বসতঘর থেকে মা ও ২ শিশু সন্তানের মরদেহ উদ্ধার

আগের সংবাদ

বছরজুড়েই ‘উন্নয়নে’র দুর্ভোগ : ভাঙাচোরা সড়কে সমন্বয়হীন খোঁড়াখুঁড়ির ফাঁদ > নিত্যসঙ্গী তীব্র যানজট > সামান্য বৃষ্টিতেই জলজট

পরের সংবাদ

জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে অসহায় খামারিরা : সংকট মোকাবিলায় নানা সরকারি উদ্যোগ

প্রকাশিত: অক্টোবর ৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মুহাম্মদ রুহুল আমিন : জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব পড়ছে বিশ্বের সর্বত্র। মানুষের জীবন ও পরিবেশের ওপর এর প্রভাব ব্যাপক। নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগ লেগেই আছে বছরজুড়ে। এতে দিনে দিনে বাড়ছে মানুষের ভোগান্তি। পাশাপাশি পশু স্বাস্থ্যের উপরও জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব পড়ছে। সরাসরি প্রভাবের মধ্যে তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় রোগবালাই ও মৃত্যু বাড়ছে। এছাড়া পানিসংকট, খাদ্যসংকট এবং বাহকজনিত রোগও বাড়ছে। উচ্চ তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা গরুর প্রজননের ওপর প্রভাব ফেলছে। দেশি গরু উচ্চ তাপমাত্রা কিছুটা সহ্য করতে পারলেও সংকর কিংবা বিদেশি প্রজাতির গরুর এই সহনশীলতা অনেকটা কম। বর্ষাকালে মাঠঘাট পানিতে ডুবে থাকায় ঘাসের উৎপাদন হচ্ছে না। গো-খাদ্যের জন্য নির্ভর করতে হয় বিদেশ থেকে আমদানি করা খাদ্যের ওপর। যার দামও বেড়েছে কয়েকগুণ। এসব সমস্যা কাটিয়ে উঠতে সরকারি উদ্যোগও নেয়া হচ্ছে। এতে খামারিরা যেমন এই খাতে আগ্রহ বাড়াচ্ছেন, তেমনি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে নানা সংকট সৃষ্টি হওয়ায় আগ্রহ হারিয়েও ফেলছেন কেউ কেউ। তবে বিশেষজ্ঞরা সরকারি নানা উদ্যোগে এই খাতটায় দেখছেন আশার আলো।
কুড়িগ্রামের খামারিরা বড় সংকটে : কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার খামারি নাজমুল হক নয়ন। ২০১০ সালে ৪টা গাভী নিয়ে খামারের যাত্রা শুরু তার। ফার্মের নাম ইউসুফ এন্ড সন্স ডেইরি ফার্ম। পরে প্রতি বছর ২৫-৩০ টা করে গরু লালন পালন করেন তিনি। দুধও পেতেন ভালো। বেশ লাভজনক ছিল। তার দেখাদেখি অনেকেই খামারের বিষয়ে আগ্রহী হয়ে উঠেন। বিপত্তি বাধে ২০২০ সালে। বৈশ্বিক কোভিড-১৯ মহামারির ফলে লকডাউন শুরু হয়। তার ওপর জলাবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাব। তখনই খাদ্য সংকট আর পরিচর্যার অভাব দেখা দেয়। ঠিকমতো চিকিৎসাও বাধাগ্রস্ত হতো। ২০২১ সালে গরুর সংখ্যা আরো কমতে শুরু করে তার। ২০২২ সালে আরো বেশি। চলতি বছরের শুরুতেই খামারে ছিল ১৫টা গাভী। বিক্রি করায় নেমে এসেছে ৫টিতে। মূল কারণ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব। ঘাস কমে গেছে, গো-খাদ্যের দাম বেড়েছে। তিনি বলেন, খামারে এখন উৎসাহ হারিয়ে ফেলছি। পুরো জেলায় ৫০ ভাগ খামার বন্ধ হয়ে গেছে। গরুগুলো বিভিন্ন ভাইরাস ও