাইল্যান্ডের এআইটির বঙ্গবন্ধু চেয়ার প্রফেসর ড. জয়শ্রী রায়। এছাড়া আলাদা আলাদা ১০টি ভেন্যুতে টেকনিক্যাল সেশন অনুষ্ঠিত হয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, পালানোর ইতিহাস বিএনপির নেতাদের। আমাদের কেউ পালিয়ে যায়নি। আওয়ামী লীগ ছয় দফা আন্দোলন, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা মোকাবিলা করেছে। আমরা জেলে যাব, কিন্তু পালাবার পথ খুঁজব না। এই দেশ থেকে পালাব না। তিনি বলেন, আর রাজনীতি করব না- এমন মুচলেকা দিয়ে যারা লন্ডনে পালিয়ে গেছে। পালানোর ইতিহাস তাদের।
প্রতিহিংসার রাজনীতি বিএনপির প্রতিষ্ঠা থেকেই শুরু হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী কী প্রতিহিংসার রাজনীতি করবে? প্রতিহিংসা তো তাদের, যারা একাত্তরের প্রতিশোধ নিতে পঁচাত্তর ঘটিয়েছে, পনেরই আগস্ট যারা ঘটিয়েছিল তারাই প্রতিহিংসা পরায়ন। তাদের থেকে প্রতিহিংসা কার বেশি? ৩ নভেম্বর জেলের মধ্যে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়েছিল। প্রতিহিংসা পরায়ন তো তারা। শেখ হাসিনাকে প্রাইম টার্গেট করে যারা ২১ আগস্ট ঘটিয়েছিল, তাদের চেয়ে প্রতিহিংসা পরায়ন বাংলাদেশে আর কে?
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির আন্দোলনে আমরা বাধা দেব না। প্রধানমন্ত্রী আন্দোলনের বিরুদ্ধে বলেননি।
তিনি বলেছেন, বিরোধী দল আন্দোলন করছে, করুক বাধা দেব না। আন্দোলনের নামে বাড়াবাড়ি করছেন, আপনাদের নেত্রীকে তো আপনারা জেল থেকে মুক্ত করেননি। খালেদা জিয়ার নামে কে মামলা করেছে? তত্ত্বাবধায়ক সরকার কার লোক? আসলে তারা লাফায় কেন সেটাও তো বুঝি না। তাদের দুই প্রধান নেতাই দণ্ডিত আসামি।
আবদুস সবুর বলেন, ২০টি ক্যাটাগরিতে ৬৬২টি পেপার ও পোস্টার জমা পড়েছে। শুধু বাংলাদেশের গবেষকরা নন, ইউরোপ, আমেরিকা, ইন্ডিয়া, জাপান, চীন, অস্ট্রেলিয়া থেকেও গবেষকরা শতাধিক পেপার জমা দিয়েছেন। এখান থেকে প্রায় ২৫০টি পেপার উপস্থাপন করা হবে।