জিএম কাদেরের দলীয় কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা

আগের সংবাদ

বিএনপি বাড়াবাড়ি করলে ফের জেলে পাঠানো হবে খালেদাকে

পরের সংবাদ

আশা বিএনপির : বরিশালে ৫ নভেম্বরের সমাবেশ হবে জনসমুদ্র

প্রকাশিত: নভেম্বর ৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

এম. কে. রানা, বরিশাল থেকে : ৫ নভেম্বর বরিশালে গণসমাবেশকে সফল করার লক্ষ্যে ব্যাপকভাবে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছে বিএনপি এবং তার অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। যদিও সমাবেশ সফল করতে প্রচারণা চালাতে গিয়ে বরিশাল নগর, বানারীপাড়া, বাকেরগঞ্জ ও উজিরপুর উপজেলায় হামলার শিকার হওয়ার কথা জানিয়েছেন তারা। তারপরও ৫ নভেম্বর মহাসমাবেশকে সফল করতে এবং জনগণকে সম্পৃক্ত করতে প্রচারণা থেমে নেই বিএনপির। প্রতিদিনই বিভিন্ন এলাকা ধরে লিফলেট বিতরণ করে যাচ্ছেন তারা।
এছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় খণ্ড খণ্ড সভা করছেন নেতাকর্মীরা। সবশেষ গতকাল বুধবার শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তারা। আবার বঙ্গবন্ধু উদ্যানে মঞ্চ তৈরিসহ মাঠ গোছানোর কাজও এগিয়ে নেয়া হচ্ছে। এদিকে পরিবহন ধর্মঘটের কারণে বিভাগের অন্য জেলা থেকে নেতাকর্মীদের আগমন নিয়ে কিছুটা শঙ্কাও রয়েছে। যদিও কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীরা বলছেন, প্রয়োজনে পায়ে হেঁটে নেতাকর্মীরা সমাবেশে আসতে প্রস্তুত রয়েছেন। অন্যদিকে গণসমাবেশকে ঘিরে এর মধ্যে নেতাকর্মীর মাঝে বেশ চাঙ্গা ভাবও বিরাজ করছে। নগরীর সদর রোড বরিশাল জেলা ও মহানগর বিএনপির দলীয় কার্যালয় ঘিরে ব্যানার-ফ্যাস্টুনে ছেয়ে গেছে। সেইসঙ্গে সমাবেশস্থল বঙ্গবন্ধু উদ্যানের আশপাশের সড়কগুলোতেও প্লাকার্ড ও ব্যানার ঝুলতে শুরু করেছে ছাত্র ও যুব নেতাদের।
মহাসমাবেশের প্রস্তুতি নিয়ে বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য জহির উদ্দিন স্বপন বলেন, রংপুর, খুলনা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রামের অভিজ্ঞতায় আমরা দেখেছি, এই মহাসমাবেশগুলোকে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করার জন্য সরকারি দল এবং প্রশাসন যৌথভাবে নানা ধরনের অপতৎপরতায় লিপ্ত ছিল এবং থাকে। তবে সেই সব অপতৎপরতা মোকাবিলা করেই এক একটি বিভাগীয় মহাসমাবেশ জনসমুদ্রে রূপান্তরিত হয়েছে। তিনি বলেন, বরিশালের এই সমাবেশ প্রস্তুতি করতে গিয়ে ইতোমধ্যেই আমরা বেশ কিছু তিক্ত অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছি। যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, পরিবহন মালিক

সমিতির নাম ব্যবহার করে কোনো না কোনো কৌশল করে ৪ ও ৫ নভেম্বর একটা ধর্মঘটের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। যা নিয়ে আকার ইঙ্গিতে সরকারি দলের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, যাতে আমরা বুঝতে পেরেছি মহাসমাবেশের জনসমাগম ঠেকানোর জন্য এ কৌশল ব্যবহার করা হচ্ছে। এছাড়া এর মধ্যে বরিশাল, উজিরপুর, বানারীপাড়া, বাকেরগঞ্জে আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর আক্রমণ করা হয়েছে। গৌরনদী-আগৈলঝাড়ার অবস্থাও অত্যন্ত ভয়াবহ।
বরিশালের বিভাগীয় গণসমাবেশ বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হাসান বলেন, অন্য জায়গার মতো বরিশালেও সব বাধা-বিপত্তি করে বেলস পার্কে সমাবেশ সফলভাবে অনুষ্ঠিত হবে। আজ দেশের অর্থনীতি বিপর্যস্ত, নেই আইনের শাসন, নেই মানবাধিকার। জনগণ ভোট দিতে পারে না, ভোটাধিকার ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লড়াইয়ে আজ এ জন্যই এ সমাবেশের নাম দেয়া হয়েছে গণসমাবেশ। এটা বিএনপির জনসভা না, এটা বিএনপি এবং সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের উপস্থিতিতে গণসমাবেশ, যা মহাসমুদ্রে রূপান্তরিত হবে। যেখানে অংশ নিতে মানুষ বিভাগের বিভিন্ন জায়গা থেকে বরিশাল শহরে অবস্থান নেয়া শুরু করেছে। সবার সহযোগিতায় মহাসমাবেশ সফল হবে এবং ৫ নভেম্বর বরিশাল হবে জনগণের শহর।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়