রোগ-বালাইয়ে আক্রান্ত হচ্ছে। এমনিতেই কুড়িগ্রামের আবহাওয়া অন্যান্য জেলার থেকে ভিন্ন। এখানে গরম বেশি, শীত প্রচণ্ড আর বর্ষার সময় বন্যা। এই সমস্যা বেড়েই চলছে। ফলে গরু নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। তারওপর বর্ষাকালে ৬ থেকে ৮ মাস ধানক্ষেত পানিতে ডুবে থাকে। ঘাস উৎপাদন হয় না। গরুর খাবার কমে যাচ্ছে। যার কারণে কাক্সিক্ষত মাত্রায় দুধ উৎপাদন হচ্ছে না। আবহাওয়ার ফলে গরুর হজমজনিত সমস্যাও দেখা দিচ্ছে। যে পরিমাণ খাবার গরুকে খাওয়ানো হচ্ছে, সেভাবে মোটাতাজাও হচ্ছে না। আগে এক আটি খড়ের দাম ছিল ৩ টাকা, এখন তা ১০ টাকা। তার ওপর সহজলভ্য নয়। এর ফলে খামারিরা উৎসাহ হারিয়ে ফেলছেন। করোনা মহামারির শুরুতেই সরকার থেকে প্রণোদনা পাওয়ার কথাও স্বীকার করেন তিনি। তখন পরিস্থিতি সামলানো

গিয়েছিল। এখন সম্ভব হচ্ছে না। এই খাতকে টিকিয়ে রাখতে তার পরামর্শ সরকারিভাবে সহায়তা বাড়াতে হবে। প্রাণিসম্পদ বিভাগে দক্ষ লোক বাড়াতে হবে। খামারিদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। পশু চিকিৎসার মান আরো বাড়াতে হবে। স্বল্প সূদে ব্যাংক ঋণের ব্যবস্থা করতে হবে। ঘাসের বিকল্প খাদ্যের জোগান বাড়াতে হবে। গো-খাদ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। খামারিরা লাভবান হলে তারা উৎসাহ পাবেন। খাতটির সম্প্রসারণ হবে।
ঢাকার খামারিরাও সংকটে : ঢাকার সবুজবাগ থানায় গরুর খামার ২৮৭ টি। আগে কম ছিল। মাঝখানে বেড়েছিল। আবহাওয়া পরিবর্তন, খাদ্য সংকট, গো-খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়া ও উৎপাদিত দুধের কাক্সিক্ষত দর না পাওয়াসহ নানা কারণে এ সংখ্যা কিছুটা কমেছে। সমস্যাগুলো কাটিয়ে উঠতে পারলে এই খাতে মানুষ আগ্রহ ফিরে পাবে। খামারির সংখ্যা আরো বাড়বে। সাদমান ডেইরি ফার্মের মালিক আব্দুল আজিজ। মানিক দিয়া এলাকায় তার খামার। তিনি সবুজবাগ থানা ডেইরি ফার্ম এসোসিয়েশনের সভাপতি। ভোরের কাগজকে জানালেন, আবহাওয়া পরিবর্তনের প্রভাব পড়েছে এ খাতে। গো-খাদ্যের দাম বাড়তি। রাজধানীর ভেতরে খামার হলেও ব্যাংক লোন নিতে পারছি না। সিটি করপোরেশন ট্রেড লাইসেন্স দিচ্ছে না। বাজারে গমের আটা কেজিপ্রতি ৩০ টাকা, অথচ গমের ভুষি যেটা গরুকে খাওয়ানো হয় সেটার দাম ৫৫ টাকা। ঘাস খুবই কম পাই। যা পাই, তাও দাম চড়া। যার কারণে খামারে আগ্রহ কমে যাচ্ছে। তিনি জানান, আগে সবুজবাগে খামারির সংখ্যা কম ছিল। ৩ বছর আগে অনেক বেড়েছিল। এখন আবার কমে যাচ্ছে। তারপরও ২৮৭ টা খামার আছে। কুসুমবাগের ডালিম ডেইরি ফার্মের মালিক কামরুজ্জামান ডালিম জানান, এবার প্রচণ্ড গরম হওয়ায় অনেক পশু অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। এতে গরুগুলো শারিরীকভাবে দুর্বল হয়ে গিয়েছিল। দুধও কম উৎপাদন হয়। আজাদ ডেইরি ফার্মের মালিক আজাদ হোসেন জানান, বেশ কয়েক বছর ধরে খামারে গরু লালন-পালন করছি। কিন্তু আবহাওয়া পরিবর্তন আর গো-খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় এখন হতাশ।
