জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির সর্বশেষ রিলিজ স্লিপের মেধা তালিকা ২ অক্টোবর

আগের সংবাদ

ইউক্রেনের ৪ অঞ্চল রাশিয়ায় যুক্ত : প্রেসিডেন্ট পুতিনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা, অবৈধ বলছেন ন্যাটো নেতারা

পরের সংবাদ

ডিবির অভিযানে গ্রেপ্তার চার : ৪০ সেকেন্ডে প্রাইভেটকার চুরি করত ওরা

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : যেসব জায়গায় বেশি সংখ্যক গাড়ি পার্কিং করা থাকে সেখানে অবস্থান নিত চোরচক্রের সদস্যরা। এরপর নজরদারি শুরু হতো টার্গেটকৃত প্রাইভেটকারের চালক ও মালিকের উপর। পার্কিংয়ের পর মালিক ও চালক কাজে গেলে মাস্টার চাবি দিয়ে মাত্র ৪০ সেকেন্ডের মধ্যে প্রাইভেটকার স্টার্ট দিয়ে চম্পট দিত চক্রের সদস্যরা। পরে সেটি অন্য সদস্যদের মাধ্যমে চেসিস ও রং বদল করে দালালের মাধ্যমে বিক্রি করত।
চোরাই প্রাইভেটকারের ছবি অনলাইনে পোস্ট করেও বিক্রি করে আসছিল চক্রটি। প্রাইভেটকারের কাগজ সবসময় গাড়ির ভেতরে থাকায় বিক্রি করতে কোনো ঝামেলা পোহাতে হত না। মাস্টার চাবি দিয়ে মুহূর্তের মধ্যে প্রাইভেটকার চুরির চক্রের ৪ সদস্যকে গ্রেপ্তারের পর এ তথ্য জানিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- পারভেজ, কামাল হোসেন গাজী, বাবু মিয়া অরফে নাজমুল হাসান ও সুমন। গত বুধবার রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকা থেকে মূলহোতা পারভেজকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্যানুযায়ী নরসিংদী থেকে বাকিদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৪টি চোরাই প্রাইভেটকার, ৫টি চোরাই কাজে ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও ২টি মাস্টার চাবি উদ্ধার করা হয়। ডিবি বলছে, চক্রটি ১২টি প্রাইভেটকার এবং বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল চুরির কথা স্বীকার করেছে। তাদের

২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রিমান্ডে ওই গাড়িগুলো সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
এ বিষয়ে ডিবির গুলশান বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) মোহাম্মদ খলিলুর রহমান ভোরের কাগজকে বলেন, তেজগাঁও থানায় দায়ের হওয়া একটি গাড়ি চুরি মামলার তদন্তে নেমে সিসি ক্যামেরা ফুটেজ বিশ্লেষণ করে চক্রের ৪ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছে, ৫ বছর ধরে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্প অঞ্চল, ধানমন্ডি লেকপাড় রোড, উত্তরা, গাজীপুরের শ্রীপুর, মাওনা বাজারসহ বিভিন্ন স্থান থেকে প্রাইভেটকার চুরি করত। এই চক্রের মূলহোতা পারভেজ। তার সহযোগী কামাল।
তারা দুজনই চুরি মামলায় কারাগারে যাওয়ার পর সখ্যতা গড়ে তোলে। পরে জামিনে বেড়িয়ে এসে মোটরসাইকেল ও প্রাইভেটকার চুরি শুরু করে। পরে সেগুলো নরসিংদী পলাশ থানা এলাকার নাজমুল হাসানের গ্যারেজে জমা করে সবকিছু পরিবর্তন করা হত। আর বিক্রির দালালি করতেন সুমন।
এসি আরো বলেন, এই চোর চক্রের সদস্য সুমন চোরাই গাড়িগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিভিন্ন পেজ ও বিক্রয় ডট কমের মাধ্যমে বিক্রি করে আসছেন। ১৫-২০ লাখ টাকার গাড়ি তারা ৩-৪ লাখ টাকায় বিক্রি করতেন। তবে মালিকানা পরিবর্তনের জন্য কোনো ক্রেতা তাদের চাপ দিতেন না বলে জানা গেছে। কারণ অল্প টাকায় এমন গাড়ি সমস্যা থাকতে পারে ভেবেই কিনতেন তারা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়