ঢাকার রাশিয়ান হাউজ : স্পুতনিক উৎক্ষেপণের ৬৫তম বার্ষিকী উদযাপন

আগের সংবাদ

উত্তপ্ত রাজপথে পাল্টাপাল্টি শোডাউন

পরের সংবাদ

‘মেয়েরা অনেক গোছালো হয়’

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ২৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

একসময়ের ঢালিউডের অন্যতম ব্যস্ত অভিনেত্রী অরুনা বিশ্বাস। স¤প্রতি নাম লিখিয়েছেন চলচ্চিত্র পরিচালকের খাতায়। কাজ ও অনান্য বিষয়ে তার সঙ্গে কথা বলেন রাশেদ রায়হান

বর্তমান ব্যস্ততা
কাজ করতে এখন তেমন একটা ভালো লাগে না। আমাদের নির্মাতারা একই ধাঁচের কাজ করে। ধরনটা পরিবর্তন না করলে আমরা যারা কাজপাগল তারা একই ধরনের কাজ করতে করতে ক্লান্ত। বয়স হয়ে গেলে মা-খালা আর নায়ক নায়িকা এর মধ্যেই ইন্ডাস্ট্রি আটকে আছে। কোন গবেষণামূলক কাজ নেই। প্ল্যাটফর্ম বেড়েছে, ওটিটিতে ভালো ভালো কাজ হচ্ছে। কিন্তু যারা কাজ করছে তারাও সিন্ডিকেট হয়ে কাজ করে। তারা হয়তো মনে করেনা আমরা কোন চরিত্রের জন্য যোগ্য।

‘অসম্ভব’ সিনেমা
সিনেমার শুটিং শেষ। এখন সেন্সরে দিব। আগামী বছর ছাড়া প্রেক্ষাগৃহে আসবে না। টেকনিক্যাল অনেক বিষয় আছে। প্রথম সন্তানের যতœটা অন্যরকম হয়। এটাত আমার পরিচালনায় প্রথম সিনেমা। আস্তে ধীরে যতœ করে, গুছিয়ে মানুষের সামনে আনতে চাই।

নতুন কোন সিনেমা
আমরা কয়েকটি প্রজেক্ট নিয়ে নামছি। এগুলো নিয়ে এখনই কিছু বলতে চাইছি না। অভিনয় তো অনেক করলাম এবার ভিন্নধর্মী কিছু কাজ করতে যাচ্ছি।

গল্প ভাবনা
সমসাময়িক গল্প। আমাদের দেশের গল্পটা বলা উচিত। দেশের সংস্কৃতি দেশকে নিয়ে যে ভাবনা সেই সঙ্গে পরিবারটা চলে আসে। পরিবারভিত্তিক গল্প ইন্ডাস্ট্রিতে এখন একেবারই অনুপস্থিত। ৪০/৫০ বছর বয়সে মেয়েদের বা মানুষের জীবনে কত রকমের ক্রাইসিস থাকে তাছাড়া বড় সাহিত্যিকদের গল্প-উপন্যাস নিয়ে কোন কাজ হয় না। আমরা সবসময় পশ্চিমা সংস্কৃতি অনুকরণ করতে চাই। ইরানিয়ান গল্পে কোরিয়ান গল্পে ওরা তাদের সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসে না। কিন্তু আমরা আমাদের সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে ওয়েস্টার্ন হওয়ার চেষ্টা করি। আমরা যাত্রা, থিয়েটার, গ্রাম নিয়ে কাজ করি না। আমরা যখনই কাজ করি সবই দেখি সন্ত্রাস, ওয়েস্টার্ন গল্প, তামিল গল্পের চুরি। আমরা আমাদের মধ্য থেকে উন্নতি করতে পারলে ভালো হতো।

নারী নির্মাতাদের জন্য চ্যালেঞ্জ
আমার কাছে এটা চ্যালেঞ্জ মনে হয়নি। মেয়েরা অনেক গোছালো হয়। তাদের মধ্যে নন্দনতত্ত্ব বোধটা থাকে। আমার শিল্পী, টেকনিশিয়ানরা সবাই হেল্পফুল। কাজ করতে গিয়ে কারো থেকে কোন সুবিধা নেই না।

ভিউ বাণিজ্য
আপনি একজনকে সম্মান দেন সেটা ফেরত পাবেন। আপনি প্রথমে গিয়েই একটা শিল্পীকে গিয়ে বলবেন টাকা কম নিতে। শিল্পীরা টাকা কম কেন নেবে। আর যেসব শিল্পীরা টাকা বেশি নেয় তাদের তো কেউ আসলে চেনে না। তাদের ভিউ আছে তাদের মানুষ চেনে না আর যাদের ভিউ নাই তাদের মানুষ চেনে, দেখতে চায়। মানুষ যেন বোধসম্পন্ন হয় ধর্মান্ধ না হয় এটা নিয়েইতো সংস্কৃতির সঙ্গে যারা আছে তাদের কাজ করা।

বাবাকে নিয়ে নির্মাণ
আমি চাই আমার বাবা সম্মানিত হোক। তার নামে একটি যাত্রামঞ্চ হোক। অনেক আগে থেকেই ভাবছি বাবাকে নিয়ে একটা সিনেমা তৈরি করব।
বায়োগ্রাফির থেকেও ভালো করতে চাই। হয়তো অনেক খরচ হবে। তবে অবশ্যই এটা ভালোভাবে শেষ করতে চাই।

না পাওয়া
প্রতি বছরই জাতীয় পুরস্কার নিয়ে কী কী যেন হয়। কিছু মানুষ সারাজীবন এটার পেছনে নোংরা রাজনীতি করেছে। বাংলাদেশে অনেক মেধাবী শিল্পী আছে। তারা বঞ্চিত হয়েছে তাদের প্রাপ্য সম্মান থেকে এর মধ্যে আমিও আছি। শিল্পীদের মেধার থেকে ব্যক্তিগত সম্পর্ক অনেক বড় হয়ে গেছে সেটাই ক্ষোভ। খান আতাউর রহমান থেকে শুরু করে রাজ্জাক সাহেব কামাল আহমেদ, চাষী নজরুল ইসলাম, সুভাস দত্তসহ সবাই একজন অরুনা বিশ্বাসকে বলে ভালো অভিনেত্রী। সেখানে আমি একটা ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড পাইনি। এটা নিয়ে একটা ক্ষোভ আছে। তখন ছোট ছিলাম বুঝিনি। যারা মেধাবী শিল্পী তাদের সঠিক মূল্যায়ন করা উচিত।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়