প্রকাশিত: অক্টোবর ২২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ২২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগ মঞ্চে এনেছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘তাসের দেশ’। অন্যদিকে ঢাকায় বসেছে দুই বাংলার শিল্পীদের বৃহৎ আসর গঙ্গা-যমুনা সাংস্কৃতিক উৎসব। এই দুই আয়োজন নিয়ে লিখেছেন মাহফুজ সুমন
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগ মঞ্চায়ন করেছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘তাসের দেশ’। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে নাটকটি মঞ্চায়ন হয়। নাট্যকলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সঞ্জীব কুমার দে নির্দেশনা দিয়েছেন নাটকটি। এতে অভিনয় করেন বিভাগের ৫ম ও ৮ম আবর্তনের শিক্ষার্থীরা। দেহ বিন্যাস ও চলন পরিকল্পনা করেছেন নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষক রুবাইয়া জাবিন প্রিয়তা ও কৃপা কণা এবং পোশাক পরিকল্পনা করেছেন আফরিন হুদা তোড়া। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত তাসের দেশ নাটকটি ১৯৩৩ সালে প্রকাশিত হয়। রবীন্দ্রনাথ তার নিজেরই লেখা ছোট গল্প ‘একটা আষাঢ়ে গল্প’ থেকে এই নাটক রচনা করেন। এই নাটকটিতে ব্রিটিশশাসিত ভারতবর্ষের মুক্তির জন্য একজন মুক্তিদূতের আহ্বান ধ্বনিত হয়েছিল। নাটকে দেখা যায়, রাজপুত্র তার বন্দিজীবন থেকে মুক্তির আশা ব্যক্ত করে সওদাগরের কাছে। রাজপুত্র মুক্তি পেয়ে সিদ্ধান্ত নেন বাণিজ্যে যাওয়ার, পথে যেতে তরী ডুবে ভেসে যায় নতুন এক দেশে। এই নতুন দেশে সবকিছুই পরিচালিত হয় তাস খেলার নিয়ম অনুসারে এবং প্রত্যেকেই এক একটা তাস। রাজপুত্র ও সওদাগর এই দেশে এসে সেখানকার পরিবেশ পরিবর্তন করে দেন। শেষ পর্যন্ত তাসের দেশের রাজা-রানীসহ সবাই নিয়ম ভেঙে মানুষ হয়ে উঠতে চায়।
শেয়ার করুন
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।