জি এম কাদের : ৩০০ আসনেই শক্তিশালী প্রার্থী দিবে জাপা

আগের সংবাদ

নাটকীয় সমঝোতার পথে জাপা :

পরের সংবাদ

ক্ষেতলাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স : বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকসহ ৩৮ পদ শূন্য, দুর্ভোগে রোগীরা

প্রকাশিত: অক্টোবর ৩১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ৩১, ২০২২ , ২:১০ পূর্বাহ্ণ

আখতারুজ্জামান তালুকদার, ক্ষেতলাল (জয়পুরহাট) থেকে : জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত হয়েছে। তবে এখানে প্রয়োজনীয়সংখ্যক জনবল নেই। বর্তমানে আটজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকসহ ৩৮টি পদ শূন্য রয়েছে। তাই চিকিৎসক ও কর্মকর্তা-কর্মচারী সংকটে ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসাসেবা ও দাপ্তরিক কার্র্যক্রম। একই সঙ্গে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের। এ কারণে দ্রুত চিকিৎসা পেতে জয়পুরহাট ও বগুড়া জেলাসহ বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে বাধ্য হয়েই ছুটতে হচ্ছে তাদের।
জানা গেছে, ১৯৯৪ সালে ক্ষেতলাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৩১ শয্যা নিয়ে যাত্রা শুরু করে। তবে চিকিৎসাসেবার মান ও রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় ২০১২ সালের ১ মার্চ ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫০ শয্যার অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়। সেই আলোকে ১০ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকসহ ১১২ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী থাকার কথা। কিন্তু বর্তমানে ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মাত্র দুইজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকসহ ৬৫ জন কর্মরত আছে। অবশিষ্ট ৩৮টি পদ শূন্য রয়েছে। এর মধ্যে প্রথম শ্রেণির ১৭ জন, ক্যাডার বহির্ভূত ২১ জন।
ক্ষেতলাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, মেডিসিন, সার্জারি, শিশু, ইএনটি, চক্ষু, অর্থোপেডিক, চর্ম, যৌন ও কার্ডিওলজিসহ আটজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, একজন আবাসিক মেডিকেল অফিসার, তিনজন মেডিকেল অফিসার, ইউনিয়নভিত্তিক চারজন সহকারী সার্জন, একজন ডেন্টাল সার্জন, একজন নার্সিং সুপারভাইজার, দুইজন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ডেন্টাল, ফিজিও), একজন স্টোর কিপার, একজন স্বাস্থ্য পরিদর্শক, একজন সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক, ছয়জন স্বাস্থ্য সহকারী, একজন টিবি এন্ড লেপ্রোসি কন্ট্রোল অ্যাসিস্ট্যান্ট, তিনজন এমএলএসএস, একজন আয়া, তিনজন সুইপার ও এক নিরাপত্তা প্রহরীসহ ৩৮ জনের পদ শূন্য রয়েছে।
ওই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা নুরবানু, গোলাম মোস্তফা, শরিফ ও ফাহিমাসহ বেশ কয়েকজন রোগী জানান, অসুস্থ হলে তারা খুব চিন্তায় থাকেন। টাকার অভাবে দূরে নিয়ে গিয়ে ভালো ডাক্তার দেখাতে পারেন না তারা। এ জন্যই এই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসেন। কিন্তু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার না থাকায় অনেক সময় রোগীকে দূরে অন্য হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।
ক্ষেতলাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডা. আনোয়ার গালীব জানান, বর্তমানে হাসপাতালে প্রায় ৫০ থেকে ৭০ রোগী ভর্তি থাকে। এ জন্য শূন্য পদে জনবল নিয়োগ অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে মেডিসিন ও শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক থাকলে রোগীরা যথাযথ সেবা পেত। স্টোর কিপারের মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি পোস্ট দীর্ঘদিন ফাঁকা থাকায় ওই পদে বর্তমানে একজন উচ্চ গ্রেডের কর্মচারী কাজ করছেন। যা মোটেও কাম্য নয়।
ক্ষেতলাল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (টিএসও) ডা. আতাউর রহমান জানান, প্রয়োজনীয় সংখ্যক চিকিৎসক না থাকার কারণে চিকিৎসাসেবা কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে। বহির্বিভাগে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৩০০ থেকে ৫০০ রোগীকে চিকিৎসাসেবা দেয়া হয়।
অনেক সময় জরুরি ও মুমূর্ষু রোগীকে জেলা হাসপাতালে রেফার্ড করতে হয়। কর্মকর্তা ও কর্মচারী সংকটে চিকিৎসাসহ দাপ্তরিক কাজে ব্যাঘাত ঘটে। দ্রুত জনবল নিয়োগ হলে এ সমস্যার সমাধান হবে ও উপজেলাবাসী উন্নত চিকিৎসা সেবা পাবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়