দুধের রাজধানী সিরাজগঞ্জে কমেছে দুধ উৎপাদন : সিরাজগঞ্জকে বলা হয় বাংলাদেশের দুধের রাজধানী। বর্ষাকালে জেলায় ৩৫ ভাগ দুধ উৎপাদন কমে যায়। এর একমাত্র কারণ ঘাসের অপ্রতুলতা। সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের বাসিন্দা কাজল মিয়া আগে থেকেই গরু-ছাগল লালন-পালন করেন। এ থেকে ভালই লাভবান হচ্ছিলেন। তিনি জানান, এবার গরমে অনেক গরু অসুস্থ হয়ে পড়ে। খাবার খেতে পারত না ঠিকমতো। তাই পুরো সিরাজগঞ্জ এলাকাতেই দুধ উৎপাদন অনেক কমে গেছে।
যা বলছেন ডেইরি ফার্ম এসোসিয়শন নেতারা : বাংলাদেশ ডেইরি ফার্র্ম এসোসিয়েশনের সভাপতি মো. ইমরান হোসেন ভোরের কাগজকে বলেন, এই মুহূর্তে বড় সমস্যা মিথেন এমিশন। কার্বন ডাই অক্সাইড থেকেও এটা বেশি হুমকির। খামারিরা গোবরের সঠিক ব্যবহার করতে পারছেন না। গোবরের যথাযথ ব্যবহার করে যদি বায়োগ্যাসকে হার্ভেস্ট করা যায়, তাহলে পরিবেশও রক্ষা পাবে, অর্থনেতিক সম্পৃক্ততাও বাড়বে। তিনি বলেন, বিকল্প গো-খাদ্যের ব্যবস্থা করতে হবে। প্রান্তিক পর্যায়ে ফ্রি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। আমাদের আশপাশে যেসব ওয়েস্টেজ আছে, সেগুলোকে কীভাবে গো-খাদ্যে পরিণত করা যায় তার পদক্ষেপ নিতে হবে। যেমন ভুট্টার ডাটা কেটে খাদ্যে রূপান্তর করা যায়। কেটে ফেলা কলাগাছকে কীভাবে সুসম গো-খাদ্যে পরিণত করা যায়- সেজন্য গবেষণার পাশাপাশি ওয়েস্টেজ কনভারসান ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে খামারিরা কী কী সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের দেশে অনেক গরুর জাত গরম একেবারে সহ্য করতে পারে না। শীতকালে এরা আরামে থাকে। ভাল দুধ দেয়। কিন্তু গরমকালে দুধের উৎপাদন ২৫ থেকে ৩৫ ভাগ কমে যায়। সেজন্য এসব প্রাণীর গরম সহ্য করার মতো পরিবেশ সৃষ্টি করা দরকার। আবহাওয়াবান্ধব গরুর জাত উদ্ভাবন করা দরকার। গরুর দুধ ও মাংসের মান অক্ষুণ্ন রাখতে হলে সারাবছর ঘাসের সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। উন্নত জাতের ঘাসের বীজ প্রয়োজন। এখন যা ঘাস আমাদের হয়, তার থেকে যেন ডাবল ঘাস উৎপাদন হয় সে ব্যবস্থা নিতে হবে। আপদকালের জন্য আমরা ঘাসটা সংরক্ষণ করে রাখতে পারি। বর্ষার সময় যখন মাঠ-ঘাট ডুবে যাবে তখন ওই বাংকার থেকে ঘাস বের করে গরুকে খাওয়াব। এতে ঘাসের চাহিদা পূরণ হবে। এজন্য অনেক বেশি ট্রেনিং প্রয়োজন।
যা বলছেন বিশেষজ্ঞরা : জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণী বিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ও প্রাণী বিশেষজ্ঞ ড. মো. আব্দুল আলীম বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে। এর প্রভাবও পড়ছে। এর ফলে প্রাণীকুল হুমকির মুখে পড়ছে। এত কিছুর পরেও আমাদের দেশে গরু-ছাগল ও মহিষের সংখ্যা আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। কারণ সরকার এই খাতটাকে খুবই গুরুত্ব