ঢাকার রাশিয়ান হাউজ : স্পুতনিক উৎক্ষেপণের ৬৫তম বার্ষিকী উদযাপন

আগের সংবাদ

উত্তপ্ত রাজপথে পাল্টাপাল্টি শোডাউন

পরের সংবাদ

জ্যাকলিন নির্দোষ!

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ২৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ভারতের ধনকুবের সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা ও ২০০ কোটির প্রতারণা মামলায় দীর্ঘদিন ধরে তদন্ত চলছে বলিউড তারকা জ্যাকলিন ফার্নান্দেজকে নিয়ে। প্রতারক সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে পদে পদে নাম জড়িয়েছে এই অভিনেত্রীর! অভিনেত্রীর আইনজীবী জানালেন জেলে বসেই একটা চিঠি লিখেছে সুকেশ। যাতে স্পষ্ট উল্লেখ আছে এসব প্রতারণায় কোনো হাত নেই জ্যাকলিনের। আর এই চিঠির প্রসঙ্গ তুলেই আইনজীবী দাবি করলেন তার মক্কেল লড়াই চালিয়ে যাবে নিজের ভাবমূর্তি স্বচ্ছ করতে। জ্যাকলিনের দুর্ভোগ নিয়ে লজ্জিত সুকেশ চন্দ্রশেখর। বন্দি অবস্থাতেও দুশ্চিন্তায় তিনি। তার দাবি, অহেতুক অভিনেত্রীর নাম জড়ানো হয়েছে। শুধু শুধু হেনস্থা। এত কিছুর দরকারই ছিল না। সমস্ত বক্তব্য চিঠিতে লিখে নিজের আইনজীবীর সাহায্যে গত সপ্তাহেই আদালতে পেশ করেছেন সুকেশ। সেই চিঠির উত্তরে প্রতিক্রিয়া জানালেন জ্যাকলিনের পক্ষের আইনজীবী প্রশান্ত পাতিল। তার দাবি, মক্কেল নির্দোষ। অভিনেত্রীর সম্মান বাঁচাতে শেষ পর্যন্ত লড়বেন বলে জানান। জ্যাকলিন কোনোভাবেই ২০০ কোটি টাকার তহবিল তছরুপ-কাণ্ডে জড়িত নন। সুকেশের দাবি, বহুমূল্য গাড়ি থেকে শুরু করে উপহার, যা কিছু আর্থিক লেনদেন, সবটাই ভালোবেসে জ্যাকলিনকে দেয়া। দীর্ঘ সেই চিঠিতে আরো অনেক কিছুই ফাঁস করেছিলেন সুকেশ, যা প্রকাশ্যে এসেছে গত ২৩ অক্টোবর। সেই চিঠির প্রেক্ষিতে জ্যাকলিনের আইনজীবী বলেন, ‘যদি এই চিঠি সুকেশের লেখা হয়, তাহলে তার দাবি অনুযায়ী জ্যাকলিনের বিরুদ্ধে যাবতীয় অভিযোগ পুনরায় তদন্ত করে দেখা উচিত। ইডি সেটা করুক। প্রয়োজনে সুকেশের রেকর্ড করা বক্তব্য প্রমাণ হিসাবে ব্যবহৃত হোক।’ ওই চিঠিতে সুকেশ জানিয়েছেন, ‘জ্যাকলিনের এতে জড়িয়ে পড়া দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। আগেও বলেছি, আমরা সম্পর্কে ছিলাম। ওকে আর ওর পরিবারকে উপহার দিয়েছি। এটা কি তাদের দোষ হতে পারে? আমার কাছে ভালোবাসা ছাড়া কিছুই কখনো চায়নি জ্যাকলিন। বলেছিল, পাশে থাকতে। প্রতিটি পাই-পয়সা, যা আমি ওদের উপহার দিতে খরচ করেছি, তা বৈধ আয় থেকেই। তার প্রমাণ আমি আগেও আদালতে দিয়েছি।’ গত শনিবার দিল্লির পটিয়ালা আদালতে জ্যাকলিনের জামিনের আবেদন খারিজ করে দিতে চেয়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। এই কেন্দ্রীয় সংস্থার পক্ষ থেকে অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে তদন্তে অসহযোগিতাসহ বিভিন্ন অভিযোগ আনা হয়েছে। ইডির সূত্রে জানানো হয়েছে, তদন্ত চলাকালীন দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন জ্যাকলিন। কিন্তু লুক আউট নোটিস জারি থাকায় পারেননি। আদালতের নির্দেশে জ্যাকলিনের অন্তর্বর্তী সুরক্ষার মেয়াদ বাড়িয়ে আগামী ১০ নভেম্বর পর্যন্ত করা হয়েছে। পরবর্তী শুনানি সে দিনই।
: মেলা ডেস্ক

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়