কাগজ প্রতিবেদক : বিএনপি তাদের বিভাগীয় সমাবেশের নামে চাঁদাবাজির একটা বড় প্রকল্প নিয়েছে। তারা সমস্ত কালো টাকার মালিকদের থেকে টাকা সংগ্রহ করছে। ব্যবসায়ীদের বাধ্য করছে টাকা দিতে। আমি শুনেছি, বিদেশি একটি বিশেষ গোয়েন্দা সংস্থা তাদের অর্থায়ন করছে। যে গোয়েন্দা সংস্থা থেকে খালেদা জিয়া টাকা নিয়েছিলেন, সেই গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান সেদেশের আদালতে সাক্ষ্য দিতে গিয়ে সেই কথা বলেছিলেন। সেই সংস্থার কাছ থেকে তারা এবারো অর্থ পেয়েছে।
গতকাল বুধবার সচিবালয়ে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে তথ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব তথ্য জানান। এ সময় ইউক্রেন যুদ্ধ শিগগিরই সমাপ্ত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার ভিকেন্তিয়েভিচ ম্যানতিতস্কি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্রদূতকে বলেছি, রাশিয়া আমাদের পরীক্ষিত বন্ধু। মুক্তিযুদ্ধে ও যুদ্ধের পর আমাদের দেশ গঠনে রাশিয়া ভূমিকা রেখেছে, সেটি স্মরণ করেছি, তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছি। যুদ্ধে আমাদের অবস্থান নিয়েও তার সঙ্গে আলোচনা করেছি।
ড. হাছান বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে আমরা পৃথিবীতে যুদ্ধ চাই না, যুদ্ধ কারো মঙ্গল বয়ে আনে না। একই সঙ্গে স্যাংশন, পাল্টা স্যাংশনও কারো জন্য মঙ্গল বয়ে আনে না। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য ও আমাদের অবস্থান রাষ্ট্রদূতকে জানিয়েছি। আমি তাকে বলেছি যে, যুদ্ধ তাড়াতাড়ি শেষ হলে সবার জন্যই মঙ্গলকর। তিনি বলেছেন, আশা করি খুব শিগগিরই যুদ্ধ সমাপ্ত হবে।
তথ্যমন্ত্রী জানান, ২০১৭ সালে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা ও রাশিয়ার ইতারতাসের মধ্যে সংবাদ আদান-প্রদানের একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছিল। সেটিকে চুক্তিতে রূপান্তরের জন্য তিনি প্রস্তাব রেখেছেন। রাশিয়ার অন্য সংবাদ সংস্থা স্পুৎনিকের সঙ্গেও আমাদের বাসসের সংবাদ আদান প্রদানের প্রস্তাবনা দিয়েছেন। পাশাপাশি আমাদের দেশের টিভি চ্যানেলগুলোয় অনেক দেশের সিরিয়াল চলে, সেখানে রাশিয়ার সিরিয়ালও বিবেচনায় নেয়ার প্রস্তাব দেন। আমি বলেছি আপনারা প্রাইভেট টেলিভিশন চ্যানেলে প্রস্তাব রাখতে পারেন, তারা যদি আগ্রহী হয়। একটি টিভি চ্যানেলে একসঙ্গে একটি সিরিয়ালই প্রচার করা যায়। কথা হয়েছে সাংস্কৃতিক যোগাযোগ ও বিনিময় বৃদ্ধি নিয়েও।
ভারত সফর নিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, কলকাতায় চতুর্থ বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব উদ্বোধন করতে গিয়ে অবাক হয়েছি, প্রায় এক কিলোমিটার লম্বা লাইন পড়েছে ‘হাওয়া’ সিনেমা দেখার জন্য। বাংলাদেশের ছবি দেখার জন্য কলকাতায় মানুষের যে উন্মাদনা, সেই উন্মাদনা দিল্লিতেও হয়েছে। দিল্লিতে প্রেস ক্লাব অব ইন্ডিয়ায় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে অনেক বাঙালি সাংবাদিক দিল্লিতে কয়েকটি বাংলাদেশি সিনেমা দেখানোর অনুরোধ জানিয়েছেন। সেই ব্যবস্থা আমি করতে পেরেছি।