দিয়েছে। মানুষ খামার করতে উৎসাহী হচ্ছে। বাড়ির ভেতরেই খামার করে গরু-ছাগল লালন পালন করছেন। এটা ভালো দিক। আগে যেখানে গ্রামের কৃষক ২ থেকে ৪টা গরু কিংবা ছাগল পালতেন, এখন হাজার হাজার গরু-ছাগল পালছেন। এ খাতে মানুষের আগ্রহ বাড়ছে। কিন্তু অতিরিক্ত গরম, শীত আর বর্ষার কারণে নানা রোগ-বালাইয়ে আক্রান্ত হচ্ছে পশুরা। গ্রামে প্রাকৃতিকভাবে এখন গরু-ছাগল কম লালন-পালন করছে মানুষ। ঘাসের পরিমাণও কমছে প্রাকৃতিকভাবেই। এবার বৃষ্টি কম হয়েছে। তাই ঘাসের পরিমাণ কম ছিল। তাই অন্য খাদ্যের ওপর নির্ভর করেই খামারিদের গরু লালন-পালন করতে হচ্ছে। তাছাড়া এই খাতে এখন বিজ্ঞানীরা নানা গবেষণা করে বিকল্প খাদ্যের উপায় বের করছেন। এগুলো নিঃসন্দেহে ভালো উদ্যোগ। বিকল্প খাদ্য খাইয়েই এই খাতটাকে আরো বড় পরিসরে বাড়ানো যায়। সরকার যেটা করতে পারে, সেটা হলো গো-খাদ্যের জন্য যেসব কাঁচামাল বিদেশ থেকে আমদানী করে, সেগুলোর ওপর থেকে যেন সব ধরনের ট্যাক্স কমিয়ে আনতে পারে। এতে করে খাবারের দাম কমে গেলে খামারিরা আগ্রহ পাবেন। এই খাতটা আমাদের সম্ভাবনাময় খাত হতে পারে।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদা ভোরের কাগজকে বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব প্রাণীদের ওপর পড়ছে- এটা ঠিক। এ থেকে রক্ষা পেতে মানুষকে যেন আগেই আমরা তথ্য দিতে পারি, সেজন্য রাইমসসহ দুটি সংস্থা একটা সফটওয়্যার ডেভেলপ করছে। এই সফটওয়্যারের মাধ্যমে আমরা খামারিদের আগাম ম্যাসেজ দিতে পারব। তারা আগে থেকেই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে পারবেন। গরুর খাবার ঘাসের সমস্যা। একটা অঞ্চলে লবণাক্ততা বাড়ছে। আমরা বিএলআরের সঙ্গে কাজ করছি। তারা দ্রুতই ঘাস নিয়ে আসতে পারবে। জলবায়ু পরিবর্তনে ব্রিডের যে পরিবর্তন বা এনিমেল প্রোডাকশনের ওপর মিট প্রোডাকশন এগুলোর কাজ হচ্ছে। তিনি বলেন, মিথেন এমিশনের জন্য আমরা কাজ করছি। এটা বিরাট কাজ। কেননা খাদ্যকে কীভাবে ফর্মুলেশন চেঞ্জ করলে মিথেন এমিশনটা কম হবে- সেগুলো নিয়েও কাজ করছি। তবে চূড়ান্ত পর্যায়ে বলার মতো কিছু আসেনি। তিনি বলেন, এই কাজগুলো নতুন। আরেকটু সময় গেলে জিনিসগুলো বুঝতে পারব। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে পোল্ট্রি হাউজের অর্থাৎ জলবায়ু সহিষ্ণু বা ঐ ধরনের কিছু হাউজ একটা প্রকল্পের মাধ্যমে আমরা কিছু উপজেলায় তৈরি করছি। সেগুলো খামারিদের দেয়া হচ্ছে। তবে কোথাও কোনো খামার বন্ধ হচ্ছে না। এটা পরিবর্তন হচ্ছে। একদিকে খামারির সংখ্যা কমে গেলে, অন্যদিকে বাড়ছে। কুড়িগ্রামে সবসময় খরা-বন্যা হয়। ওই সময়গুলোতে যেন গো-খাদ্যটা সংরক্ষণ করতে পারে সে ধরনের প্রযুক্তিতে আমরা জোর দিচ্ছি। আমরা আশাবাদী, আমরা যেসব পদক্ষেপ নিচ্ছি। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা করেও এই খাতটা যেন টিকে থাকে সেজন্য আমাদের পর্যাপ্ত প্রস্তুতি আছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়