জিএম কাদেরের দলীয় কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা

আগের সংবাদ

বিএনপি বাড়াবাড়ি করলে ফের জেলে পাঠানো হবে খালেদাকে

পরের সংবাদ

জন্মবার্ষিকী উদযাপন : বাংলাদেশের আত্মা থেকে ধীরেন্দ্রনাথ বিচ্ছিন্ন হবেন না

প্রকাশিত: নভেম্বর ৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : শহিদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত বাংলা ভাষার জন্য, বাংলাদেশের জন্য আমৃত্যু লড়াই করে গেছেন, জীবন দিয়েছেন। বৈরী পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত মাতৃভাষা বাংলার রাষ্ট্রীয় মর্যাদা ও স্বীকৃতির জন্য তার কণ্ঠ সোচ্চার করেছেন। শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্তকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে স্মরণ করুক বা নাই করুক, বাংলাদেশের আত্মা থেকে তাকে কখনই বিচ্ছিন্ন করা যাবে না।
গতকাল বুধবার সকালে বাংলা একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে ভাষাসংগ্রামী ও শহীদ বুদ্ধিজীবী ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের ১৩৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত ‘শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের বিস্ময়কর অবদান’ শীর্ষক বক্তৃতানুষ্ঠানের একক বক্তা কবি, প্রাবন্ধিক ও অধ্যাপক কাজল বন্দ্যোপাধ্যায় এসব কথা করেন।
বাংলা একাডেমির সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেনের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। আলোচনা করেন শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের পৌত্রী ও জাতীয় সংসদ সদস্য আরমা দত্ত। ধন্যবাদ জানান বাংলা একাডেমির সচিব এ এইচ এম লোকমান।
প্রাবন্ধিক কাজল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রীয় আচরণ ও মনোভঙ্গির মধ্যেও তিনি তার মাতৃভূমি ত্যাগ করে কোথাও যাননি। বরং অসাম্প্রদায়িক সমাজ ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করেছেন। শত্রæপক্ষ তার এই লড়াইয়ের ফলেই হয়তো ১৯৭১ সালে তাকে নির্মমভাবে হত্যা করার পথ বেছে নেয়।
আরমা দত্ত বলেন, ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত দেশের জন্য, ভাষার জন্য লড়াই করেছেন এবং সেই দেশের মাটিতেই তাকে রক্তাক্ত পরিণতি বহন করতে হয়েছে। স্বাধীন বাংলাদেশে ধীরেন্দ্রনাথ দত্তকে যথাযথভাবে স্মরণ করা আমাদের কর্তব্য হলেও আমরা এ ক্ষেত্রে উদাসীনতার পরিচয় দিয়েছি। তিনি বলেন, শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের স্মৃতি রক্ষার্থে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে তার নামে একটি চত্বর ও তার আবক্ষ ভাস্কর্য নির্মাণ করা জরুরি।
সেলিনা হোসেন বলেন, শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত আমাদের জাতিসত্তার সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে মিশে আছেন। তিনি শুধু বীর ভাষা সংগ্রামীই নন, মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদও বটে। তাকে স্মরণ করা মানেই বাংলাদেশের রক্তাক্ত অভ্যুদয় ও অমর চেতনাকে স্মরণ করা।
মুহম্মদ নূরুল হুদা বলেন, পাকিস্তান জাতীয় পরিষদে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষার মর্যাদার কথা প্রথম উত্থাপন করে ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা আন্দোলনের বীজ বপন করেন। সেই ভাষা আন্দোলনের পথ ধরে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে অর্জিত হয়েছে আমাদের স্বাধীনতা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়